ফেসবুক স্ট্যাটাস ২০১৮ (জুলাই থেকে ডিসেম্বর)

Image by Gerd Altmann from Pixabay

৩১ ডিসেম্বর

অনেক বিদেশীরা বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টরের টপ পোস্টগুলোতে চাকরী করে। এটার বিরোধী অনেকে আছে। অনেকে ওদের হিংসা করে। অনেকে এটার সমালোচনা করে।
কিন্তু তারা আমাদের যে কত বড় উপকার করে দিয়ে যাচ্ছে তা চিন্তা করুন। দেশী ম্যানেজমেন্ট দুর্নীতি করে প্রতিষ্ঠানটির বারোটা বাজায়ে দিতো। সব ক্ষেত্রে নিজের আত্নিয় স্বজনদের চাকরী দিতো। নিজের লোকের একটা বলয় তৈরী করতো। রাজনীতিতে যেটা দেখতে পাচ্ছেন, ফলে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংশ অনিবার্য হতো।

নির্বাচন সুষ্ঠ হবে ভাবছিলাম,
কিন্তু এত বেশি সুষ্ঠ হবে কে জান্তো?

২৭ ডিসেম্বর

অনেক নেতারাই তাদের বিরোধী পক্ষের কাছে ছেলে বা মেয়ে বিয়ে দিয়ে রেখেছে। তারা হামলা মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে। তাদের হয়েই অনেকে মারপিট করছে।

২৫ ডিসেম্বর

কোন স্বৈরশাসক চয়েজ করবেন তার জন্য ভোটের ব্যবস্থা করলে তাকে গণতন্ত্র বলে।
Democracy is freedom to elect our own dictator.

এক একটা ইভেন্টে যে পরিমান ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট তৈরী হচ্ছে তা কালেকশন করে রাখার মতো। সব একসাথে কম্পোজ করে কোথাও রেখে দিলে একসময় একটা জীবন্ত ইতিহাস জাদুঘর বানানো যায়।
এবার নির্বাচনেও দলগুলোর ক্রিয়েটিভিটির আয়োজন চোখে পড়ার মতো, তবে এর চেয়ে ভাল কিছু কনটেন্ট তৈরী হয়েছিল কোটা, নিরাপদ স্মরক, সাহবাগ, ভ্যাট আন্দোলনে।

২৩ ডিসেম্বর

কিছু পোস্টার মুদি দোকানদারদের দিয়েন। কাজেও লাগবে, প্রচারও হবে। শিশিরও নষ্ট করবে না।

বছর শেষ হওয়ার মাসেই স্বাধীন হয় আমার এ দেশ।
কি অদ্ভুত অনুভুতি ছিল সেটা !
জানতে করতে মন চায়।

২২ ডিসেম্বর

২০১৮ সালের Only Me দিয়ে লেখা স্ট্যাটাসঃ

প্রতিটি চেতনায় থাকে আরেকটা প্রতিক্রিয়াশীলতা।

জোর কারে বাংলা ভাষা চাপিয়ে দেওয়া পকিস্তানের উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার মতোই। বাংলা ভাষার জন্য কে কি করেছে? “সিটি করপোরেশন” শব্দটা বাংলা কর আগে।

প্রতিটা গ্রামের বাড়িতে আগে বেশ কিছু জিনিস ছিল-একটা একটা করে এখন কমছে-
১. ভিটা ও ঘর
২. পুকুর
৩. বাশ ঝাড়
৪. পাকের ঘর
৫. ধান ও লাকরী রাখার ঘর
৬. কাছারী ঘর
৭. কোলা -বাড়ীর চেয়ে নিচু জায়গা যেখানে শব্জি চাষ করা যায়।
৮. হাস মুরগীর বাসা
৯. গোয়াল ঘর
১০. ডীপ কল – কয়েকটা বাড়ী মিলে একটা

ল’ পাশ না কইরা তুই পুলিশে চাকরী নে।
সরাসরি জজ হতে পারবি।

দেখতে অসুন্দর ও পোকাওয়ালা ফলই ভাল ছিল। ক্যামিক্যাল বিষ ছিল না।

পৃথিবী বিভিন্ন অংশে ভাগ করা হলো। যাতায়াত বন্ধ করা হলো। জিনিসপত্র আনা নেওয়া বন্ধ করা হলো। তারপর বললো যেতে হলে ভিসা লাগবে, ভিসা নিতে টাকা লাগবে। জিনিসপত্র নিতে আনতে আরো টাকা লাগবে।

৫ মে আওয়ামিলীগকে পাল্টে দিছে। বাংলাদেশের রাজনীতিও পাল্টে দিছে।
এই দিবসটা তাদের পালনকরা দিবসগুলোতে যোগ করা উচিৎ।
এই দিনটা আওয়ামিলীগ ডে। এই দিনটাই আওয়ামিলীগকে শক্তিশালী প্রমান করছে। এবং তারা ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করতে পারতেছে। এই দিনটা ছিল আওয়ামিলীগের একটা বিজয় দিবস।

:p একইভাবে বিএনপিও এই দিনের পরে বড় ধরনের কোন মিটিং মিছিল আয়োজন করতে পারে নাই। বিএনপির নেতারা ৫ মে কে স্মরণ করে ভয়ে কাঁপে। 🤐 জামাতও এরপর থেকে খুব একটা সরকারের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় না।

বৃটিশরা এমন কিছু কাজ বাঙালীদের করে দেখাইছিল যা তারা আগে ভাবে নি।
তাই ১৯০ বছর এই উপমহাদেশ শাসন করতে পারছে।
যোগাযোগের রেলওয়ে ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইন- অন্যতম। যদিওবা তাদের শোষণের চাইতে খুব কম কিছু। কিন্তু ঐ সময় বৃটিশ এই উপমহাদেশ শাসন না করে নবাবরা করলে কি এইসব দেখতাম কিনা সন্দেহ।
তো পরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পর্বে যারা আসছে তারা যদি এর চেয়ে বেশি কিছু করেই থাকতো তাহলে বৃটিশ আমলের রেল, বিশ্ববিদ্যালয় বা আইন এমন হতো যে তাদের অবদানগুলো চোখেই পরতো না। কিন্তু তা হয় নি।

কমিউনিটির চাপে বিচারের ভাঁণ।
আর কত?

মাঝে মাঝে তুমি বড়লোকদের পার্টিতে যাবা। মাঝে মাঝে যাবা হত দরিদ্রতের পার্টিতে। তাদের সাথে মিশলে অনেক কিছু জানতে পারবা।
কিন্তু বড়লোক বলতে এলিট যারা তারা তোমাকে সহজে মেনে নিবে হয়তো। তুমিও হয়তো তাদের পদ্ধতি কয়েকদিনে শিখে ফেলতে পারবা। কিন্তু হত দরিদ্রেদের সাথে মিশা ও তাদের নিজেদের লোক হয়ে চলাফেরা বেশ কঠিন। এটা শিখতে পারলে তুমি উন্নত দেশের নাগরিক হতে পারবা।

শহরের মানুষেরা একটা চক্রের মধ্যে পড়ে যায়। সে নিজেও বুঝে উঠতে পারে না- কি এক অর্থনৈতিক চক্রান্তে সে আছে। বিশেষ করে যারা ভাড়া থাকেন।
সব খরচ শেষে দশ-বিশ বছর পর সে গ্রামের মানুষের চেয়েও পিছিয়ে থাকে।

নতুন সম্পর্কের জড়ানোর পর পরিবারকে গুরুত্ব দিন। আপনার গুরুত্ব দির্ঘস্থায়ী হবে।

অর্থনৈতিক বিপর্যয়টা কৃষক-শ্রমিক পর্যায়ে পৌছাতে একটু সময় লেগে যায়। মানুষ বুঝে উঠতে পারে না আর তাই ধারাবাহিকভাবে জিনিসের দাম বাড়ে। গাড়ীভাড়াটা বাড়ে সাথে সাথে। ইদানিং কৃষি পন্যও বিদেশ থেকে আমদানি হচ্ছে আর তাই কৃষি পন্যের মূল্যবৃদ্ধিও সাথে সাথেই হচ্ছে ।
টাকার অবমূল্যায়নে দরিদ্র যেভাবে আরো দরিদ্র হচ্ছে এ বিষয়ে তেমন কোন যৌক্তিক আলোচনা নেই।
সাম্যবাদিদের প্রগতি শুধুই ইসলামোফোবিয়াতে সীমাবদ্ধ।

বাঙালী সংস্কৃতির বিরোধীতা করে প্রচার করাও ফ্রিডম অব স্পিস। আপনি এ দেশের নাগরিক হয়েও যে কোন দেশের সংস্কৃতিকে ভালবাসতে পারেন, পালন করতে পারেন, এটা আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতা। আপনি শুধুমাত্র ইংরেজী, উর্দো, হিন্দি বা অন্য যে কোন ভাষায় কথা বলবেন, বলেন। আপনি স্বাধীন।
আপনাকে যারা কোন কিছুতে বাধ্য করবে-তারা প্রতিক্রিয়াশীল।
এই প্রতিক্রিয়াশীলতার ক্ষমতা এখন ছোট পরিসরে আছে বলে বুঝতে পারছেন না- এখন খাবারের সাথে ওষুধ মিলিয়ে খাওয়াচ্ছে, একসময় টুটি চেপে ধরে খাওয়ানো হবে। আপনার স্বাধীনতা গিলে খাবে রাস্ট্র নামক শোষক শ্রেনী ও তাদের তাবেদাররা।

জিন্স, টিশার্ট, পোলাও, বিরানী আর ফাস্ট ফুড বিশেষ করে ফ্রাইড চেকন আর বার্গার বাংলা সংস্কৃতিতে ঢুকে গেছে। বৈশাখে এদের কেন অবহেলা?

সংস্কৃতি ইতিহাস দিয়ে হালাল করার বিষয় না। ধর্ম, রাজনীতি ও ব্যবসার প্রভাবে আপনি যেভাবে চলছেন তাই বাংলাদেশের সংস্কৃতি।
ঢাকার সমাজে বিনোদনের বড় অভাব। আপনি ভাবতে পারেন- বিনোদনের জন্য অনেক কিছুই তো ঢাকায় আছে। আসলে না! আসল জিনিসটাই নেই-সময়।
আপনি হয়তো অনেক বেশি লোক দেখছেন পহেলা বৈশাখ বা অন্য কোন দিবসে। কিন্তু দুই কোটি লোকের হিসেবে পার্সেন্টেজটা অনেক কম।
এই বিনোদনের অভাবগুলো মিটানোর প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন দিবসে লোকজন ঘর থেকে বের হয়। পহেলা বৈশাখ এমন আরেকটা দিন।
এর ভিতরে অনেকে নিজেদের রাজনীতি ও ব্যবসার প্রয়োজনে অনেক কিছু এড করে দিচ্ছে। আপনিও কিছু যোগ করতে পারেন। আপনার ডোপিং করা জিনিসটা হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতির অংশ হতে পারে।

🙂 যেমন অনেকে পহেলা বৈশাখে ঈলিশ খাইতেছে, আপনি টাকিমাছ ভর্তা যোগ করে দিতে পারেন।

ঘুষ দে চাকরী নে…
কোটা থাকুক বা না থাকুক।
এবার তোরা ঘুষ খা, বাড়ি গাড়ি কর।

Go and catch a falling star
কবিতাটা পাঠ্য ছিল। নারীবিদ্বেসী কবিতা। দারুন কবিতা।

বিদ্বেস আন্দোলনের হাতিয়ার।

কিভাবে খারাপ মানুষ সার্ভাইভ করে ?
-এ বেপারে গবেষণা জরূরী।

যেদিন মাইক নিষিদ্ধ হবে, সেদিন বুঝবেন এই দেশ সভ্য হইছে।

২০১৮ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে শহরের অনেক দালানে বিয়ের মতো বাতি জ্বালানো শুরু করে। এই রাতে কি হয়েছিল?

