ব্যাচেলর লাইফের দিনগুলা-২

১০ বছর আগে আরো কম বেতনে চাকরী করতাম। বড়লোকেরা যেসব রেষ্টুরেন্টে খায় সেখানকার এক্সপেরিয়েন্স ছিল না। এই এক্সপেরিয়্যান্স নিতে চট্টগ্রামের কয়েকটা রেষ্টুরেন্টে গেছিলাম।

এক রেষ্টুরেন্টে গরম সাদা রুমাল পেচিয়ে নিয়ে আসলো, জলীয়বষ্প বের হচ্ছে। আমি ভাবলাম কোন খাবার আইটেম! কিন্তু সেটা রাখলো সাইডে। কনফিউজড হয়ে গেলাম। বন্ধু চুপে চুপে বলল, ওটা মুখ মোছার জন্য দিছে।

আরেকদিন আরেক রেষ্টুরেন্টে খাবার দিয়েছে কিন্তু চামচ খুজে পাচ্ছি না। ভদ্রলোক বলল, স্যার এখানে স্পুন। একটা রুমালে পেচিয়ে দিয়েছিল তাই খুজে পাই নাই।

কিছুদিনের মধ্যেই চামচ দিয়ে প্রায় সব ধরনের খাবার খাওয়া শিখে গেলাম।

এরকিছু দিন পরেই ঢাকায় চাকরীতে এসে পরলাম। অনেক বিদেশীরা আসতো এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বা ইভেন্টে প্রচুর পার্টি হতো। বিভিন্ন পরিবেশে খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা বেশ কাজে দিছিল।

একটা থ্রি স্টার হোটেলের রেস্টুরেন্ট ছিলো আমাদেরই ( আরেকটা চাকরী করা) কোম্পানীর। সেখানে ফুড ও পারচেস এর কাছ থেকে জানতে পারি তারা তিন মাস পর পর বা কখনো ছয়মাস পরপর বাজার করে। ছয় মাস আগের বিফ ও চিকেনও রান্না হয়।

ফুড ম্যানেজার একদিন তার লোকদের ট্রেনিং দিচ্ছিল। আমি কোন কারনে সেখানে ছিলাম। ম্যানেজার বলল, সার্ভিং এর ধরণ দেখে বুঝা যাবে রেস্টুরেন্টের মান কেমন! একই ধরনের চা আমি বেচবো ৫০ টাকায়, অন্য দোকানে বেচবে ৫ টাকায়। যে ৫ টাকায় বেচবে সে টেবিলে ধরাম করে চা ও কাপ রাখবে।

Leave a Reply