প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ওয়াজ মাহফিলে বা ওরসে খরচ হয়, কিন্তু তবু মানুষ ইসলামে আকর্ষিত হচ্ছে না কেন?
https://www.facebook.com/shamsuddha/posts/2198031750222292
আমার উত্তরঃ
ওয়াজ মাহফিল-একটা প্রচেষ্টা। এখানে শিক্ষিত অশিক্ষিত সব প্লাটফর্মের লোক আসে। ওয়াজ মাহফিল এর ইফেকটিভনেস অনেকটা প্যাসিভ। “কি করা যাবে আর যাবে না” তার কিছুটা হলেও শিখছে। এটারও দরকার আছে। একজন ব্যক্তিকে দাওয়াত দিতে হলে তার সাথে পরিচয় হয়ে এক এক করে দাওয়াত দিতে হয়-লেগে থাকতে হয়। সেটা বেশ ইফেকটিভ হয়। এরকম দাওয়াতও অনেকে দিচ্ছে। বাংলাদেশের সমাজ ও রাস্ট্র ব্যবস্থায় এই দুই ধরনের দাওয়াতের প্রভাব রয়েছে-সেটা বুঝতে পারবেন পাসের দেশের সমাজ ব্যবস্থায় প্রবেশ করে-দেখুন পাসের দেশের রাস্ট্রে মাদক কত শিথিল-বিভিন্ন সামাজিক ভায়োল্যান্স কত বেশি!
আর হা। টাকা কালেকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় ফান্ডিং হচ্ছে-সেটাও বেশ ইফেকটিভ। অনেক দরিদ্র বাবা-মা তার সন্তানদের একেবারে কম খরচে মাদ্রাসায় পড়াতে পারছে-অনেক এতিম শিশুর মা তার সন্তানকে এতিম খানায় রাখতে পারছে। যেহেতু সরকার এতিমখানার দায়িত্ব নেয় নি-স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছে সেহেতু টাকা আয়ের টারগেটও ওয়াজ মাহফিলে থাকে।
আমরা অনেকে ওয়াজ মাহফিলের ইফেকটিভনেস দেখি না-আসলে ইসলাম এমন একটা ধর্ম যেখানে ইফেকটিভনেস দেখানোই নিষেধ। আপনি দান করলেও সেটা জানাতে পারবেন না। কি অদ্ভুত।
আমি কয়েকটা মাদ্রাসায় দাওয়াত পেয়ে গিয়েছি। আপনি বাংলাদেশের বড় ৮-১০টা এতিমখানায় ভিজিট করুন-তাদের টাকার উৎস খুজুন-ইফেকটিভনেস বুঝতে পারবেন।
এখানে ওয়াজ মাহফিলের সাথে ওরসের কথা উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের যে ধরনের ওরস হয় তার অধিকাংশই হারাম। সেটার ইফেকটিভনেস খুজে লাভ কি?
1 Comment
Add Yours →[…] […]