ভিন্ন আন্দোলন

ডিকটেটর সরকারকে হাটানো চিন্তা বাদ দিয়ে আরেকটা পদ্ধতিতে আন্দোলন করা যায়। সেটা শিখতে অনেক ইতিহাস ও ফিলোসফী পড়তে হবে। দ্রুত সরকার হটানো এবং ভাল (বলতে নিজের পছন্দের) কাউকে বসানোর চিন্তা মানুষকে লক্ষ্যহীন করে দেয়। আদৌ ভাল কেউ আসে না।

কবি, সাহিত্যিক ধর্মপ্রচারকরা অনেক বড় বড় আন্দোলন করে গিয়েছিল অতীতে। তারা ইথিক্যাল পরিবর্তন মানুষের মননে গথে দিয়ে গিয়েছে যাতে মানুষ বুঝতে পেরেছে কোন পদ্ধতিতে দেশ চলবে। তাদের অধিকাংশই দল গঠন করে নাই।

মানুষের মননের পরিবর্তনটা সাথে সাথে হয়ে যায়- স্বাধীনতার স্বাদ সে আধীন অবস্থায়ই পেয়ে যায়।

বৃটিশ বা পাকিস্তান হটাও আন্দোলনের মূলে ছিলেন তারাই। লেখক, কবি-সাহিত্যক, গায়ক, নাট্টকার ও অনেক বুদ্ধিজীবি। আজকের তুরস্কের সরকারী পরিবর্তনগুলোর অনেক কিছুই করে গিয়েছে কামাল এর আমলের কিছু ধর্মপ্রচারক। আমেরিকার মানুষের এখন যে ফ্রিডম দেখতে পাচ্ছেন তা গড়ে গিয়েছিল অনেকে।

বাংলাদেশের মানুষের মননের পরিবর্তক এলিটদের আমরা অনেকে চিনি না – কিন্তু তারাই বর্তমান ও ভবিষ্যত বাংলাদেশকে গড়ে দিচ্ছেন। কোন সরকারই তা পরিবর্তন করতে পারবে না, বরং সরকার নিজেই পরিবর্তত হবে সেই আদর্শে।

এ কথাগুলো অর্থ এই নয় যে রাজনৈতিক আন্দোলনকে ডিমোটিভেটেড করছি বরং আমি ভিন্ন একটি স্থায়ী পরিবর্তনের কথা বললাম।