বই পড়ে বিনয় শিখা যায় না।
এমন অনেক কিছুই আছে যা বই পড়ে হয় না।
আবার অনেক অনেক বই পড়ে যতটা ম্যানার শিখতে পারবেন তার চেয়ে কম সময়ে শিখতে পারবেন কিছু লোকদের সহচর্যে। ভাল লোকদের সহচর্যে থাকার প্রয়োজনিয়তা কম লোকই জানে।

ঢাকার (জলাব্ধতা-জানজট ইত্যাদি) সমস্যায় জর্জরিত কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, ঢাকায় থাকেন কেন-
-চাকরীর জন্য ।
-বাচ্চার পড়ালেখা গ্রামে ভাল হবে না ।
-গ্রামে ভাল হাসপাতাল মেডিকেল নাই ।
-গ্রামে কাচা বাড়িতে বউ থাকতে চায় না, এখানে তো ফ্লাটে ভাড়া থাকি ।
-ঢাকায় প্রায় সব জিনিস পাওয়া যায়, যেটা গ্রামে পাই না।
ইত্যাদি।
ঢাকায় জন্ম নেওয়া যুবকদের কমই ঢাকার নাগরিক সমস্যা নিয়ে মাথা খাটায়। তারা জানে, এটা সমস্যা না, এটা নিয়ম। অনেক লোক গ্রাম থেকে ঢাকায় পড়ালেখা বা বিভিন্ন অফিসে চাকরী করতে আসায় এই নিয়মগুলো তৈরী হয়েছে। তাদের চাহিদা পূরণ করার জন্য আরো কিছু কর্মক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। এভাবে গত তিন দশকে অনেক লোক বেড়েছে ঢাকায়।
সরকার বা সিটি করপোরেশন যতটুকু পারছে আপনাদের বকাঝকা হজম করছে- আর হাসছে মিটিমিটি।

🙂
এখান আসেন ঢাকার সমস্যা সমাধান করি-
-সরকারী অফিস মন্ত্রণালয়, শিক্ষাবোর্ড, বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রিয় অফিস ঢাকার বাইরে নিতে হবে।
-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সরিয়ে ঢাকার বাইরে নিতে হবে। আরো কিছু সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ঢাকার বাইরে স্থাপন করতে হবে।
-আরেকটা করে ঢাকা মেডিকেল, পঙ্গু হাসপাতাল, পিজি হাসপাতাল, সরোয়ারদি হাসপাতাল ঢাকার বাইরে করতে হবে।
-প্রতিটা জেলায় রাজুকের বসুন্ধরা প্রকল্পের মতো করে প্লট বিক্রি করবে, ফ্লাট ব্যবসা বিভিন্ন জেলায় নির্দিষ্ট এলাকায় শুরু করবে।

দরিদ্র ও কম জনপ্রিয় থাকা অবস্থায় গবেষক, বিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তাদের জীবনের সবচেয়ে ইফেকটিভ কাজগুলো হয়।
ইনোভেশন ব্যবসায় পরিনত হওয়ার পর স্বয়ং নিজে তার পণ্য বা ব্যবসার পুতুলে পরিনত হতে পারে।

বিষয় রোহিঙ্গাঃ মিয়ানমার সরকারের উপর আন্তর্জাতিক কোন তেমন চাপ দেওয়া হয় নাই। যাদের মারা হয়েছে বাড়ি ঘর জালিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই দিকে তেমন কোন ভ্রুক্ষেপও নাই। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় নাই। তারা ফিরে গেলে নিরাপত্তা পাবে এমন কোন মুচলেকাও জাতিসংঘ আদায় করতে পারে নাই-মিয়ানমারের কাছ থেকে। মিয়ানমারে তারা যেখানে থাকবে তার মনিটরিংও কোন আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান নেয় নি। তাহলে কি রোহিঙ্গারা সেথানে যেতে চাইবে? চাইবে না। এটাই নিয়ম।

জনপ্রিয়তা একটা ভ্যালু। মানুষ এমন যে এক কাজের জনপ্রিয়কে অন্য কাজেও যোগ্য মনে করে। প্রেমে পড়ার বেশিভাগ কারন কোন কোন জিনিসে তাকে ভাল লেগেছে। বাপ-মা’র কাছে সেটার হয়তো ভ্যালু নাই। তাই তারা এই প্রেমটাকে মানতে পারছে না।
তো এই জনপ্রিয়তাটাকে অনেকে অন্য ক্ষেত্রে কাজে লাগায়, এই ভ্যালুটা সেল করে। কেউ কেউ এই ভ্যালুকে সেল করতে চায় না-তাদের মটিভ ভিন্ন।

নেতা মাশরাফী লীগের নেতাদের চেয়ে ভাল না খারাপ তা আপনি জানেন না। সেটা বুঝা যাবে ক্ষমতায় যাওয়ার পর। তাহলে লীগে সে ঢুকে গেলে আফসোস কিসের? ক্রিকেটার মাশরাফীকে যারা ভালবাসেন তারা ভালবাসতে থাকেন, সমস্যা কি?
এখন যেহেতু দেশে একটাই রাজনৈতিক দল তথা আওমিলীগ আছে সব ভাল লোক সেটাতে ঢুকে যাক। সমস্যা কি?

ছেলের মেধা বিকাশের জন্য বছরে অন্ততঃ চারটা ট্যুর দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিলাম। তিন চার বছর বয়স পর্যন্ত ট্যুরগুলো আত্ত্বিয়দের বাড়ি পর্যন্ত সীমাবন্ধ থাকতে পারে। ওর ভিডিওগুলো ধারাবাহিকভাবে একটা চ্যানেলে আছে। যারা দেখতে চান তাদের জন্য লিংক কমেন্টে।

মিস্টার ট্রাম্পকে এদেশের মোল্লাপন্থিরা দেখতেই পারে না। অথচ ওনার আমলেই মুসলিম বিশ্ব আগের তুলনায় শান্তিতে আছে। বিষয়টা আমি মিলাতে পারি না, কেউ কি ব্যাখ্যা করবেন?

জন্ম থেকে যারা ঢাকায় বড় হয় তারা অনেক কিছু দেখে। অনেক টাইপের ফ্রেন্ডও হয়। কারো ভাগ্যে বস্তি, উচ্চ বিত্ত, মোল্লা, মাদকি, সেমি মাদকি, গ্রাম্য, ফ্যাশনেবল, আঠার মতো লেগে থাকা ইত্যাদি ধরনের বন্ধু-বন্ধবী জুটে যায়। কখনো বা রাস্তায় দোকানের সিড়িতে বসে আড্ডা, কখনো বা ফাইভ স্টার হোটেলের দাওয়াত আবার কখনো সবেবরাতে ভোররাতের বিরিয়ানি সবই জোটে।
যুবক হতে হতে তারা লীগ, বিএনপি, শিবির, তাবলীগ, কম্যুনিস্ট, জঙ্গি, গুন্ডা বড় ভাই মোটামুটি সবার দাওয়াত পেয়ে যায়। দাওয়াত পায় মদ পার্টি, নারী পার্টি বা ভ্রমন উদ্যাম ফালতু মাজাদার গ্রুপেরও। পরিচয় হয় পাসের বিল্ডিং এর ছোট আপু, বন্ধুর মমতাময়ী বড় বোনের সাথেও।
এত কিছুর পরও শহরের যুবক ছেলেটা যখন অবুঝ গ্রাম্য কিশোরের মতো ভদ্র হয় তখন আমরা তাকে “আতেল” বলে চেতাই। কিন্তু সে চেতে না- একটা মুচকি হাসি দিয়ে এড়িয়ে যায়।

ট্রেনে যাতায়াত করলে আপনি একটা জিনিস দেখবেন, ট্রেন আসছে এটা দেখার পরও ট্রেন লাইনে দাড়িয়ে গল্প করে যাচ্ছে। কাছাকাছি এলে সরে যাবে। এবং পরে সরে যায়। এটার কারনটা আসলে কি?
একটা কারন হতে পারে, আগে না সরে গিয়ে অন্য মানুষকে তার প্রতি এট্রাক্ট করা। নিজেকে হাইলাইট করা।

কুটি টাকায় তৈরী মোবাইল এপস ৪ বছরে হাজার খানেক ডাউনলোড।

বাংলাদেশের অপরাধ জগতটা এত সুন্দরভাবে সাজানো আর গোছানো! একটা পরিবারের সদস্যদের ভালবাসার জগতের মতো, পুকুরের বাস্তু সংস্থানের মতো, পানি চক্রের মতো সবাই সবাইকে সার্ভাইভ করে চলছে। এমন কি আপনিও এই সার্ভাইবালের অংশ।
পুলিশ যে ঘুষ নেয় এটা তাদের অপরাধ না।
পুলিশ যখন দেখে যে, উপরওয়ালার ফোনে আসামীকে ছেড়ে দিতে হবে। অনেক অপরাধী গুষ্ঠির অপরাধে সে হাত দিতে পারবে না। তখন সে নিজেকে উপরওয়ালা বানিয়ে নেয়। যে টাকা উপরওয়ালা কামাই করবে সে টাকা সে নিজে নিয়ে নেয়। আমরা জনসাধারণ যে পুলিশের ঘুষ নেওয়াটাকে দেখি, পুলিশকে-ঠাট্টা বিদ্রুপ করি।
পুলিশ যদি ঘুষ খাওয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে কি মনে করেন দেশটা সুন্দর গোছানো হয়ে যাবে? যাবে না। কারন, সবচেয়ে বড় অপরাধ জগতটা পুলিশের কর্মক্ষেত্রের বাইরেই রয়ে গেছে। আর এটা জেনে পুলিশ ছোট বালুকণা পরিমান ধন্দা করে।

একটা বিদ্রোহ একবার বন্ধ হলে মানুষ আবার সেই ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হতে চায় না- এটা মানুষের বৈশিষ্ট্য। এটা সম্ভবতঃ মনোবল ভাঙার কারনে হয়।

বিভিন্ন একনায়ক তন্ত্রের বিদ্রোহ দমনের পদ্ধতি ইতিহাস ঘাটলে জানতে পারবেন। কমন বেপার অনেকটা এমন ছিল-
প্রথমে দমন করার চেষ্টা করা হতো। টেকনিক্যাল দিক থেকে সেটা সম্ভব না হলে,
বিদ্রোহের মিডল ক্লাসদের টারগেট করে তাদের সাথে সমোঝতার চেষ্টা চালানো হতো।
সুযোগ সুবিধা ও দাবি মেনে নেওয়া হতো।
বিবাদ মিটে গেলে মূল নেতাদের সনাক্ত করে শিরোচ্ছেদ বা কঠোর শাস্তি দেওয়া হতো।

কুকুরের কাজ কুকুর করেছে। কামড় দিয়েছে পায়। -এখানে কবি কাদেরকে কুকুর বুঝাচ্ছে?

