আমার একটি বাগান থাকবে- এমন একটা পরিকল্পনা অনেক দিনেরই। বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে যা লিখে রাখার জন্য এ পোস্ট। বাগান করবো ধিরে ধিরে- সময়ে সময়ে। এক সাথে না। ইনশাল্লাহ।
সব পরিকল্পনাই সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়। তাই পোস্টটি আপডেট হবে নিয়মিত।
কদমতলী নিজ বাসাঃ
বাসার ছাদে অল্প কিছু যায়গা আছে। প্রায় ১৫০ স্কয়ারফিটের মতো। এখানে বাগান করতে হলে ভার্টিক্যাল গার্ডেনিং (উপর নিচ) করলে বেশি যায়গা পাওয়া যাবে। তবে প্রথমেই ভার্টিক্যাল গার্ডেনিং করবো না।
- প্রথম দিকে কিছু টপ দিয়ে শাক-শব্জির বাগান করবো। শাক ফলনের পর মা অনেক বড় ধরনের বাগান করার অনুমোতি দিতে পারে। এখানে ধিরে ধিরে সবোর্চ্চ ৫০ টি টব কিনবো। প্রতিটি টব ১.৫ স্কয়ার ফিট জায়গা নিবে। টবের পরিবর্তে স্কয়ার বওল বা ড্রাম কেটে টব বানিয়ে বা স্টিলের ট্রে বানাতে পারি। শাক ফলনের জন্য অল্প উচ্চতার ট্রে ভাল হবে। (তিন মাস)
- ছাদের উপরের ঘরের দেয়াল ঘেষে একটা রেক বানাবো। রেকটি স্টিল বা কাঠের তৈরি হতে পারে। সেখানে চারটি থাক- এ কিছু ক্যাকটাস চারা তৈরি করবো। মোটামুটি ২০০-৩০০ টি ছোট (২-৫ ইঞ্চি) টব রাখা যেতে পারে। প্লাস্টিক বোতল কেটে, রং করে এই টবগুলো বানানোর পরিকল্পনা আছে। ক্যাকটাস, সাকুলেন্ট এবং বিরল প্রজাতির কিছু বীজ বিদেশ থেকে আনাবো, এবং চারা করে বিক্রি করবো। (৩ মাস)
- মাসে দুই-চার দিন বাড়িতে গিয়ে বাগানটার পরিচর্চা করবো। এলাকায় কয়েকজন গরু পালন করে। তাদের কাছ থেকে গোবর এনে কম্পোস্ট বানাবো। কম্পোস্ট বানানোর জন্য আলাদা একটা ড্রাম থাকবে।
- এই বাগানের লাভের টাকা দিয়েই একটা একটা করে ট্রান্সপারেন্ট প্লাস্টিক শেড কিনবো, যাতে অতিবৃষ্টিতে গাছ নষ্ট না হয়।
শ্রীপুর ভাড়া বাসাঃ
এখন যে বাসাটায় আছি সেটায় বেলকুনিতে অনেক যায়গা আছে। আর ঘরের ভিতরে গাছ লাগাবো। বাসা পরিবর্তন করতে হলে এমন একটা ভাড়া বাসা নিব যেখানে বাগান করা যায়। আপাততঃ পরিকল্পনা এমনঃ
- বেলকুনিতে ২০ টি টবে শব্জি বাগান করবো। বেলকুনি যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে সে জন্য টবের নিচের অবশ্যই ট্রে থাকবে। (২ মাস)
- এখানেও ঝুলন্ত বাগান করবো। সৌন্দর্য রক্ষার্থে বেলকুনির একপাসে করবো। অন্যপাস খালি রাখবো।
- ঘরের মধ্যে ক্যাকটাস ও সাকুলেন্টের বাগান হবে। পর্যাপ্ত আলোর জন্য grow light ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশে এই বাল্ভ পাই নি। বিদেশ থেকে এনে নিতে হবে।
1 Comment
[…] In Bangla […]