ভাস্কর্য ও লাল সালু

ভাস্কর্য বড়দের পুতুল। ভাল লোকের ভাস্কর্য খারাপ লোকের ভাল ব্র্যান্ডিং এ বেশ কাজে লাগে।

শহীদ মিনারে ফুলের বেসগুলার মাঝখানে নিজেদের দলের নাম লেখা থাকে, দেখছেন? আসলে নিজেদের ব্র্যান্ডিং এর জন্য কলাগাছ বা ইটা দিয়ে বানানো খাম্বাকে আমরা ফুল দেই। ইটের খাম্বা তো ইটের খাম্বাই।

ভাষা শহীদের সাথে কি সম্পর্ক ? ডিসেম্বর মাস এটা। এই যে স্মৃতি শৌধ, এক বেটা সুন্দর থ্রিডি ডিজাইন করছে। এক দিক থেকে দেখলে এক এক রকম লাগে। টাকা থাকলে এরকম ডিজাইন অনেক বানানো যায় এবং স্মৃতি সৌধ হিসেবে চালিয়েও দেওয়া যাবে। তবে মানুষের মনে এইসব ইটের ডিজাইনের প্রতি শ্রদ্ধা বানাতে কি করতে হবে জানেন? নামি দামি লোকদের গিয়া ফুল দিতে হবে। বৌ বাচ্চা নিয়ে সেজে গুজে আনন্দ করে শোক বা বিজয় দিবস পালন করবো। টোকাই বাচ্চার বিকাল বেলা সেই ফুল কুড়াবে। অনেক মানুষের গ্যাদারিং হওয়ায় অনেক হকাররা ঝালমুড়ি ফুচকা বা ছোলা বেচতে পারবে। গরীব পোলাপান পানির বোতল বিক্রি করে হাসি মুখে বাসায় ফিরবে। আপনি লাল সালু উপন্যাস পড়েন আর হাসেন কিভাবে মানুষ লাল সালু দিয়ে ব্যবসা করে।

(আরো এড করলাম)শহীদ মিনারের বা স্মৃতি সৌধের চেয়ে সুন্দর ডিজাইন তৈরী করে যদি শহীদ মিনার বা ম্মৃতি সৌধ বলতে বলা হয়। আপনি তা মানতে রাজি হবেন না। আগেরটাই ভাল লাগবে।এটাই পৌত্যলিকতা। এটাই বস্তু প্রেম। কারন হলো এই ইটার তৈরী বেজগুলাকে আপনি শহীদের সাথে মিলিয়ে নিয়ে ছিলেন। বাস্তবে এই সৌধগুলোর সাথে শহীদের কোন সম্পর্কই ছিল না।শহীদের জামা কাপড় সংগ্রহ করে তাকে সম্মান দেখালে বা তাদের আত্নিয়দের সম্মান দেখালেও একটা কথা ছিল।

Leave a Reply