৭১ এ যুবকরা ছিল আবেগপ্রবণ।
-এখন কিশোর কিশোরীরা।
এই সময়ের যুবকেরা বৃদ্ধ।

প্রশ্নঃ ঢাকাকে যাদের এত অপছন্দ তারা ঢাকায় থাকে কেন?
উত্তরঃ পেটের দায়ে।
প্রশ্নঃ তারা সবাই যদি ঢাকা ছেড়ে চলে যায় তাহলে কি হবে?
উত্তরঃ ঢাকা গ্রামের মতোই সুন্দর হবে। এত প্রশস্ত রাস্তা ও ফ্লাই ওভারসমৃদ্ধ একটা যাদুঘর পাবে বিশ্ব।

১. প্রেম, ভালবাসা বা বিয়ে সম্পর্কে বাইরের জগৎ তোমাকে যেমনটা শিখায়, বাস্তবতা তেমন নাও হতে পারে। এতে হতাশ হবে না। তুমি প্রস্তুত থাকো যে তোমার ক্ষেত্রে এর ভিন্ন কিছুই অপেক্ষা করছে-ভাল বা মন্দ যা তোমার সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
তুমি কখনো আশা করবে না তোমার স্বামী/স্ত্রী/প্রেমিক/প্রেমিকা তোমার জন্য সম্পূর্ণরূপে পাগলপরা হবে বা মরতে রাজি হবে-যেমনটা সিনেমায় দেখায়। তবে আশা করতে পার নিজের কাছ থেকে-তুমি সর্বোচ্চ ভাল ব্যবহার করে যাবে।
২. বন্ধুদের কাউকে উপকার করেছ বলে তুমি যে এমনটাই ফেরত পাবে তা আশা করতে যাবেই না। এটা করলে তুমি যে কষ্টটা পাবে তার কোন মটিভেশন পৃথিবীতে নাই।
কাউকে বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে বা কারো সাথে সুসম্পর্ক রেখে নিয়মিত ত্যাগ স্বীকার করতে দেখা যায় কাউকে। অনেকে প্রয়োজনের বেশি খোজখবর রাখে বা উপকার করে বা চেস্টা করে। এমনটা করলে তুমি কষ্ট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাক।
তুমি উপকারের উপকার ফেরত না পেয়ে কষ্ট পেলে – স্বার্থপর তোমার চেয়ে ভাল। তার দুঃখ করার কিছু থাকলো না।
৩. তুমি যেমন জীবন যাপন করেছো। তোমার বন্ধুরা তেমনটা করে নাই। তোমার বাবা মা ও পরিবেশ তাদের মতো না। তাদের সাথে ভাল বা খারাপের প্রতিযোগিতায় যাওয়া তোমার জন্য ঠিক না। নিজের একটা স্ট্যানডার্ড অনুযায়ী তুমি চলবে। পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে যদি তোমার সামর্থের বাইরে চলে যায়- তুমি বন্ধুদের সরাসরি জানাতে পার। কোন ভান করবে না।
দারিদ্রতা প্রকাশ করা খারাপ কিছু না, বরং নিজের অভিজাত্য জাহির করার কারনে পরবর্তিতে অপমানিত হওয়ার সম্ভবনা তৈরী হয়।

জ্ঞানই শক্তি। জ্ঞান অর্জনের জন্য এভাবে ছোট বেলায় ইন্সপায়ার করা হতো। শক্তিটা যে দরকারী – তা বলা হতো না, লুকানো হতো।
এক ডাক্তারের সাথে কথা বললে উনি বললো, তার সন্তানকে ডাক্তার বানাবেন না। যেকোন ভাবে প্রশাসনের কর্মকর্তা বানানোর চেষ্টা করবেন। পৃথিবীর শক্তিশালীরা জ্ঞানীদের ভাড়া করে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যে পৌছায়।
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমার নিজের শিক্ষা হলো তোমাকে শক্তি অর্জন করতে হবে। ইথিক্যাল আন-ইথিক্যাল যে কোন কাজই শক্তি ছাড়া করা সম্ভব হবে না। এমন কি যে জ্ঞান তুমি অর্জন করেছ তা কাজে লাগাতেও শক্তি প্রয়োজন।

কয়েকজন হুজুরকে ফলো করার পর দেখলাম তারা অন্য হুজুরদের বিরোধীতার স্ট্যাটাস দিয়েই যাচ্ছে, দিয়েই যাচ্ছে।

চার পাঁচ মাস পর পর এমনি এমনি-ই গুগল কিছু টাকা পাঠায়। বৃদ্ধ (যদি হতে পারি) পর্যন্ত এভাবে দিয়ে গেলে ভালোই হবে।

অনেক দিন বড় কোন অনুষ্ঠানের দাওয়াত না পেলে হাপিয়ে উঠি। বাড়িতে না থাকায় ঠিক মতো এটেন্ড করতে না পারলেও চট্টগ্রামে অনেক অনেক বিয়ে খাইছি। গাজীপুরের চাকরীতে এসে তেমনটা জোটে নাই।

শহরের মানুষেরা একটা চক্রের মধ্যে পড়ে যায়। সে নিজেও বুঝে উঠতে পারে না- কি এক অর্থনৈতিক চক্রান্তে সে আছে। বিশেষ করে যারা ভাড়া থাকেন।
সব খরচ শেষে দশ-বিশ বছর পর সে গ্রামের মানুষের চেয়েও পিছিয়ে থাকে।

বছর শেষের দিকে। Only Me এর অনেক স্ট্যাটাসই খুজে খুজে প্রকাশ করবো। আর সারা বছরের লেখাগুলো পড়বো – আর হাসবো । ভাল থাকুন।

কিছু ধানের শীষের পোস্টার আওয়ামিলীগের ছাপিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। অন্ততঃ নিবার্চন নির্বাচন ভাব থাকতো…।

২০ ডিসেম্বর

নিজে ক্ষমতায় থেকে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কে চায় নাই? গণতন্ত্রকে বাঁশ দিতে কে চায় নাই? জিয়া, এরশাদ, খালেদা বা হাসিনা কে চায় নাই? সবাই চাইছে। হাসিনা ও এরশাদ বেশ ভাল সময়ই সারভাইভ করছে। সবারই ডিকটেটর হওয়ার ইতিহাস আছে-কয়েকদিন পর আরেকটা ইতিহাসের স্বাক্ষী হবেন। খারাপ কি?
অহ ! আপনে ক্ষমতা পাইলে কি করতেন? আপনিও স্থায়ী হওয়ার জন্য এই কাম করতেন। জনগণ নিজেরাও গণতন্ত্র চায় না, তারা চায় যেমনে হউক তার পছন্দের দল আজীবন ক্ষমতায় থাকুক।
আচ্ছা থাকেন। আমি যাই।

খালেদা বা হাসিনা কে চায় নাই? সবাই চাইছে। হাসিনা ও এরশাদ বেশ ভাল সময়ই সারভাইভ করছে। সবারই ডিকটেটর হওয়ার ইতিহাস আছে-কয়েকদিন পর আরেকটা ইতিহাসের স্বাক্ষী হবেন। খারাপ কি?
অহ ! আপনে ক্ষমতা পাইলে কি করতেন? আপনিও স্থায়ী হওয়ার জন্য এই কাম করতেন। জনগণ নিজেরাও গণতন্ত্র চায় না, তারা চায় যেমনে হউক তার পছন্দের দল আজীবন ক্ষমতায় থাকুক।
আচ্ছা থাকেন। আমি যাই।

১৯ ডিসেম্বর

নিজেকে সম্মান করো।
নিজেকে সম্মান করার সহজতম পদ্ধতি হলো বিনয়ী হওয়া। সবচেয়ে অসম্মানি ব্যক্তি সে যে ভয়ে কাউকে শ্রদ্ধা করে এবং দুর্বলের উপর অবিচার করে। তুমি যদি কোন ধার্মিককে সহজে যাচাই করতে চাও তাহলে তার বিনয়ের পরীক্ষা নেও, তার আরামপ্রিয়তার ও তার মধ্যে লোক দেখানো বিষয় আছে কিনা তার পরীক্ষা নেও।
নিজেকে চিনো।
নিজেকে চেনা সহজ হবে যদি তুমি অন্যের সমালোচনা না করো। অন্যের সমালোচনা তোমাকে নিজ থেকে দূরে নিয়ে যাবে। অনেকে অন্যের সমালোচনাকে সমাজসেবা ভাবে, অথচ এটা একটা দুষণ। এই দুষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সমালোচক নিজে।

১৮ ডিসেম্বর

গণতন্ত্র নিজেই একটা স্ববিরোধী তন্ত্র। গণতন্ত্রের মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র আসাটা স্বাভাবিক। একনায়কতন্ত্র আসাটা আরো বেশি স্বাভাবিক।
গণতন্ত্রকে ঠিক রাখতে নিয়ন্ত্রক দরকার। সেই নিয়ন্ত্রক ছাড়া কিভাবে গণতন্ত্র সারভাইভ করবে তা কোথাও লেখা নাই। গণতন্ত্রের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র, সামাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র বা ইসলামীতন্ত্র এসে পরলে সেটাকে কিভাবে আপনি গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে নিবেন?

এনজিও এবং বিদেশী বায়ায়রা এই দেশের মানুষকে অনেক ভাল কিছুই শিখাইছে যার একটা তালিকা করা দরকার। অনেক রুল সবক্ষেত্রে এপ্লাই করা দরকার। বিশেষকরে কর্মীদের সেইফটি ও রাইটগুলো এখনো অনেক দেশী প্রতিষ্ঠানগুলো জানেই না !

বিএনপি’র নেতারা রাজনীতি ব্যবসায় খুব একটা ইনভেস্ট করছে না।
লীগের নেতারা বেশ আশাবাদি, তাদের ইনভেস্ট ভালো। গতবারের লভ্যাংশ খেকে খরচ করছে অনেকে।
ব্যবসায় প্রতিযোগিতা না থাকায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাচ্চা-কাচ্চা ও সাধারণ মানুষ, তাদের কাছে তেমন কেউ ভোট চাইতে যায় না। কেউ চা-পান খাওয়ায় না। বাচ্চা কাচ্চাদের চকলেট দিয়ে পিচ্চি মিছিল কেউ বের করে না।
অন্য ব্যবসায়ীরা রাজনীতি ব্যবসার উপর নজর রাখছে। ভালয় ভালয় এই ঝক্কি ঝামেলা শেষ হলেই বাঁচে।

১৪ ডিসেম্বর

মানুষ কখনো উন্নয়নকে খুব একটা ভালবাসে না। তারা চায় নিজের ক্ষমতা। স্বাধীনতা। স্বাধীনভাবে কথা বলা, স্ট্যাটাস লেখা, ভোট দেওয়া বা খালেদা-হাসিনাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজের অধিকার। এমন কি অপকর্মের অধীকার চায়, এমন কি ফ্যাসিস্ট হওয়ার অধিকার চায়, এমন কি তারা চায় নিজেদের ঝগড়ার মাঝে কেউ যাতে সরকারী দলের ক্ষমতা দেখিয়ে ঝগড়ার মজা নষ্ট না করতে পারে।
এজন্য অন্য কোন ধনীদেশ যদি তাদের দেশের সাথে মিলে যেতে বলে তাও মানুষ বিরোধীতা করে। মিলে না – পাছে স্বাধীনভাবে বকাবকির স্বাধীনতা হারায়।

