অপরাধী

সবাই বড় অপরাধী বা বড় মাপের দূর্নীতিবাজ হতে পারে না। মনের ভিতর থেকে নিজেকে নিজে সাপোর্ট করে না। বড় অপারধীদের কিছু অতীত ও বর্তমান সেই জিনিসটা জোগার করে। অনেকগুলো নিয়ামক এই সাপোর্টটা দেয়।

অতীতে অনেকের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এবং অপরাধী হওয়ার পর ধনী হওয়ার পর মানুষের সম্মান দেখে সে অপারধী হয়ে থাকতে পছন্দ করে। অনেক অপরাধী দরিদ্রদের দান করে প্রচুর। এই দান করাও অপরাধ করার শক্তি জোগার করে।

এলাকার মস্তানরা কাউকে থাপ্পর দেওয়ার পর ফিডব্যাক থাপ্পর না খাওয়ার কারনে নিজেকে হিরো ভাবে। এই থাপ্পর না দেওয়াটা তাকে আরো বড় অপরাধী বানাতে সাহায্য করে। অপরাধী চায় না তার মতো আরো অপরাধী জন্ম নেক। শুধু তার শক্তি বাড়ানোর জন্য আরো কিছু অপরাধী বাড়লে তাতে সে সমস্যা দেখে না।

বড় অপরাধী সমাজ সচেতন। সে জানে কিছু লোক আছে যারা এই অপরাধীকে সামান্যতম ভয় বা কেয়ার করে না। তাদের অনেকের সাথে সে ভাল সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করে।

অপরাধ করার যৌক্তিক কারন সে খুজে বেড়ায়। তার ঋণাত্বক মন এই কারন দেখিয়ে শান্তি পেতে চায়। কোন কোন অপরাধী মাজারে গরু দান করে। কেউ কেউ মসজিদ, মাদ্রাসায় দান করে প্রচুর। কেউ বা আত্নিয় স্বজন ও কাছের লোকদের জন্য ছায়া হয়ে থাকে। কোন ভাল নেতার পক্ষ নিয়ে বা খারাপ নেতার বিপক্ষ নিয়ে কাজ করে তারা তাদের অপরাধ করার রসদ জোগায়।

এখনকার অপরাধীরা বেশ সামাজিক হয়। আগের দিনের ডাকাতরা যেমন- গুপ্ত আস্তানায় লুকিয়ে জীবন যাপন করতো তেমনটা এখন করে না। এটা তাদের বেশ আনন্দময় জীবন দান করে।

এখনকার অপরাধীরা অনেকেই সেলিব্রেটি টাইপের। সাধারণ মানুষ এই সব অপরাধীর দুই একটা ভালগুণে মুগ্ধ হয়, ভালবেসে ফেলে। মানুষের ভালবাসার কারনেও অনেক অপরাধী আর ভাল জীবনে প্রবেশ করতে পারে না। সে জানে ভাল মানুষটি হয়ে গেলে সেলিব্রেটি পদ সে হারাবে।

Leave a Reply