জনসেবা আইডিয়া # একঃ বাজার

বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনার উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ একেবারে কম বা নাই বললেই চলে। আর এ কারনে অপেক্ষাকৃত দরিদ্ররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই দরিদ্রদের জন্য আলাদা একটা বাজার আইডিয়ার উপর কাজ করে বেশ কিছু উপকার পাওয়া সম্ভব।

  • মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর যে সিন্ডিকেট রয়েছে তা ভেঙ্গে দেওয়া সম্ভব।
  • কৃষকদের ভাল দাম দেওয়া সম্ভব।
  • যাতায়াত খরচের এবং মজুত করার ঝুকি কমিয়ে কৃষককে আরো লাভবান করা সম্ভব।
  • দরিদ্র ভোক্তাদের কম দামে পন্য পৌছে দেওয়া সম্ভব।

এটা করার জন্য যে ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে তা বেশ ব্যায়বহুল তবে অস্ভব না। আমার আইডিয়ার পদ্ধতি বর্ণনা করি, তবে কর্মক্ষেত্রে ভিন্ন কিছু হতে পারে।

  • পন্য যে দামে কৃষক থেকে কেনা হবে সেই দামে বা তার চেয়ে কম দামে বিক্রি করা হবে।
  • কিছু কিছু পন্য সম্পুর্ণ ফ্রিতে দেওয়া হবে। বিভিন্ন লোক ও সংস্থার দানের টাকা দিয়ে ফ্রি পন্য প্রদান করা হবে।
  • পন্য রক্ষনাবেক্ষণ এবং এই কাজ যারা করবে। যাতায়াত ইত্যাদি খরচটা দানের অর্থ থেকে কাটা হবে। দানের টাকা খুব ধীরে ধীরে শেষ হবে। কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের উপকার করবে।

পদ্ধতিঃ

  • একটি গোডাউন থাকবে, থাকবে একটি দোকান, কয়েকটি গাড়ী থাকবে। প্রথমে বড় কোন ডোনারের মাধ্যমে এগুলো ফিক্সট এসেট হিসেবে কেনা হবে।
  • সিজনের সময় কৃষকের কাছ থেকে কম দামে পন্য কেনা হবে। নিজস্ব গাড়ী দিয়ে নিজস্ব গোডাউনে সংরক্ষণ করা হবে।
  • দরিদ্র কাস্টমারের তালিকা থাকবে। শুধু তারাই নির্দিষ্ট পরিমান পন্য কিনতে পারবে।
  • কয়েকটা প্যাকেজ আকারে প্রতি সপ্তাহে বা মাসের নির্দিষ্ট কোন দিন পন্য বিক্রি করা হবে।

(সংক্ষেপে এখানে আলোচনা করা হচ্ছে। যে কেউ চাইলে এই পদ্ধতিতে জনসেবা করতে পারেন।)

সাসটেইনঃ

এই পদ্ধতি যাতে বছরের পর বছর সাসটেইন করে তার জন্য ধারাবাহিক ডোনেশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। কারণ সিজনের সময় বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে চাল, ডাল ইত্যাদি কিনতে হবে। বিক্রির পর এই টাকা সারা বাছর ধীরে ধীরে সোধ করা হবে।

সাসটেইন করার জন্য অবশ্য পাসাপাসি আরেকটা ইকমার্স বা ধনীদের বাজার ব্যবস্থাপনা থাকতে পারে। যেখানে জেনে বাজার ক্রয় করবে ধনীরা এবং চাইলে তারা তাদের বাজারের সাথে সাথে দরিদ্রদেরও কিছু বাজার দান করতে পারবে।

Picture Source