১৩ ডিসেম্বর

ফেসবুক ইউটিউব হয়তে চায়।
ইউটিউব ফেসবুক হইতে চায়।

উইনডোজ উম্মুক্ত হলে হয়তো দেখতাম, ইহাও ইউনিক্স।

অনেক কনটেন্টওয়ালা wordpress সাইট SSL এ মুভ করা যে এত প্যারা। প্রথমেই SSL কেনা উচিৎ।

১২ ডিসেম্বর

নেতারা যদি বেশি ভোট পেতে হঠাৎ ইসলামী লেবাস পরে তাদের তিরস্কার কইরেন না। বরং খুসি হন যে দেশের সাধারণ মানুষ ধার্মিকদের এখনো ভালবাসে।

খেজুরের কাচা রস খেলাম।
রস জা’ল দিয়ে মিঠাই বানাচ্ছে কয়েকজন।

১০ ডিসেম্বর

কৃষকের ক্ষতি কমানোর এবং ভোক্তার লাভজনক ই-কমার্স #আইডিয়া
আপনি অনলাইন শপে কোন পন্য কিনবেন না বরং পন্য যেখানে উৎপাদন হয় সেই জায়গাটা অর্ডার করবেন। সেই জায়গায় কি পরিমান সম্ভাব্য ফসল হবে তা উল্লেখ থাকবে। হতে পারে গাছ, শাক শব্জির জমির অংশ বা ফসলী জমির অংশ। এবার প্রজেক্ট কর্মকর্তা সেখানে ফসল ফলাবে এবং ফসল আসার পর আপনার ফসল আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবে।
কেন লাভজনক?
আপনি যে মশুর ডাল ১২০ টাকা কেজি কিনেন তা কিন্তু কৃষক ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে দেয়। এই পদ্ধতিতে আপনি ৫০ টাকার কমে কিনতে পারবেন, কারন কোন কারনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষক রিস্ক ফ্রি। আপনার টাকা লস হবে। অবশ্য প্রোজেক্ট ইন্সুরেন্স করা থাকলে ক্ষতির রিস্ক ইনসুরেন্স কোম্পানী নিবে।
সমস্যা ও সমাধান আইডিয়াঃ
আপনার হয়তো অনেক বেশি পরিমান দরকার হয় না। আর তাই আপনার কাছে আপনার পরিমানের সমানুপাতিক জমির ফসল বিক্রি করা হবে। আপনার প্রয়োজন যদি হয় ১০ কেজি, ১০০০ কেজি উৎপাদন ক্ষমতার জমির ফসল ১০০ জনের কাছে আগাম বিক্রি হয়ে যাবে। উৎপাদন কম বা বেশি হতে পারে সেটা নিয়ে উভয় পক্ষ খুসি থাকবে। একটি লিচু গাছ বা একটি আমগাছ এভাবে বিক্রি হতে পারে অনলাইনে। একটি শব্জি জমি সারা বছরের জন্য আপনার থাকতে পারে প্রতি মাসে আপনাকে ফসল পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
(আমি আইডিয়াগুলো শেয়ার করে দিচ্ছি যাতে কেউ এটা করে এবং মানুষ উপকৃত হয়। সুযোগ থাকলে হয়তো আমি এটা করতাম)

#বিএনপি কোন কোন এলাকায় পাস করবে তা #আওয়ামিলীগ থেকে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিবো।

৮ ডিসেম্বর

ইসলামপন্থি গ্রুপগুলো যখন শয়তানের চক্করে নিজেরা ফেতনা ফ্যাসাদে জড়ায় তখন আমি তা শেয়ার করি না – কোন এক দলের হয়েও সাধারণত কিছু লেখি না। এটার নেপথ্যে আমি চকচকে চোখের কোন একজন কিশোরকে আবিষ্কার করি যে ইতোমধ্যে দশ রকমের ইসলামী গ্রুপে যোগ দেওয়ার দাওয়াত পেয়ে গেছে। তাকে বিশ রকমের ইসলামী গ্রুপ দেখাতে চাই না।

১. কিশোর কিশোরীদের হাতে স্মার্ট মোবাইল ফোন থাকাকে অনেকেই অপছন্দ করেন। অনেক টেক জায়ান্টরাও। আসলে আমরা তাদের জন্য ফেয়ার ইউজ পলিসি বা টেকনিক তৈরী করতে পারি নি। স্কুল গুলো এমনভাবে তৈরী হয় নি, পরীক্ষা পদ্ধতি এমনভাবে তৈরী হয় নি, যাতে স্মার্টফোন সমস্যা হবে না।
২. ফেল করা মানে অনেক বড় ক্ষতি হওয়া না-এই জিনিসটা এপ্রোভ করাতে চাকরী ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে দ্বিতীয় যোগ্যতা হিসেবে দেখাতে হবে।
এসএসসি পাস করা লোকও বিএসসি পাস এর বস হতে পারবে। (প্রাইভেট সেক্টরে বাস্তবেও আছে অবশ্য) । চাকরীর মাধ্যমে যোগ্যতাকে পরীক্ষার মাধ্যমে সার্টিভাই করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। লোকজন পরীক্ষা দিতে স্কুলে যাবে না কর্মক্ষেত্রে যাবে।

অধিকাংশ আত্ন হত্যার জন্য দায়ী দুইটা জিনিসের সঠিক পরিমানের মিশ্রণঃ
রিয়া – লোক দেখানোর অভ্যাস।
অহংকার – নিজের এচিভমেন্ট নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত অহংকার।
কখনো নিজের এচিভমেন্ট খারাপও হতে পারে, কিন্তু সেটা মেনে নেওয়ার ক্ষমতাটা লোপ পায় অন্য কোন ইলিমেন্ট না থাকার কারনে । সেটা হতেপারে চারপাসের পরিবেশ, পরিবার ও বন্ধুমহলের মটিভেশন, বা নিজের কাছ থেকে নতুন কিছু করার প্রেরণা না পাওয়া।
অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তি ঠান্ডা মাথায় আত্নহত্যা করেছে। তারা আসলে না পাওয়াকে পাওয়া দিয়ে মুছতে পারে নাই।

৫ ডিসেম্বর

স্কুলে আমি অনেকবার বন্ধুদের তিরস্কারের স্বীকার হয়েছি। এটা তারা শিখেছিল স্যারদের কাছ থেকে। কান ধরানো, বকা দেওয়া, বেঞ্চের উপর দাড় করানো ইত্যাদি পদ্ধতিতেই আমাদের পড়া শিখানো হতো। এখনো হয়।
অনেক দরিদ্র ছাত্রদের শার্ট ময়লা থাকতো বা আউটড্রেসে আসতো – তারাও বন্ধু ও স্যারদের কাছ থেকে তিরস্তকার পেতো। তারা তাদের কম আয়ের বাবা-মাকে এ জন্য চাপ দিতো। এভাবে আমি অনেককে স্কুল ছেড়ে দিতেও দেখেছি।
আর ফিজিক্যাল ডিজ্যাবিলিটি বা মানুষিক অপরিপক্কদের তো আরো বেশি হাসি তামসা করা হতো। এজন্য ক্লাসে তিন/চার টা গ্রুপ ছিল।
-ভাল ছাত্রদের গ্রুপ-যারা পড়ানোর আগেই জেনে ফেলতো এই টপিকে কি আছে। বাবা মায়ের কঠিন নিয়মের মধ্যে তারা বড় হয়েছে।
-মিডিয়াম ছাত্রদের গ্রুপ-ক্লাসে স্যারের কথায় সবচেয়ে মনোযোগী এরাই ছিল। কারন তারা টপিকটি নতুন শিখছে।
-খারাপ ছাত্রদের গ্রুপ। তারা নিজেরা গল্পে মজে থাকতো। টপিকটি তাদের মাথার উপর দিয়ে যেতো। তবে তারা খেলাধুলা, ভ্রমন ও আড্ডাবাজীতে সেরা ছিল। আস-পাসের ঘোরার মতো সব জায়গায় তাদের পদচারনা ছিল।
-কিছু ছাত্র ছিল যারা কারো সাথেই ম্যাচ করতে পারতো না, চুপচাপ স্কুলে যেতো – আসতো। হয়তো একজন বন্ধু ছিল বা নাই যার সাথে প্রয়োজন হলো কোন বিষয় শেয়ার করতো।

৪ ডিসেম্বর

আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে অনেক কস্টে বিভিন্ন টাইপের ফ্রেন্ডদের রাখি, শুধু বিকট ছবি আপলোডকারীদের রিমুভ করি। এখানে নাস্তিক, আধা নাস্তিক, বিএনপি, লীগ, জামাত-শিবির, তাবলীগ সা’দ সাহেব ভক্ত ও সা’দ বিরোধী উভয়ই আছেন। বিভিন্ন টাইপ রাখি এ জন্য যে আমি তাদের মতামত জানতে পারি। ক্ষুদ্র গুষ্ঠিও দেশ শাসন বা বড় কোন কিছু করার ক্ষমতা রাখে – তাই তাদের সম্পর্কে না জানাটা অজ্ঞতা। যে কোন দুই গ্রুপের ক্লেশ লাগলে একই টাইম লাইনে উভয় ফ্রেন্ডের ভিন্ন ভিন্ন রিয়্যাকশন দেখে বেপারটার আসল খবর জানার চেস্টা করি।
তাবলীগের ক্ষেত্রে অনলাইন একটিভিস্টদের বেশিই দেখলাম সা’দ সাহেব বিরোধী। কিন্তু বাস্তবে সা’দ সাহেবদের সমর্থকের সংখ্যা একেবারে কম না। অধিকাংশই মুরব্বী টাইপের এবং অনেক বেশি বছর ধরে তাবলীগের সাথে জড়িত। সা’দ বিরোধীরা বেশিভাগ কয়েকটা মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক। অন্যান্যরা এত বেশি দলাদলিতে নাই।
মূল ঘটনা অনেকটা এরকম-
ইসতেমার ময়দানে সা’দ সাহেব ও তার অনুসারীদের প্রবেশ করা বন্ধ করে দেয় সা’দ বিরোধীরা। সব দড়জা লক করে দেয়। ভেতরে ভবনের ছাদ থেকে রাস্তায় থাকা সা’দ সমর্থকদের উপর পাথর মারতে থাকে। বেশ বড় বড় পাথরই। অনেকে আহত হয়। বাইরের সবাই উত্তেজিত হয় এবং দড়জা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। সা’দ সমর্থকদের অনেকের হাতে লাঠি ছিল। তারা সামনে যারে যারে পেয়েছে পিটায়। সরাসরি ক্লেশে জড়িয়ে যায় – দুই গ্রুপ। সা’দ সাহেবের পক্ষের একজন বৃদ্ধ মুসল্লি মারা যায়। দুই দলেরই অনেকে রক্তাক্ত ও আহত হন।
উভয় পক্ষ মানুষকে জানানোটাকে বেশি প্রয়োজনীয় মনে করে। আল্লাহ যে সব দেখছেন তা হয়তো ভুলেই গেছেন।
আপনাকে দেখে মানুষ আপনাকে অনুসরণ করবে ভাই। আপনার পোষাক, চলাফেরা, বিনয়, ধর্য্য, মানুষের প্রতি মূল্যবোধ ও আচরণ দেখে মানুষ ইসলাম কি তা জানতে পারবে। আপানার সাথে কয়েকদিন কোন ননমুসলিম চলাফেরা করলে মুসলিম হতে চাইবে। আপনি এত ভাল-কারন আপনি মুসলিম-এটা সে বুঝবে। আপনাকে নিরাপদ ভাববে-ইসলামকে নিরাপদ ভাববে। রাসুল (সঃ) এর সময় ইসলামকে কুস্কারমুক্ত ও প্রগতিশীল ধর্ম মনে করা হতো। দলে দলে মানুষ ইসলামের ছায়ার নীচে এসেছে। তিনি মানুষকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন, ক্ষমা করেছিলেন, ভাল ব্যবহার করেছিলেন, নবুয়্যতের আগে থেকেই তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছিলেন। ক্ষমতা তার হাতে চলে গেছে-বিনা যুদ্ধে।
আর আপনারা এক মুসলমান আরেক মুসলমানের রক্ত ঝরাচ্ছেন টঙ্গী ময়দান দখল করা জন্য? আমার মতো সাধারণ মানুষ যাদের ইসলামের প্রতি দাওয়াতি কাজের প্রতি ভালবাসা আছে-হয়তো ঠিক ঠাক মতো নামাজ বা অন্যন্য ইবাদত করা হয় না – তারা কোথায় যাবে – কার কাছ থেকে ইসলামের শিক্ষা অর্জন করবে?

