সরকারের প্রভাব

আপনি অনেক টাকা রোজগার করলেও বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, বাড়িভাড়া, গাড়ীভাড়া ইত্যাদি দিয়ে বাজর করে সামান্যই অবশিষ্ট থাকে। শহুরে মানুষের জীবনটা একটা অর্থনৈতিক চক্রান্তে পড়ে আছে।
আর এই চক্রান্ত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করতে হবে-
 
  • ১. গ্রাম হলেও নিজের বাড়িতে থাকুন। আপাততঃ শহরে অনেক টাকা বেতন মনে হতে পারে। কিন্তু যাদের শহরে বাড়ি নাই তারা বাড়ীভাড়া ও অন্যান্য খরচ দিয়ে দেখুন কত টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। যদি গ্রামে অল্প আয় করেও সেই টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। তাহলে শহরে কেন?
  • ২. খাদ্য সংগ্রহ করে রাখাঃ অনেকে ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন। শহরে এই পদ্ধতি বেশি জনপ্রিয় হলেও গ্রামে এখনো মানুষ টাকা জমা না করে খাদ্য সঞ্চয় করে রাখে। আপনি শহরে থাকলেও কিছু অন্ততঃ সিজনের সময় সংগ্রহ করে রাখুন। ব্যাংকে টাকা রাখলে এটি অবমূল্যায়িত হয়ে কমে যায়। কিন্তু পণ্য সংরক্ষণে এটির দাম পরে বেড়ে যায়।

যখন যে ফসল উৎপাদিত হয় তখন আমরা সবাই যদি বছরের চাহিদার পরিমান সংগ্রহ করে রাখি তাহলে মধ্যসত্বভূগিদের প্রভাব কমে যাবে। কৃষক ন্যাজ্য দাম পাবে।  নিজের  অনেক টাকাও বাচঁবে। চাউল, আলু,  পেয়াজ, রসুন, আদা, সরিষার তেল  ইত্যাদি  সিজনের সময় সংগ্রহ রাখার মাধ্যমে  নিজের ও দেশের উপকার করা যায়।

  • ৩. সোলার প্যানেলসহ বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা কিনতে হবে। এটা একটা বড় খরচ মনে হলেও মাসিক আপনার অনেক টাকাই সে বাঁচিয়ে দিবে। কিস্তিতে অনেক প্রতিষ্ঠানও সোলার প্যানেল দেয়। তবে নিজের টাকা থাকলে কিস্তির সুদ প্রথায় যাবেন কেন? সূর্যের আলোর শক্তি দিয়েই একসময় বিশ্বকে চলতে হবে।

আপনি ২০০০০ টাকার সোলার প্যানেলসহ সব ইকুইপমেন্টের মাধ্যমে যে পরিমান বিদ্যুৎ পাবেন তার দাম হিসাব করলে লাভই হবে। যাদের বিদ্যুৎ সংযোগ আছে তারাও বাতি জ্বালানো এবং কম চাহিদার জায়গায় সোলার ব্যবহার করতে পারেন।

  • ৪. পানি গরম করার জন্য বিদ্যুৎ বা গ্যাস না ব্যবহার করে সোলার সিস্টমে বিশুদ্ধ করা যেতে পারে।12 ভোল্ট ডিসি কুকপট নিয়ে সেটা দিয়ে রান্নাও করতে পারবেন। কি দরকার গ্যাস বিলের ঝামেলায় যাওয়ার।
  • ৫. আপনি একটা ছোট বাগান করুন। নিজে পরিশ্রম করে বা ৫০০০ টাকা ইনভেস্টে যে বাগান করতে পারবেন তা দিয়ে সারা বছরের শাক সব্জির চাহিদা মিটে যাবে। শহরে যাদের বাড়ি আছে তারা ছাদে বা খালি জায়গায়। যারা ভাড়া থাকেন তারা বেলকুনি গার্ডেন করতে পারেন।
  • ৬. এবার আসি মাছ চাষে। আমি এটা এখনো চেষ্টা করে দেখি নাই। ছোট প্লাস্টিকের চৌবাচ্চা বানিয়ে মাছ চাষ করা যায়। এটা বেশ লাভজনকও বটে। আমি চেষ্টা করে দেখবো। অল্প জায়গায় এরকম মাছ চাষ করে নিজের চাহিদা মিটানো যেতে পারে।
সরকারের প্রভাব মুক্ত থাকার জন্য এটা প্রোজেক্ট বানানো যেতে পারে যেটার মাধ্যমে সরকার থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেল ইত্যাদি সুবিধা না নিয়ে কিভাবে একটা পরিবার বেচে থাকতে পারে 🙂 এতে দেশ ও সরকারের উপর চাপ কমবে।
এটা একটা ডামী চিন্তা- অনেক আপডেট করতে হপে!

3 Comments

Add Yours →

ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য। একেবারেই ভিন্ন চিন্তা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অনেক দিন কেউ মন্তব্য করে না। 🙂