দেশে শিক্ষিত বেকার ৫০% এর বেশি। এরূপ শুনে অনেকের মাথায় হাত চলে যায়। গোমরা মুখে নাক চুলকাতে চুলকাতে- শিক্ষা ব্যবস্থার দোষ, সরকারের দোষ এই সব বলে বেড়ায়। তারপর দে ঘুম! নতুন কোন সমস্যার খবর পেলে আবরো সে জেগে উঠবে এবং অনেকের সমালোচনায় মসগুল হয়ে আবার দিবে ঘুম!
আসলে যাদেরকে আপনি বেকার বলছেন তারা আসলেই বেকার না। তারা কাজ করাকে ঘৃণা করে। পড়া-লেখা করতে করতে সে শিখে গেছে- এই এই কাজ অশিক্ষিতের, এই এই কাজ শিক্ষিতের। তত দিনে অশক্ষিত লোকও তার ছেলে মেয়েকে শিক্ষিত বানিয়ে ফেলেছে।
কাজের বাজারে সবাই “স্যার” হতে চায়।
এখন বাস্তবতা দেখুন। একটি উৎপাদনমূখি প্রতিষ্ঠানে ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন্য দরকার হয় “স্যার”। বাকি নব্বই জনের হাতে পায়ে খেটে কাজই করতে হবে। শিক্ষার হার যেহেতু বড়ে গিয়েছে তাই সব শিক্ষিত লোককে “স্যার” এর চাকরী দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এখন কথা হচ্ছে- এত দিন পড়ালেখা করলাম কেন্? ছোট বেলাই কাজে লেগে যেতাম! সেই অশিক্ষিত লোক যে কাজ করে সেই কাজই আমাকে করতে হবে যদি ! আহা! আহা! মরি মরি! কি দুঃখ।
এক সময় যদি দেশের ১০০% লোক শিক্ষিত হয়ে যায় তবে- কৃষক, ধোপা, কুলি, রাজ মিস্ত্রী, লেবার,কসাই, কামার, কুমোর, গার্মেন্টস ও অন্যান্যর ইন্ডাস্ট্রির শ্রমিক কে হবে? আমাদের শিক্ষিতদেরই হতে হবে।
তাহলে পড়া লেখা করে কি লাভ? ছোট বেলাই কাজে লেগে যেতাম! সেই অশিক্ষিত লোক যে কাজ করে সেই কাজই আমাকে করতে হবে যদি ! আহা! আহা! মরি মরি! কি দুঃখ।
বেকারদের এই দুঃখ কোন দিনও কি শেষ হওয়ার?
Photo by MART PRODUCTION from Pexels