৩ ডিসেম্বর

আধুনিক যুগের হুজুরদের এবং হুজুর গ্রুপের সবচেয়ে বাজে অভ্যাস নিজেকে এবং নিজের দল নিয়ে অহংকার করা, নিজেকে এবং নিজের দলকে ভাল এবং অন্যকে খারাপ মনে করা। নিজেকে বেহেস্তের অধিবাসি ভাবা আর খারাপ লোকটিকে জাহান্নামী মনে করা। অথচ, প্রকৃত আলেম হলে অন্যের দোষ দেখে নিজেকে দোষী মনে করার কথা। নিজের দায়িত্ব অবহেলার কারনে এটা হচ্ছে- এটা ভাবনায় আনার কথা।
জন্মের পরে এই বাংলাদেশের ১০ টার বেশি হুজুর সংগঠনের সাথে পরিচয় হয়েছে যারা নিজেকে জান্নাতের আর অন্যদের জাহান্নামী ভাবছে, নিজেদের সেরা আর অন্যদের ভুলে ভরা বলেছে।
ঢাকায় জন্ম নেওয়া ও বড় হওয়া কিশোর তার যৌবন পর্যন্ত যত সংখ্যক ইসলামী দলের দাওয়াত পায় – তাতে সে সহজেই বুঝে যায় – এইসব এর বেশিভাগই ভন্ড ও লম্পট যারা আল্লাহর কাছাকাছি হওয়ার চেয়ে নিজের দলভারী করার কাজে বেশি ব্যস্ত। নিজেকে প্রকাশ করা, দখল করা, ক্ষমতা প্রদর্শন করা – এগুলোই তাদের কাজ। সেখানে কেন সে ইউজড হবে? #হুজুর

২ ডিসেম্বর

পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন এবং এটার প্রভাবের ব্যাপারে বাংলায় তেমন কোন ‌ভাল লেখা চোখে পরে নাই।

কাঁচা খেজুরের রস শেষ কবে পান করেছেন?

#আইডিয়া রাসায়নিক সার বা কিৎনাশক ছাড়া একেবারে আদি পদ্ধতিতে শাক শব্জি চাষ করলে এবং সেটা আপনার কাছে গেলে আপনি তা ৫ থেকে ১০ গুণ দামে কিনবেন?
এরকম কোন ফার্ম বাংলাদেশে নাই। আপনি কঠোরভাবে একটি ফার্ম বানাতে পারেন যেখানে
১. জীন পরিবর্তিত জাতের কোন শাক, শব্জি বা তরকারী থাকবে না। মৌলিক জাতের ফসলই শুধু চাষ হবে।
২. এক ফোটাও রাসায়নিক সার ব্যবহার করবেন না।
৩. পোকা মাকড় মারার জন্য ক্যামিক্যাল না ব্যবহার করে অন্য পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন।
৪. আগেই অর্ডার নিবেন এবং যেদিন ফসল কাটবেন সেদিনই ডেলিভারী দিবেন।
৫. প্রোজেক্টে দেশি মাছ, হাস, মুরগী ও গরুও যোগ করতে পারেন।
এরকম ফার্ম করে দেখতে পারেন তবে আনুমানিক ৫ থেকে ১০ গুন দামে কেনার মতো ক্রেতা থাকলে আপনি শুরু করতে পারেন।

আধুনিক কুসংস্কারের একটা তালিকা করতে চেয়েছিলাম অনেকদিন আগে। কবরে বা শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া বা তালা ঝুলিয়ে ভালবাসা লক করা, বাচ্চার কপালে কালো টিপ দেওয়া, ফেসবুকের প্রফাইলের পরিবর্তন করে শ্রদ্ধা দেখানো, স্ট্যাচুকে স্যালূট দেওয়া ইত্যাদি এতে যায়গা পেতে পারে। দিন দিন আধুনিক মানুষ যে পরিমান কু-সংস্কারাচ্ছন্ন হচ্ছে। তালিকাটা কমিউনিটির মাধ্যমে তৈরী করার ইচ্ছা আরো প্রবল হলো।

১ ডিসেম্বর

অনেক দিন ধরেই দুইপক্ষ একে অপরের প্রতি এমনভাবে বিদ্বেসী হয়ে উঠছিল, হতাহতের ঘটনা স্বাভাবিকই । শাহাবাগি-হেফাজতি এমন প্রথমে অনলাইনে বিদ্বেসী ছিল। পরে ৫ মে এর ঘটনা। ইতিহাস ঘাটলে সবগুলো যুদ্ধের আগেও এরূপ বিদ্বেসকে দায়ী করতে পারবেন।
পরিবারে এমন বিদ্বেস দেখলে দ্রুত তা মিটিয়ে ফেলা উচিৎ, দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করা উচিৎ।

২৭ নভেম্বর

কৃষকের ক্ষতি কমানোর মতো ই-কমার্স এখনো তৈরী হয় নাই। এটা করতে গেলে বিশাল #ইনভেস্ট লাগবে। লাভও হবে বিশাল।
ভাল ইনভেস্টর পেলে আমার একটা #আইডিয়া কাজে লাগাতাম।

২৬ নভেম্বর

#পরামর্শ নেওয়ার সময় মানুষ তিন চার জনের কাছ থেকে নেয়। তারপর যারটা পছন্দ হয় তারটা করতে চায়। সেটা করবে কিনা সেটা জিজ্ঞাসা করে যার পরামর্শটা নেওয়া উচিৎ তাকে।
তার মানে, সে জানে কোনটা করা উচিৎ, কিন্তু করবে না। বেশি লোকের ক্ষেত্রেই এটা, কিছু এক্সেপশন অবশ্য আছে।

২৫ নভেম্বর

ইফেকটিভ ব্যক্তিদের জীবন পড়লে দেখা যায় তাদের অনেকেই কম বয়সে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করেছে।

#আইডিয়া ১০ টি কোকাকোলার প্লাস্টিক বোতল ফেরত দিলে একটি কোকাকোলা দেওয়া হবে। খালি বোতলগুলো উৎপাদক প্রতিষ্ঠান নিজেরা রিসাইকেল করবে। চীপস, বিস্কুটসহ সব প্লাস্টিক মোড়কওয়ালা পন্যে এই পদ্ধতি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দুষণ কমানো যেতে পারে।

#আইডিয়া একশজন শেয়ার হোল্ডার এর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গ্রামে বড় করে একটা বাড়ি বানাবো, পুকুরে মাছ থাকবে, ফলগাছ, ফুলগাছ, শব্জিগাছ, হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল থাকবে। ছোট্ট একটা শিশু পার্কও থাকবে। বাড়িটিতে কেউ স্থায়ীভাবে বাস করবে না। উন্নত সুবিধাসহ কয়েকটা ঘর থাকবে। শেয়ার হোল্ডাররা শুধু মাত্র বেড়াতে যেতে পারবে। প্রতি মাসে কিছু ফল, মাছ ও শব্জি শেয়ার হোল্ডারদের বাসায় পৌছে যাবে। এই আইডিয়া আপনিও এক্সিকিউট করতে পারেন।

২৪ নভেম্বর

বাজারে এমন ফোন এসে সয়লাব হয়ে যাবে যা দিয়ে আপনার গার্লফ্রেন্ডকে থ্রিডি স্ক্যান করবেন। তারপর আপনি নাচবেন ও আপনার গার্লফ্রেন্ড এনিমেশন হয়ে আপনার সাথে নাচবে। হাসিনা, খালেদা বা পছন্দের নায়ক বা নায়িকারে থ্রিডি স্ক্যান করতে পারলে তাদেরকেও আপনার সাথে নাচাতে পারবেন। মজা না?

বিএনপি ক্ষমতায় এলে কি হতে পারে..
১. বিএনপি ক্ষমতায় এসে পড়লে সবচেয়ে বড় প্যাচে পরবে ফুটপাতের কয়েক লাখ দোকানদার। সব ফুটপাথের দোকান ও মার্কেট ভেঙে দিবে। এত দিন লীগ নেতারা চান্দা নিতো। এখন আবার বিএনপির নেতার নতুন করে পজিশনের জন্য টাকা এবং মাসিক চান্দা নিবে।
২. ভার্সির্টি, কলেজ, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসার কমিটিতে পরিবর্তন আসবে। এখন যেমন অনেকে আম্লিগের নেতা দাবী করে-বড় নেতার পা চাটে, তেমনি তখন এলাকার ছুপা নেতারা বিএনপির বড় নেতার পা চেটে চেটে নিজেকে বিম্পি নিতা হিসেবে পরিচয় প্রদান করবে।
৩. লীগ নেতারা অনেকেই ইন্ডিয়া ও অন্যদেশে পালাবে- সেখানে অনেকেই বাড়ি গাড়ী কিনে রাখছে- যারা না রাখছে তারা আত্নিয়ের বাসায় বেড়াবে- কারন রাতে রাতে র‌্যাড দিয়ে এরেস্ট এর ঝামেলা হতে পারে।
৪. সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ইত্যাদি শক্তির জায়গাগুলোতে ব্যাপক রদবদল হবে। ভার্সিটিতে বিএনপি ও শিবিরের আধিপত্য বাড়বে। শিবির প্রকাশ্যে বিএনপি নামে মাঠে চলে আসবে।
৫. পদ্মা ও মেট্রোরেল প্রোজেক্টের লীগের টেন্ডারবাজরা দল দিয়ে রিপ্লেস হবে। কাজ স্থবির হয়ে থাকবে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হবে।
৬. ব্যবসায়ীদের অনেকেই বিএনপিতে যোগ দিবে যাতে তাদের ব্যবসা সুন্দরভাবে সারভাইভ করতে পারে- এবং ঠিক ঠিক সারভাইভও করবে।
৭. বিএনপি নেতাদের প্রথম কাজ হবে টাকা গুছিয়ে বিদেশে বাড়ি গাড়ী করা। তারা ভাববে লীগই টিকতে পারে নাই- আমরা কোন চ্যাটের বাল।

