কথা-এক.
ক্রাইসিসের ভয়ে অনেকসময় উৎপাদন বেশি বেড়ে যায়। দাম বাড়ার পরিবর্তে দাম কমতে থাকে। তেলের ভিন্ন সোর্সগুলো উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই জ্বালানী তেলের দাম বাড়ার পরিবর্তে কমতে পারে।
কথা-দুই.
কোন দেশ যদি কোন দেশে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি বন্ধ করে দেয় তাহলে ভিন্ন সোর্স তৈরী হয়ে যায়। চাহিদা পূরণের জন্য অন্য ব্যবসায়ীরা মুখিয়ে থাকে। রাশি_য়ার প্রতি স্যাংশনও এরকম উল্টা মাইর খাবে। মানে, যে পণ্য বা সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে তার বিকল্প ব্যবস্থা তৈরী হয়ে যাবে। যারা বিক্রি বন্ধ করেছে তাদেরই ক্ষতি হবে।
বাংলাদেশে যদি সয়বিন তেলসহ কৃষি পণ্যগুলো আমদানী বন্ধ করে দেয়, তাহলে কিছুদিন খাদ্যাভাবে থাকতে হবে, একসময় উৎপাদন বেড়ে যাবে। অনেক বেকার কাজ করতে পারবে।
কথা-তিন.
কোন এলাকায় শিল্পন্নতি হওয়ার ক্ষেত্রে সেই এলাকার মানুষের আচরণও গুরুত্বপূর্ণ। কোন এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে যদি নিরাপদ বোধ না করে। যদি মনে করে লোকাল লোকজন চান্দা চাইবে বা চুরি করবে তাই সেখানে নতুন কোন প্রতিষ্ঠান হবে না। ঢাকায় চাইলেই আপনি জমি কিনে বাড়ি করতে পারবেন। বাংলাদেশের অনেক জেলায়ই ভিন্ন এলাকার মানুষ জমি কিনলে দখল করে থাকতে পারে না বা অনেক ডিস্টার্ব করা হয়।
আমি এমন লোকের কথা জানি তারা নিজের কিছু জমি প্রায় বিনামূল্যে প্রতিষ্ঠান করার জন্য দিতে চায় যাতে তার অন্য জমির দাম বেড়ে যাবে।
কথা-চার.
প্রতিবেশির সাথে যে পরিবারের বা রাষ্ট্রের সুসম্পর্ক না থাকে সেই দেশ বা পরিবার বড় হতভাগা। বিশেষ করে, শক্তিশালী রাষ্ট্রের সাথে সুস্পর্ক না থাকলে টিকতে পারবেন না। ইথিকস দিয়ে পরিবার বা রাষ্ট্র চলে না। পরিবারের সব ভাই বোন একই রকম কনট্রিবিউট করবে না। কেউ বাবা মাকে বেশি টাকা দিবে, কেউ দিবে না। কোন রাষ্ট্র আপনাকে হালকা পাতলা শোষণ করতে চাইবে, কোন রাষ্ট্র আপনাকে অনেক টাকা ফ্রিতে দিয়ে দিবে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের বিদ্বেস তাদেরই বিপদ ডেকে আনতে পারে। রাষ্ট্রপ্রধানদের কিচ্ছু হয় না। উদাহরণ ইউক্রেন। জনগণকে বাঁচাতে রাষ্ট্রপ্রধান কখনো জনগণের শত্রু রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে পারে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুস্পর্কও বাংলাদেশের বড় শক্তি। ইউরুপের বড় শক্তি তাদের ইউনিয়ন ও ন্যাটো।
(এগুলা সবই সামারি- বড় করে আলাদাভাবে লেখতে আমাকে আরো শিখতে ও ভাবতে হবে।)