অতি ধনী ও অতি দরিদ্রদের সমস্যা নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া বা ইউটিউবে কিছু পাবেন না। কারন অতিধনীদের এখানে কন্টেন্ট তৈরীর টাইম নাই। অতি দরিদ্রদের ডিভাইজ বা জ্ঞান নাই।
কনটেন্ট তৈরীর একটা #আইডিয়া দেই। “ভিক্ষুক কিভাবে বেশি টাকা আয় করতে পারবে তার টিপস” বা “যে ২০টি কারনে ৮০ভাগ ভিক্ষুক ভিক্ষুক।” – বাংলাদেশে এই টাইপের কনটেন্ট দেখছেন?
আবার অতি ধনীদের সমস্যার মধ্যে বড় একটা সমস্যা- সম্মান না পাওয়া। নিরপত্তা বা অর্থের নিরপদ ইনভেষ্টমেন্ট। এইসব নিয়ে ব্লগ বা ভিডিও বানাতে আউট অব বক্স অনেক জানতে হবে।
রাস্তায় একটু ভাল মানের গরুর দুধের পা বিক্রি হয় ১০ টাকায়। সেখানে চা খেতে খেতে তিন জন ভিক্ষুক টাকা চেয়ে ফেললো। আমি কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, দৈনিক কত ইনকাম? বুঝতে পারলাম দৈনিক ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মতো আয় তাদের।
এপর্যন্ত বৃদ্ধ ভিক্ষুকদের ছেলে মেয়েদের খবর জিজ্ঞাসা করেছি তাদের অনেকে বলেছে, ছেলে নাই। মেয়েদের বিয়ে দিছে। দরিদ্রদের অধিক সন্তান নেওয়ার কারনটা আমি ভিক্ষুকদের সাথে কথা বলে জেনেছি। অনেক সন্তান থাকলে বৃদ্ধ বয়সে কেউ না কেউ তার দায়িত্ব নিতো- যার কোন সঞ্চয় নাই সে এমনটা ভাবতেই পারে- অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেনটাই হয়। বাসের হেলপারের সাথে দুঃব্যবহারকারী এক পঞ্চাশোর্ধ নারী – শেষের দিকে বলেই ফেললো তার কোন সন্তান নাই, ৫ টাকাই আছে।
ভিক্ষুকদের সাথে আমার সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন। আমি ফল কিনেছি- এমন সময় একজন পঞ্চাশোর্ধ নারী হাত পাতলো। আমি ফল মাপার জন্য অপেক্ষা করতে করতে এই নারীকে হাত ইশারা দিয়ে অপেক্ষা করতে বললাম। ফল মাপা শেষ- আমি দোকানদারকে টাকা দিলাম। একটা ফল এই নারীকে দিলাম। কিন্তু সে পরম স্ণেহে ফল নিলো না, বললো, বাবা তুমি খেও। তোমার ফল কি আমি নিতে পারি? আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। বাসে বসে অনেক ক্ষণ ভাবলাম- এমন কখনো হয় নাই !