শেখ হাসিনা পরেরবারও যদি ক্ষমতায় থাকেন..
https://www.facebook.com/mahbubpalash/posts/2798833513476050
১. মানুষ হাসিনা কেন্দ্রিকতা থেকে বের হতে পারবে না। সরকারের যে কোন দোষের জন্য মানুষ ব্যক্তিকে (কোন নেতা, এমপি বা মন্ত্রীকে) দোষারোপ করা শিখবে,দলকে না।
২. আবার আওয়ামিলীগ তাদের নেতাদের গুরুত্ব কমিয়ে দিবে। কিছু সোস্যাল পরিচিত ফিগারকে কাছে টানবে। ব্র্যান্ডিং এর জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।
৩. কয়েকটা বড় প্রোজেক্ট শেষ হবে-যেমন পদ্মা সেতু, নতুন ট্রেন লাইন। আরো কিছু বড় প্রোজেক্ট শুরু করবে। সেটা এত বড় প্রোজেক্ট হবে যা হয়তো আমরা কেউ ভাবতে পারছি না। হাসিনা মরে গেলে এবং অন্য সরকার আসলেও যাতে মানুষ স্মরণ করে এজন্য সেটা করবে। আই ওয়াশের জন্যও দরকার। পরের সরকার যদি খারাপ কিছু করে তখন যাতে হাসিনার উদাহরণ টানতে পারেন-এজন্যও এটা দরকার।
৪. বাজেট অনেক বড় হবে। পাঁচ বছরে হয়তো সেটা এখনকার বাজেটের ৪ গুণও হতে পারে। আয় ও ব্যায় ইভয়ই বাড়বে। প্রতিটি মানুষের আয়ের হিসাবই সরকার রাখবে। প্রযুক্তির কল্যানে এবং সরকারের প্রভাব বাড়ানোর জন্য এ প্রত্যেকটা লোকই সরকার কর্তৃক সহজে একসেসেবল হবে।
৫. ডানপন্থিদের কিছু কিছু সুবিধা দিয়ে একটা বিদ্রোহহীন মডারেট সরকার গঠনের বেপারে আওয়ামিলীগ কাজ করবে। যেটা হয়তো আগে কখনো দেখেন নাই।
৬. খারাপ বেপার হলো- বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। আপনি কথা বলার সময়ও চিন্তা করে কথা বলবেন। সামান্য সন্দেহে তারা যে কোন ব্যক্তিকে তাদের দল থেকে দূরে রাখবে।
৭. আমেরিকার আর্ন্তজাতিক শক্তি কমে আসলে বাংলাদেশ চীন-রাশিয়া বলয়ে ঢুকেও যেতে পারে। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি গার্মেন্টস নির্ভর হওয়াতে সেটার সম্ভাবনা কম।

ছোটবেলো বাংলা ফিল্মে দেখতাম, ধনীর সুন্দরী মেয়ের সাথে গরীব পোলার প্রেম। মেয়ের বাপ এটাকে চক্রান্ত হিসেবে দেখতো – তাই সবার চোখে সে ভিলেন খেতাব পেতো।

আমার কথা হচ্ছে- চক্রান্ত হিসেবে না দেখার কি কোন কারন ছিল? গরীব পোলাগো বিদেশী সুন্দরী মাইয়ারা বিয়ে করতে চাইলে আপনারাও তো তাদের প্রেমরে পটানো বা চক্রান্ত ইত্যাদি বলে থাকেন। তাইলে ফিল্মের মেয়ের বাপের কি দোষ ছিল?

২৩ নভেম্বর

দরিদ্র ও কম জনপ্রিয় থাকা অবস্থায় গবেষক, বিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তাদের জীবনের সবচেয়ে ইফেকটিভ কাজগুলো হয়।
ইনোভেশন ব্যবসায় পরিনত হওয়ার পর স্বয়ং নিজে তার পণ্য বা ব্যবসার পুতুলে পরিনত হতে পারে।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাথে মানুষ পাল্লা দিয়ে সুপার ইন্টেলিজেন্ট হয়ে উঠবে। ইন্টেলিজেন্ট মেশিনের সাথে তার পার্থক্য সুস্পষ্ট হবে-এবং বুঝতে পারবে সে কত মহান!
মানুষ তখনও যদি নিজেকে চিনে তাহলে পাল্লা দেওয়ার দরকারই হবে না। তারা আল্লাহর ইবাদত করে দিন পার করে দিবে। রোবট খাবারসহ অন্যান্য চাহিদা মিটানোর জন্য কাজ করে যাবে।

২১ নভেম্বর

এই জেনারেশন খেজুরের গুড় খেতে পায় না।
কারন এক কেজি খেজুরের গুড় বানাতে ১০০০+ টাকার রস লাগবে।

২০ নভেম্বর

সারা বিশ্ব যখন ইলেকট্রিক বাইক ও গাড়ীর দিকে যাচ্ছে।
এই দেশে ইলেকট্রিক সাইকেল ও রিকসার অনুমোদনই নাই !
এই দেশে ড্রোনেরও অনুমোদন নাই! ইন্টারনেট চালাচ্ছি – এটা কম কিসে?

১৮ নভেম্বর

গণতন্ত্র এমন একটা জিনিস যে আপনি সেখানে যোগ্যতার প্রশ্ন করতে পারবেন না। আর এ জন্য যদি সমগ্র সংসদ ভবন নায়ক, নায়িকা, গায়ক, কবি সাহিত্যিক, ইউটিউবার, হুজুর, পীর, দুর্নীতিবাজ দিয়ে ভরে যায়- আপনার কষ্ট পাওয়া উচিৎ না।

১৬ নভেম্বর

বর্তমান সভ্যতার কিছু নিদর্শণ যেমন- ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, সিআরটি, এলইডি মনিটর, মোবাইল ইত্যাদি মমি করে পিরামিড বানিয়ে রেখে দেওয়া দরকার। পাঁচ দশ হাজার বছর পরের লোকজন এগুলো দেখে যাতে আমাদের গবেষণা করতে পারে।

১৫ নভেম্বর

বিষয় রোহিঙ্গাঃ মিয়ানমার সরকারের উপর আন্তর্জাতিক কোন তেমন চাপ দেওয়া হয় নাই। যাদের মারা হয়েছে বাড়ি ঘর জালিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই দিকে তেমন কোন ভ্রুক্ষেপও নাই। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় নাই। তারা ফিরে গেলে নিরাপত্তা পাবে এমন কোন মুচলেকাও জাতিসংঘ আদায় করতে পারে নাই-মিয়ানমারের কাছ থেকে। মিয়ানমারে তারা যেখানে থাকবে তার মনিটরিংও কোন আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান নেয় নি। তাহলে কি রোহিঙ্গারা সেথানে যেতে চাইবে? চাইবে না। এটাই নিয়ম।

আমাদের চিন্তাগুলো নিয়ন্ত্রিত। বিজ্ঞাপন বা খবরের কাগজ বা ফেসবুক বা অন্য যে কোন মিডিয়া আমাদের মগজ নিয়ন্ত্রণ করছে। কোন খবরের পক্ষে বা বিপক্ষে নিজেদের মতামতগুলো সেই নিয়ন্ত্রণের প্রকাশ মাত্র।
এই চিন্তা আমাদের অন্য চিন্তা থেকে দূরে রাখে-এভাবেই আমরা বাক্সতে বন্দি।

১৪ নভেম্বর

মেশিনের সুবিধার জন্য মানুষ হয়তো তার ভাষাই পরিবর্তন করে ফেলবে। এমনও হতে পারে, মানুষকে বাধ্য হয়ে বোবাদের ভাষা শিখে নিতে হবে।

১৩ নভেম্বর

প্রায় ৬ বছর আগে, আমাদের সাইটগুলোতে ৬ হাজারের মতো পেজভিউ হতো। একটা সাইট বাংলাদেশের একশতম সাইটে ঢুকে গেল। আমরা নিজেরা আরো কয়েকজন পেইড রাইটার বাংলা ব্লগগুলোতে টাকা খরচ করে যেতেই লাগলাম। সারভাইভ করার মতো অবস্থা পেলাম না। এডসেন্স বাংলা সাইটে দেওয়া হয় না- তখন।
নিজেরা কেউ চাকরী কেউ ফ্রিল্যান্সিং বা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ফাঁকে ফাঁকে লেখি, সাইট এর র‌্যাংক কিভাবে কমে তা দেখি। কোন মটিভেশন নাই। ভিজিটররা মাঝে মাঝে ফেসবুকে নক করে প্রশংসা করতো-এটা একটা মটিভেশন। অনেকে সাইটগুলোর নামও জানতো। অনেকগুলো সম্ভবনাময় ব্লগ মরে গেল।
এখন এডসেন্স এড দিয়েছে-সাইটে আগের মতো ফ্রি রাইটার আর ভিজিটর থাকলে সারভাইভ করা যেতো।

একটা ওয়েবসাইট আইডিয়া দেইঃ ওয়েবসাইটে সব নেতাদের প্রোফাইল ও কন্টাক্ট তথ্য থাকবে। নেতারা কোন কোন ভাল ও অপকর্ম করছে তাও দেখা যাবে। তাদের প্রশংসা ও বকাবকিও করার ব্যবস্থা থাকবে। যেমন- থানা, ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড আওমিলীগ বা বিএনপি সভাপতি সহজেই খুজে পাবেন। মেসেজ দিতে পারবেন। মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল কমিটির নেতাও আলাদাভাবে রাখতে পারেন। নেতাদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে অপকর্ম মুছে দিয়ে, ভাল কর্ম ঢুকিয়ে দিয়ে আয় করবেন-ভাল ব্যবসা হপে।

জনপ্রিয়তা একটা ভ্যালু। মানুষ এমন যে এক কাজের জনপ্রিয়কে অন্য কাজেও যোগ্য মনে করে। প্রেমে পড়ার বেশিভাগ কারন কোন কোন জিনিসে তাকে ভাল লেগেছে। বাপ-মা’র কাছে সেটার হয়তো ভ্যালু নাই। তাই তারা এই প্রেমটাকে মানতে পারছে না।
তো এই জনপ্রিয়তাটাকে অনেকে অন্য ক্ষেত্রে কাজে লাগায়, এই ভ্যালুটা সেল করে। কেউ কেউ এই ভ্যালুকে সেল করতে চায় না-তাদের মটিভ ভিন্ন।

১২ নভেম্বর

ভাল মতো ইউটিউবে ভিডিও বানান। পরেরবা ইউটিবারদের নমিনেশন দিবো।

নেতা মাশরাফী লীগের নেতাদের চেয়ে ভাল না খারাপ তা আপনি জানেন না। সেটা বুঝা যাবে ক্ষমতায় যাওয়ার পর। তাহলে লীগে সে ঢুকে গেলে আফসোস কিসের? ক্রিকেটার মাশরাফীকে যারা ভালবাসেন তারা ভালবাসতে থাকেন, সমস্যা কি?
এখন যেহেতু দেশে একটাই রাজনৈতিক দল তথা আওমিলীগ আছে সব ভাল লোক সেটাতে ঢুকে যাক। সমস্যা কি?

