এক.
নামাজ বেশ অদ্ভুৎ রকমের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। কোন শত্রু ইসলামী গ্রুপে গোপনে যোগ দিলে নামাজের মাধ্যমেই সে ধরা খেয়ে যাবে।
যারা ঈমান আনে নাই তাদের জন্য নামাজ পড়া চরম একটা কঠিন কাজ। এমন কি দুর্বল ঈমানদার লোকও অনেক কষ্টে নামাজ পড়ে। অন্যদিকে ঈমানদার লোক নামাজ পড়ে অনেক মজা পায়। নামাজ না পড়লে তার চলে না।
বিশেষ করে ফজর ও এশার নামাজে কাউকে না দেখলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে দিলে অনেক গুপ্তচরবৃত্তি কমাতে সাহায্য করবে।
দুই.
কোন একটা এলাকায় ইসলাম প্রচার শুরু হলে সেটায় বাধা আসতে পারে। এমন কি ইসলাম প্রচার করতেও বাধা দান করতে পারে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী। কিন্তু এই বাধা পাওয়ার সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। টার্নিং পয়েন্ট। কয়েকগুন দ্রুত ইসলাম ছড়িয়ে যাবে। আর যদি সেটা না হয়ে সবার সমর্থন পেতে থাকে তাহলেও এগিয়ে যাবে।
যারা ইসলাম প্রচার পাক এটা না চায় – আবার সরাসরি বিরোধীতাও করতে পারছে না তারা ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে। তা হলো অশ্লিলতা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। এটা ধীরে ধীরে এগিয়ে নিবে তারা।
ইসলাম পালনে যখনি বাধা পাবেন তখনি বুঝবেন – খুব দ্রুত ইসলামের আলো ছড়াবে। আপনি খুসি হোন, শিঘ্রই দলে দলে মানুষ ইসলাম গ্রহণ করবে। দলে দলে মুসলিমরা ইসলাম মানা শুরু করবে।
দাড়ী-টুপিকে জঙ্গি চিহ্ন বলায় কত লোক দাড়ী লম্বা করেছে তার হিসাব আল্লাহর কাছে আছে।https://www.facebook.com/mahbubpalash/posts/3243259432366787
তিন.
মুসলিমদের এগিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে তারা এদের মুসলিমদের খারাপ ও ভয়ংকর হিসেবে প্রকাশ করে। এই পদ্ধতিটা বেশ কাজের বলে তারা মনে করে-আপাততঃ দৃষ্টিতে যাই মনে হোক, মুসলিমদের উদারতার কথা মানুষ জেনে যায়।
- ১. মিডিয়া দ্বারা ব্রেন ওয়াশড লোকেরা মুসলিমদের সাথে চলাফেরা করে অনেকেই মুসলিম হয়ে যাচ্ছে। কারন তারা বুঝতে পারছে, এই অপপ্রচার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সংস্লিষ্ট।
- ২. ইসলাম বিদ্বেসীরা মুসলিমদের ভয়ে কষ্টে থাকে। এটা এক ধরনের শাস্তি – যা সে নিজেই সৃষ্টি করে। মুসলিমদের সাহসের সাথে চলায় হিংসার আগুনে জ্বলে ইসলাম বিদ্বেসীরা। https://www.facebook.com/mahbubpalash/posts/3245144832178247
চার.
যে কোন দল ক্ষমতায় এলে তারপর সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু ইসলামের সুফল সাথে সাথে চলে আসে। মজার ব্যাপার না?
কোন একজন ধার্মিক মুসলিম অনেক বেশি মধ্যমপন্থা অবলম্বণ করে। প্রতিদিন তাকে নামাজের কারনে ব্রেক দিতে হয়। রমজান মাসে শরীরের ব্রেক চলে। যাকাতের মাধ্যমে এবং কোরবানীর ঈদে তার সাথে আশেপাসের মানুষ ও আত্নিয়দের সম্পর্ক ভাল হয়। হজ্ব তাকে অন্ততঃ জীবনে একবার হলেও ভ্রমনের ব্যবস্থা হয়। জীবনে একঘেয়ামী দূরের দারুন সব উপদানে ভরপুর।
কেউ যদি ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাস নাও করে তার নিজের পরিবারকে অন্ততঃ ইসলামী রাষ্ট্র বানিয়ে নিতে পারে অনায়াসে।