প্যারেন্টিং (বয়স ১.৫ থেকে ৩ বছর)

১.অনেক বাবা মা বলে, যে তার বাচ্চা খায় না। বয়স ৩ বছর হয়েছে নিজ হাতে নিয়ে কখনো খাবার খায় না। খাবার দেখলে উল্টা দৌড় দেয়।

আমার ছেলেকেও দেখেছি নিজ হাতে খায় না।আমি তাকে খাবারের সময় হলেও খাবার না দিতে বললাম। এবার সে খাবার খোজ করতে লাগলো। কিভাবে খেতে হয় জানে না, খাইয়ে দিতে বললো।ধীরে ধীরে খাবারের প্রতি তার আগ্রহ বাড়লো।

Source: Pixabay

২. আবার অনেক বাবা মায়ের অভিযোগ তার বাচ্চা অনেক বেশি দুষ্টামি করে।

এটা ভাল লক্ষণ যে বাচ্চা প্রচুর দুষ্টামি করে। তাকে খোলা মাঠে দৌড়ানোর ও খেলাধুলা করার ব্যবস্থা করুন যাতে আরু বেশি দুষ্টামি করতে পারে। চঞ্চলতা হার গঠনে সহায়ক।দের থেকে ছয় বছরের বাচচা যদি চুপচাপ থাকে, কথা কম বলে, দুষ্টামি কম করে। তাহলে এটা খারাপ লক্ষণ। তাকে ডাক্তার দেখানো দরকার।

৩. বাচ্চা কাউকে কাছে পেলেই মারে। কোন কিছু ছুড়ে ফেলে দেয় অনেক সময়।

বেশিভাগ অভিবাকের বাচ্চার বয়স দের থেকে তিন বছর দেখেছি।আমার ছেলেকেও দেখেছি কাউকে পেলে মারে, বড় বা ছোট যেই হোক। এই সমস্যা কেটে যাবে তার সমবয়সী কয়েকজন বন্ধু পেলে। বন্ধুদের সাথে মিশলে সে বুঝতে পারবে মারতে হয় না। কোন একজন বন্ধুকে মারবে, বন্ধুও ওকে মারবে। তারপর সে মারতে জানবে কিন্তু মারবে না। কয়েকজনের সাথে ক্লোজ ফ্রেন্ড হবে, এবং এক সাথে খেলা করবে। ছেলে বাচ্চাদের অন্যদের মারার প্রবণতা মেয়ে বাচ্চাদের চেয়ে কম।দের বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের এই স্বভাবটা বেশি থাকতে দেখেছি।

বাবা মাকে অহেতুক মারছে-আপনি ভাবছেন-কি বেয়দপ-রে বাবা ! চার বছরের আগে কোন বাচ্চাকে জাজ করাই যাবে না। সে যা করে তাই ঠিক। মারার কারনটা বলি। বচ্চারা এটেনশন সিকার। সে যখন ডাকছে বা কথা বলতে চাইছে বা খেলতে চাইছে তখন তাকে ইগ্নোর করছি। এ জন্য সে আঘাত করছে যাতে আপনি ওর প্রতি নজর দেন।এই যে হরতাল ডাকাটা যেমন গভর্ণমেন্টের এটেনশন সীক করা বা প্রতিবাদ করা- এমন।

৪. দুই বা আড়াই বছরের বাচ্চা কথা শিখে নাই

বাচ্চার সাথে বাবা ও মায়ের প্রচুর কথা বলতে হবে। ওর চেয়ে একটু বেশি ও কম বয়সী অন্য বাচ্চাদের সাথে প্রতিদিন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আমার এক কলীগের বাচ্চার এমন হয়েছিল। সাইক্রেটিস বলছে কোন দরিদ্র পরিবারের হলেও কয়েটি বচ্চাকে সারাদিনের জন্য ওর সাথে খেলার ব্যবস্থা করা। তাদের কাজের লোকের ও পরিচিত দরিদ্র কয়েকটি বাচ্চাকে একসাথে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।অনেকে মনে করে অন্য বাচ্চাদের সাথে মিশলে খারাপ কথা বা ব্যবহার শিখবে- তাই একা করে রাখে। কিন্তু ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা বোকামী। খারাপ ভাল সবই শিখবে কিন্তু তাকে কোনটা করতে হবে বা করতে হবে না তা শিখাতে হবে। সন্তানের জন্য বাবা মায়ের বড় ইনভেস্টমেন্ট হলো সময়।