১১ নভেম্বর

নেতা হতে চান?
কবিতা লিখুন,গান গাঁন। সিনেমা করেন বা লেখেন বা খেলেন বা ব্লগেন।

শেখ হাসিনা পরেরবারও যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে মানুষের রাজনৈতিক মননে একটা পরিবর্তন আসবে। আমার ধারণা থেকে বলছি-
১. মানুষ হাসিনা কেন্দ্রিকতা থেকে বের হতে পারবে না। সরকারের যে কোন দোষের জন্য মানুষ ব্যক্তিকে (কোন নেতা, এমপি বা মন্ত্রীকে) দোষারোপ করা শিখবে,দলকে না।
২. আবার আওয়ামিলীগ তাদের নেতাদের গুরুত্ব কমিয়ে দিবে। কিছু সোস্যাল পরিচিত ফিগারকে কাছে টানবে। ব্র্যান্ডিং এর জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।
৩. কয়েকটা বড় প্রোজেক্ট শেষ হবে-যেমন পদ্মা সেতু, নতুন ট্রেন লাইন। আরো কিছু বড় প্রোজেক্ট শুরু করবে। সেটা এত বড় প্রোজেক্ট হবে যা হয়তো আমরা কেউ ভাবতে পারছি না। হাসিনা মরে গেলে এবং অন্য সরকার আসলেও যাতে মানুষ স্মরণ করে এজন্য সেটা করবে। আই ওয়াশের জন্যও দরকার। পরের সরকার যদি খারাপ কিছু করে তখন যাতে হাসিনার উদাহরণ টানতে পারেন-এজন্যও এটা দরকার।
৪. বাজেট অনেক বড় হবে। পাঁচ বছরে হয়তো সেটা এখনকার বাজেটের ৪ গুণও হতে পারে। আয় ও ব্যায় ইভয়ই বাড়বে। প্রতিটি মানুষের আয়ের হিসাবই সরকার রাখবে। প্রযুক্তির কল্যানে এবং সরকারের প্রভাব বাড়ানোর জন্য এ প্রত্যেকটা লোকই সরকার কর্তৃক সহজে একসেসেবল হবে।
৫. ডানপন্থিদের কিছু কিছু সুবিধা দিয়ে একটা বিদ্রোহহীন মডারেট সরকার গঠনের বেপারে আওয়ামিলীগ কাজ করবে। যেটা হয়তো আগে কখনো দেখেন নাই।
৬. খারাপ বেপার হলো- বিরোধীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। আপনি কথা বলার সময়ও চিন্তা করে কথা বলবেন। সামান্য সন্দেহে তারা যে কোন ব্যক্তিকে তাদের দল থেকে দূরে রাখবে।
৭. আমেরিকার আর্ন্তজাতিক শক্তি কমে আসলে বাংলাদেশ চীন-রাশিয়া বলয়ে ঢুকেও যেতে পারে। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি গার্মেন্টস নির্ভর হওয়াতে সেটার সম্ভাবনা কম।

৪ নভেম্বর

বামদের বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল।
একদিকে জামাত।
আরেক দিকে হেফাজত।
ওরা কার কাছে যাবে?

এখনো যে কয়টা বাংলা কমিউনিটি ব্লগ বেঁচে আছে সেগুলোকে লাইফটাইম বাঁচানোর একটা প্রকল্প হাতে নেওয়া যেতে পারে। ১০ টি সমমনা ব্লগকে মার্জ করে একটি বানানো – এবং একটি ডোমেইনে রিডাইরেক্ট করে দেওয়া । আগের ডোমেইনটা নো ফলো হিসেবে বেঁচে থাকবে এবং নতুন ডোমেইনে পোস্টগুলোর ভিজিটর একই পোস্টে রিডাইরেক্ট হবে।
ব্লগ মালিকরা নতুন ব্লগে নিয়মিত লিখে নতুন প্লাটফর্মটা তরতাজা করবে। ১০টা ব্লগের ফেসবুক পাতাতে একটা কনটেন্ট প্রোমোট করলে আগের চেয়ে ভাল ভিউ হবে।
ভবিষ্যতে ইকমার্সগুলোও এভাবে মার্জ করার প্রয়োজনিয়তা তৈরী হয়ে যাবে হয়তোবা

যার অভিযোজন ক্ষমতা* বেশি সে বেশি সারভাইভ করে। উদাহরণঃ বিডি আওয়ামীলীগ ও হেফাজত ইসলাম।

ট্রেনের অপরিচিত লোককে পাথর মেরে রক্তাক্ত করা হয় কেন-কি লাভে? অনেকদিন আমি ভেবেছি। মানুষ কেন এটা করে? কি ধরনের সাইকোলজীর কারনে এটা করে – জানতে হবে।

২৮ অক্টোবর

Making a category of Human is quit impossible but we try…

ফেসবুক গুগলের চেয়ে বেশি কৃপণ। কারন, ফেসবুকের ভিডিও এডগুলো স্কিপ করা যায় না।

ছেলের মেধা বিকাশের জন্য বছরে অন্ততঃ চারটা ট্যুর দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিলাম। তিন চার বছর বয়স পর্যন্ত ট্যুরগুলো আত্ত্বিয়দের বাড়ি পর্যন্ত সীমাবন্ধ থাকতে পারে। ওর ভিডিওগুলো ধারাবাহিকভাবে একটা চ্যানেলে আছে। যারা দেখতে চান তাদের জন্য লিংক কমেন্টে।

২৭ অক্টোবর

নিজেকে সম্মান করবে।
নিজেকে সম্মান করার সহজতম পদ্ধতি হলো বিনয়ী হওয়া। সবচেয়ে অসম্মানি ব্যক্তি সে যে ভয়ে কাউকে শ্রদ্ধা করে এবং দুর্বলের উপর অবিচার করে।
নিজেকে চিনো।
নিজেকে চেনা সহজ হবে যদি তুমি অন্যের সমালোচনা না করো। অন্যের সমালোচনা তোমাকে নিজ থেকে দূরে নিয়ে যাবে।

ঠান্ডা হয়ে গেলে পা ল্যাপটপের চার্জারের উপর রাখি।
আবার সর্ট খাওয়ার ভয়ে একটু পরে সরিয়ে দেই।

২৩ অক্টোবর

ছাত্রজীবনে অনেকে জিনিয়াস হয়ে গিয়েও টাকার অভাবে থাকে। শুধু মাত্র ফুলটাইম জব করার সময়ের অভাবে। আমি এমন অনেককে পেয়েছিলাম। কয়েক বছর পর তাদের সাথে কথা বলার যোগ্যতাও আমার হবে না।
এই সময়টায় যতটা ইফোর্ড দিয়ে এবং যতটা ক্রিয়েটিভ কাজ করানো যায় যা অনেক টাকায় পে করার পরে, ফুলটাইম জবেও হয়তো সম্ভব হবে না।

২২ অক্টোবর

বিনয়ী থকবে। যারা বিনয়কে তোমার দুর্বলতা ভাববে তাদের সাথে উদ্ধত থাকবে। তোমার যোগ্যতা তোমাকে বড় করবে না, তোমাকে শ্রদ্ধার পাত্র করবে না। তোমাকে শ্রদ্ধার পাত্র করবে তুমি যদি মানুষের কাছে জনপ্রিয় না হতে চাও, তুমি যদি মানুষের শ্রদ্ধা না চাও, তুমি যদি নিজেকে মিছিলের মাঝের অজানা এক সদস্য হিসেবে ভাবতে পারো। আর তুমি নিজে জানো তুমি কে, তুমি কি – এটাই তোমাকে শান্তি দিবে আথবা অশান্তিতে রাখার জন্য যথেষ্ঠ হবে। #উপদেশ -২

মিস্টার ট্রাম্পকে এদেশের মোল্লাপন্থিরা দেখতেই পারে না। অথচ ওনার আমলেই মুসলিম বিশ্ব আগের তুলনায় শান্তিতে আছে। বিষয়টা আমি মিলাতে পারি না, কেউ কি ব্যাখ্যা করবেন?

২১ অক্টোবর

জন্ম থেকে যারা ঢাকায় বড় হয় তারা অনেক কিছু দেখে। অনেক টাইপের ফ্রেন্ডও হয়। কারো ভাগ্যে বস্তি, উচ্চ বিত্ত, মোল্লা, মাদকি, সেমি মাদকি, গ্রাম্য, ফ্যাশনেবল, আঠার মতো লেগে থাকা ইত্যাদি ধরনের বন্ধু-বন্ধবী জুটে যায়। কখনো বা রাস্তায় দোকানের সিড়িতে বসে আড্ডা, কখনো বা ফাইভ স্টার হোটেলের দাওয়াত আবার কখনো সবেবরাতে ভোররাতের বিরিয়ানি সবই জোটে।
যুবক হতে হতে তারা লীগ, বিএনপি, শিবির, তাবলীগ, কম্যুনিস্ট, জঙ্গি, গুন্ডা বড় ভাই মোটামুটি সবার দাওয়াত পেয়ে যায়। দাওয়াত পায় মদ পার্টি, নারী পার্টি বা ভ্রমন উদ্যাম ফালতু মাজাদার গ্রুপেরও। পরিচয় হয় পাসের বিল্ডিং এর ছোট আপু, বন্ধুর মমতাময়ী বড় বোনের সাথেও।
এত কিছুর পরও শহরের যুবক ছেলেটা যখন অবুঝ গ্রাম্য কিশোরের মতো ভদ্র হয় তখন আমরা তাকে “আতেল” বলে চেতাই। কিন্তু সে চেতে না- একটা মুচকি হাসি দিয়ে এড়িয়ে যায়।

Abu Taher SumonOctober 15, 2018

তাওয়াদু বাংলায় বিনয়। এমন একটা গুন যা অহংকারের বিপরীত। এটাই পারে অন্যের অন্তরে আপনার জন্য ভালোবাসা সৃষ্টি করতে, আপনাকে বড় করতে।

বিনয়ী হবার অর্থ নিজের অবমাননা বা ব্যক্তিত্ব ক্ষুন্ন করা নয়৷ বরং অন্যদের কাছে বিনয় প্রকাশ মর্যাদা ও সম্মানের উৎস।

নিঃসন্দেহে বিনয়ী ব্যক্তি মহান আল্লাহ’র অধিক অনুগ্রহ পেয়ে থাকে৷ বিনম্রদের সম্মান আল্লাহই বাড়িয়ে দেন। আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (সঃ) এক হাদিসে বলেছেন, “বিনম্রতা সম্মান ও মর্যাদার উৎস৷” হাদীস শরীফে এসেছে, জনাবে রসূলুল্লাহি (সাল্লা:) বলেছেন : من تواضع لله رفعه الله “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বিনয়ী হবে, আল্লাহ পাক তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন”।

বিনয় মু’মিনের একটি বৈশিষ্ট্য।

আল্লাহ আমাদের এই গুন ধারণ করার তৌফিক দিক, আমীন

১৪ অক্টোবর

ট্রেনে যাতায়াত করলে আপনি একটা জিনিস দেখবেন, ট্রেন আসছে এটা দেখার পরও ট্রেন লাইনে দাড়িয়ে গল্প করে যাচ্ছে। কাছাকাছি এলে সরে যাবে। এবং পরে সরে যায়। এটার কারনটা আসলে কি?
একটা কারন হতে পারে, আগে না সরে গিয়ে অন্য মানুষকে তার প্রতি এট্রাক্ট করা। নিজেকে হাইলাইট করা।

হুজুর শ্রেণী কেন সম্মান পায় না- এবং অনেকে সুন্নতি লেবাস দেখলেই সম্মানের বদলে তিরস্কার করে- তা নিয়ে আমি অনেক দিন ধরেই গবেষণা করছি।
এই ভেবে আমি কিছু আলেম এবং আলেমগ্রুপে যোগ দিয়েছি। আমি কিছু আলেমকে (পাস করা আলেম) ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টও করেছি।
তাদের বিভিন্ন পোস্ট এবং কমেন্টে যোগদানের পর কিছুটা বুঝতে পারছি-কেন তারা নিগৃহিত। আরো জ্ঞান অর্জনের পর লিখবো কিছু একটা।

২৭ সেপ্টেম্বর

Most of the profit of my life comes from Destruction.
Welcome Throw Away.

