সংস্কৃতির হালাল হারাম

ইহা আমাদের সংস্কুতি তাই ইহা আমাদের মানিতে হইবে।
এই সংস্কৃতি অমুক স্থান হইতে আগত। তাই ইহা মানা যাইবে না।
এইভাবে কি সংস্কৃতি রক্ষনাবেক্ষণ করা যায়?
প্রগতিশীলদের আর মোল্লাদের সংস্কৃতি চিন্তা এই ক্ষেত্রে প্রায় একই রকম।
প্রগতিশীলরা মোল্লাদের সংস্কৃতিকে আরব থেকে আগত সংস্কৃতি বলে যে প্রচার করে। তারা চায় বোরকা, হিজাব, দাড়ি, টুপি সংস্কৃতিটা প্রবেশ না করুক।
টিভি, সিনেমার মাধ্যমে বিদেশি পোষাকের কিছু কিছু যে এই বাংলায় প্রবেশ করেছে- তার বিরোধী মোল্লা সহ অনেকে।
সংস্কৃতি নিয়া টানাটানি কিন্তু অনেক দেশে আরো বেশি আছে।
ইদানিং বেশ কিছু দেশে সংস্কৃতি বিষয়ে আইনও তৈরী হচ্ছে। আপনি কোন পর্যন্ত পোষাক পড়বেন, দাড়ি রাখবেন কি রাখবেন না। কোন অনুষ্ঠান করবেন কি করবেন না।
সংস্কৃতির হারাম হালাল সেই দেশের আইন দ্বারা সিদ্ধ হইতে হয়। ইহাই সংস্কৃতি রক্ষার সবচেয়ে দুর্বলতম হাতিয়ার।
সংস্কৃতির মত ধাবমান একটা জিনিসকে বাধা প্রদানের মধ্যে এটা আরো বেশি প্রভাবশালী হতে পারে।
সংস্কৃতি রক্ষার সবলতম হাতিয়ার তাহলে কি? তা নিয়ে না হয় আরেকদিন কথা বলি।

Leave a Reply