টাকা, কারেন্সি ও সম্পদ সম্পর্কে অনেক কম জানি। শিখছি।অনেক দরিদ্র দেশের এক্সেঞ্জেবল না এমন প্রাকৃতিক সম্পদ আছে যার কারনে ঐ দেশগুলো এগুতে পারছে না। তারা যদি নিজেরা ফল্স কারেন্সি তৈরী করে কাজে লাগাতে পারে তাহলে উন্নতির পথে হাটতে পারে। ধরুন,
(১) বাংলাদেশে এক লাখ কুটি টাকা ছাপিয়ে ভিন্ন দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম নতুন প্যারালাল একটা মহাসরক তৈরী করা হলো।এরকম প্রোজেক্টে নতুন অনেক সম্পদ তৈরী হবে, রাস্তার পাসের জায়গা জমির দাম বেড়ে যাবে, সেখানে নতুন দোকান হাটবাজার হবে, অনেকে ইনভেস্ট করবে যা মুদ্রাস্ফিতির সমস্যাটা কিছুদিন পরে কেটে যাবে। মানে ফাও থেকে টাকা তৈরী করা।
(২) পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্পের মাধ্যমে যদি ইউরেনিয়াম খনি উত্তোলন করা যায়- বর্তমান ইনভেস্টের টাকা উঠে আসতে পারে।রাষ্ট্রকে এমন দারুন কাজগুলো করতে হয় করতে হয়।
(৩) দরিদ্র দেশগুলোর প্রতি ধনীদেশের এত আগ্রহ এবং ইনভেস্ট কেন জানেন? তারা ঐ দেশগুলোর প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সম্পদ তৈরী করা জানে। ইতিপূর্বে তারা করেছে। বাঙালীদের মধ্যেও পাহাড়ী সম্পদের এই লোভ আমি দেখেছি। পাহাড়ী দরিদ্রদের সম্পদ ওগুলা – এটা বললে বাঙালী ফ্রেন্ডরা আমার উপর চটবে। তারা বলবে এটাও বাংলাদেশ- সবার অধিকার আছে। (যাই হোক সেটা ভিন্ন আলাপ)
(৪) টাকা তৈরীর মেশিন দেখবেন বিভিন্ন এমএলএম কোম্পানীতে বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে সেখানে লগইন করলে কত টাকা আছে তে দেখা যায় কিন্তু উঠানো যায় না। বিভিন্ন রেষ্ট্রিকশন দেওয়া থাকে। বাংলাদেশের বেশ কিছু ইকমার্স সাইটও পয়েন্ট বিক্রি করে। কেউ কেউ কার্ড বিক্রি করে। এগুলা সবই ফল্স কারেন্সি। টাকা না ও সম্পদ না অথচ আপনি ভাবছেন এগুলা টাকা।
(৫) আমেরিকার ডলারও এরকম ফল্স কারেন্সি। তারা হিসাব করে করে এমনভাবে ডলার ছাপায় এবং ডলারকে স্ট্যাবল রাখে যে তারা টাকা উৎপাদনকারী দেশ। এজন্য ইউরুপিয়রা ইউরো এনেছে।
ফ্রান্স যখন আফ্রিকার কলোনাইজেশন ছেড়ে যায় তখন চুক্তি করে যায় যাতে ফ্রাঙ্ক ব্যবহার করে। আফ্রিকার না খাওয়া, দরিদ্র ও বেকারদের এই নিজস্ব কারেন্সির সুবিধা পাওয়া অসম্ভব।
(৬) শ্রমশক্তি ও মেধাকেও এক্সেঞ্জেবল বানাতে না পেরে অনেকে আয় করতে পারে না। কেউ কেউ খুব কম জেনেও সেটা থেকে রেভিনিউ বের করতে পারছে। আমি নিজেও এটা পারি না তেমন।
পারলে হয়তো সকাল-সন্ধা চাকরী করতে হতো না। #আইডিয়া
Photo by cottonbro from Pexels