মুসলিমরা নিজেদের জন্য কি করেছেন?

দুনিয়া জুড়ে মুসলিমদের নির্যাতনে অন্য মুসলিম ভাই ব্যথিত হয়। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা এত আবেগময় থাকে যে তারা অন্যকে দোষ দিয়েই খ্যান্ত। সর্বোচ্চ ফোসবুকে দু-একটা স্ট্যাটাস, শেয়ারিং বা অফলাইনে মানব বন্ধন বা মিছিল টাইপের কিছু। মুসজিদে দোয়া।

আবেগের কারনে থতবত এবং নিজ উদ্যোগ সমাধানের অভাব। ভীনদেশীরা উদ্ধার করবে আপনার জাতিকে। এই আশা ব্যক্ত। সত্যি সেলুকাস!

 

মুসলিম নির্যাতনে মুসলিমদের রিয়্যাক্ট অনেকটা এরকম হয়। আর আমার প্রতিক্রিয়া-

সবই ইহুদি-খৃষ্টানদের স্বরযন্ত্র।

-তাহলে আপনারা কি করছেন। তারা স্বরযন্ত্র করছে তার বিপক্ষে আপনি কি করছেন? আপনিও স্বরযন্ত্র করেন বা যেহেতু জানেন এটা স্বরযন্ত্র তাহলে মুসলিমদের জানান।

নাস্তিক মরলে হাহাকার, মুসলিমদের মারা হচ্ছে তাতে কোন হাহাকার নেই। নেই পত্রিকায় দু’কলম। আহা!

-মিডিয়া কেন মুসলিমদের কথা লিখতে যাবে? আপনি জানেন না সব মিডিয়াই বিনোদনকেন্দ্র। অশ্লিল বিনোদনের বিরুদ্ধে ইসলামের অবস্থান অনেক কঠোর। সেটা তারা জানে। তারা জ্ঞানী। তাই তারা ইসলামের উত্থান চাইবে না। এটাই স্বাভাবিক। আপনারা মুসলিম। আপনার মিডিয়া কোথায়? আপনারাও বানাতে পারতেন এমন এক মিডিয়া যা সারা বিশ্ব কাপিয়ে দিতো।

অমুক দেশে মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে অথচ আমাদের সরকার নিরব!

-সরকার নিজের দেশ নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকবে- এটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ সরকারসহ জাতিসংঘের অন্তর্ভূক্ত কোন দেশই স্বাধীন না। জাতিসংঘের নিয়ম নীতি পড়ে দেখতে পারেন। আর আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের সরকারকে সবসময় বিভিন্ন রাস্ট্রের সাথে লিয়াজো করে চলতে হয়। বিশ্ব রাজনীতির একটা অংশ বাংলাদেশ সরকার। কোন দেশের বিরুদ্ধে যেতে হলে তাদের বিশ্ব রাজনীতির কথা চিন্তা করেই করতে হয়। তা না হলে কিছু দিন পর সেই রাজনৈতিক দলকে সরকারে দেখবেন না।

তার চেয়ে নিজে কি করতে পারেন সেটা ভাবুন।

নিজেরা কি করতে পরি?

উপরের তিনটা পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে মুসলিম কমিউনিটি অনেক কিছুই করতে পারে।

১. নিজেদের মেধাবী হতে হবে। ইহুদি-খৃষ্টানদের স্বরষন্ত্রের তালিকা বানানো যেতা পারে। তাদের রোড-ম্যাপ আছে। আছে শক্তিশালী ইন্টিলিজেন্টস।

২. মুসলিমদের শক্তিশালী মিডিয়া প্রয়োজন।

৩. বিভিন্ন দেশে নির্যাতিতদের যেমন- মায়ানমারের নির্যাতিতদের অার্থিক সহায়তা প্রদান। তাদের বৈধ ভিসার ব্যবস্থা করা। আর এ জন্য ভান্ড সংগ্রহ।

ইহুদিদের কাছ থেকে শিখে নিন। কিভাবে ভিন্ন ভিন্ন দেশে থেকেও এক থাকা যায়।

 

Photo by David McEachan from Pexels