২৩ সেপ্টেম্বর

শুক্রবার হুজুর বললেন, আসুরা বা ১০ মহরমের মূল শিক্ষা রাজতন্ত্রের বিরোধীতা। আমরা সেটাকে স্কিপ করে যাই।

১৯ সেপ্টেম্বর

কুটি টাকায় তৈরী মোবাইল এপস ৪ বছরে হাজার খানেক ডাউনলোড।

১৬ সেপ্টেম্বর

‘নামে-বেনামে’ ফেইসবুক আইডি খুলুন : এইচ টি ইমাম।

অনেকে তার মৃত্যু সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে যায়। হতে পারে, মৃত্যুর অনেক তথ্যই DNA তে আল্লাহ লিখে দিছে। আর সেটা কেউ কেউ রীড করতে পারে।
John Denver তার এক গানে বলছে- ‘Cause I’m leaving on a jet plane, don’t know when I’ll be back again. Oh, babe, I hate to go.
পরবর্তিতে প্লেন দুর্ঘটনায়ই সে মারা গেল। কয়েক হাজারের বেশি ঘটনা পাবেন যেখানে মৃত্যুর বিষয়টি লোকটির জানা ছিল।

১৩ সেপ্টেম্বর

জমি আবাদ না করলে বা বসতবাড়ি না করলে বা বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলে রাখলে জমি দামের অতিরিক্ত বাৎসরিক ৫% কর ধার্য করা উচিৎ। মাল সাহেবকে বুদ্ধিটা জানিয়ে দেন।

১১ সেপ্টেম্বর

১০ পাতার একটা ওয়েবসাইটও ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরী, কিছু লেখা আর ছবি আছে। সেটাতে ১৫টা প্লাগইন ইনস্টল করা। কোন ক্যাশিং প্লাগইন তো নাই-ই। সেই সাইটের জন্য ভিপিএস নেওয়া। পেজ লোডের সময় এপাচির চাপে সারভার কাইত হয়। ডিএসএলআর দিয়ে তোলা ছবি সরাসরি আপলোড করে লিংক করা। নো অপটিমাইজ। ডেভলপ চার্জ ১ লাখ টাকা।
এরকম এ দেশে অহরহ আছে।

১০ সেপ্টেম্বর

ছোট বেলা ছেলেকে শিখিয়ে দিবো, তোমার স্কুলে পড়ার উদ্দেশ্য ভদ্রবেশে টাকা কামাই। এটার মধ্যে কোন ছল চাতুরী নাই। তুমি চাইলে এখনো সেটা শুরু করতে পারো – বাবার কাজে সহযোগিতা করে। নিজে পড়ালেখার পাসাপাসি কোন কাজ করে। ছোট কাজগুলো সৃজনশীলভাবে করাকে আমরা বড় কাজ বলি। যেমন- রাস্তার আচার বিক্রেতা আর সুপারশপের আচারের বয়ম বিক্রয় করা প্রান কোম্পানীর কর্মকর্তাকে আমরা দুইভাবে দেখি।
আর যদি ভদ্র হতে হয় তাহলে তাহলে ভদ্র ও বিনয়ী লোকদের সাথে মিশো। যদি জ্ঞানী হতে চাও তহলে ভ্রমণ করো, সেটা কঠিন হলে রিসার্চ করো। বই পড়ার মাধ্যমে তুমি হয়তো বা সহজে ভ্রমণ করতে পারবা, এজন্য স্কুলে বই পড়ায়। স্কুলের পরীক্ষা কখনো তোমার মেধা যাচাইকারী না।
স্কুলের ফেলকরা ছাত্ররা অনেক অনেক জায়গা চিনতো, প্রচুর ভ্রমণ করতো তারা, আড্ডা দিতো- আমরা সেই সব স্থানের নাম বইয়ে পড়তাম।
তুমি চাইলে ফেল করতে পারো কিন্তু সেই সময়টা বই না পড়ে তুমি কি করেছো তা আমাকে জানাবে। #উপদেশ -১

৮ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশের অধিকাংশ ধনীরাই উত্তরাধিকার সূত্রে বা ভাগ্যের কারনে ধনী। বাট দরিদ্রদের অনেকে মনে করে হারাম টাকা। এটা একটা দরিদ্র আইডিওলজী। এক্সাম্পল, যাদের বাপদাদার জায়গা জমি ঢাকার উন্নত এলাকায় ছিল-তারা এমনিতেই কুটিপতি হয়ে গেছে। শুধুই হারামী কইরা বেশিদূর কেউ যাইতে পারে না। বড়জোর মিডলক্লাস হতে পারে।
ধনী সোসাইটির আরম্বরপূর্ণ কোন অনুষ্ঠান দেখলে বাংলাদেশের দরিদ্রশ্রেনী ধনীশ্রেনীকে “হারাম টাকা” বলে আক্রোমণ করে কথা বলে। বেশি দেখি হুজুরটাইপের লোকদের এইসব বলতে।
কিন্তু আমি ধনীদের ধনী হওয়ার অলোকিক একটা কারণ দেখছি-তা হলো উদারতা আর দানশীলতা। হোক সৎ বা অসৎ। আল্লাহ তাদের এত এত দিচ্ছে-কিভাবে দিচ্ছে তা তারা নিজেরাও হয়তো জানে না ! এক্সাম্পল হিসেবে বিশ্বের সেরা ধণী ব্যক্তিদের দিকে তাকান – বিলগেটস এর দানশীলতা পড়তে পারেন।

৭ সেপ্টেম্বর

বিয়ে আসলে সরকারি জিনিস না।
কোন দিন হবেও না।

Follow HUJUR,
Get GIBOT of other HUJUR.

৬ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশের অপরাধ জগতটা এত সুন্দরভাবে সাজানো আর গোছানো! একটা পরিবারের সদস্যদের ভালবাসার জগতের মতো, পুকুরের বাস্তু সংস্থানের মতো, পানি চক্রের মতো সবাই সবাইকে সার্ভাইভ করে চলছে। এমন কি আপনিও এই সার্ভাইবালের অংশ।
পুলিশ যে ঘুষ নেয় এটা তাদের অপরাধ না।
পুলিশ যখন দেখে যে, উপরওয়ালার ফোনে আসামীকে ছেড়ে দিতে হবে। অনেক অপরাধী গুষ্ঠির অপরাধে সে হাত দিতে পারবে না। তখন সে নিজেকে উপরওয়ালা বানিয়ে নেয়। যে টাকা উপরওয়ালা কামাই করবে সে টাকা সে নিজে নিয়ে নেয়। আমরা জনসাধারণ যে পুলিশের ঘুষ নেওয়াটাকে দেখি, পুলিশকে-ঠাট্টা বিদ্রুপ করি।
পুলিশ যদি ঘুষ খাওয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে কি মনে করেন দেশটা সুন্দর গোছানো হয়ে যাবে? যাবে না। কারন, সবচেয়ে বড় অপরাধ জগতটা পুলিশের কর্মক্ষেত্রের বাইরেই রয়ে গেছে। আর এটা জেনে পুলিশ ছোট বালুকণা পরিমান ধন্দা করে।

৫ সেপ্টেম্বর

আপনি যদি বাংলাদের বর্ডারের কাছে পা রাখেন-ঐপাড়টাতে যেতে পারবেন না-এটা ভেবে একটু হলেও কষ্ট পাবেন।
আরো কষ্ট লাগবে এটা জেনে যে, আপনার দাদারা এবং আগের পূর্বপুরুষরা যেতে পারতো এবং বৃটিশরা ভাগ করে আপনাকে আবদ্ধ করে দিয়ে গিয়েছে।

যারা বড় রাস্ট্রের নাগরিক হতে চায় তারা বড় বড় দেশের ভিসা নিয়ে রাখে। অনেকে বিদেশে বাড়ি বা ফ্লাট কিনে রাখে।

ধারাবাহিক একনায়ক শাসনামলে বিদ্রোহীরা সাধারণতঃ রাজার এক দুইজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে থাকে। সম্পুর্ণ সিস্টেম পরিবর্তন হবে এমনটা কল্পনাও কেউ করে না। তারপর, রাজার কোন ছেলে পরবর্তিতে রাজা হবে- এটা নিয়ে প্রজাদের মধ্যে বিবাদ থাকতে পারে। কিন্তু রাজার ছেলেই যে রাজা হতে হবে- এ বেপারে তাদের দ্বিমত নাই।

৪ সেপ্টেম্বর

ছোটবেলা ফুটপাথকে দোকান করার জায়গা বুঝতাম। হাটার জন্য সেই জায়গা ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছে এখন। কি আজব দেশ !

মাঝে মাঝে বড় মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য ক্লোন সিম দরকার। কি করি?

১ সেপ্টেম্বর

শিশুরা চোঁখের ভাষা যতটা বোঝে বড়রা ততটা বোঝে না।

বাংলাদেশ ভ্রমনে যেসব বিদেশী এসেছে তাদের প্রায় সবাইকেই দেখি এদেশের মানুষের প্রসংশা করতে। আমরা এত এত ভাল !

২৯ আগস্ট

প্রচন্ড গরমে ও নিয়মিত পানি না দেওয়ায় ছাদের টবের গাছগুলো মরে গেছে। এরপর একদিন উপরের মাটি নিচে এবং নিচের মাটি উপরে তুলে দিলাম।
এখন কিছু আগাছা জন্মেছে। সুন্দরই লাগছে।

আমি ইংরেজী শিখছি খুব ধীরে ধীরে।
নতুন কোন ইংরেজী শব্দ পেলে অর্থ জেনে মনে মনে বার বার বলতাম। বাক্যে স্ট্রাকচার মিলাতাম (যেমন- be+Verb+ing বা too+Adj+to ইত্যাদি) বানানের দুর্বলতা কাটাতে ইংরেজী পেপার পরতাম। তারপর ইংরেজী ব্লগ। লিসেনিং ভাল করার জন্য ইংরেজী মুভি দেখছি কিছু, কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু অনেক বেশি সময় দেখতে হয় বলে দেখা বন্ধ। মেইল ও বিদেশী বায়ার ও সাপোর্ট সেন্টার করেসপন্ডেসের কারনে ইংরেজী লেখার হাত ফ্লুয়েন্ট বলা চলে।
কিন্তু Speaking এখনো খুব বেশি ভাল হয় নাই। আগের অফিসে অনেক বিদেশী চাকরী করতো, অনেক বিদেশী ভিজিটর ও ইন্টার্ন আসতো তাদের সাথে যেচে কথা বলতাম। অনেকটা ভাল হয়েছিল।
প্রতিদিন টেকনোলজীতে নতুন নতুন শব্দ ও শব্দগুচ্ছ যোগ হচ্ছে বিভিন্ন ভাষা থেকে জন্ম হলেও এগুলোকে ইংরেজী ভাষাই ধরা হয়-যার কোন বাংলা পাবেন না। বড় জোর ইংরেজী উচ্চারণ বাংলায় লিখতে হবে। এখনো আমি নতুন টেকনোলজী শব্দ যেটা শিখি সেটা বাংলায় সহজে লিখে রাখি যদিও বাংলা ব্লগ কম লেখা হয়। ভাবছি মাসিক নিজের কাজগুলোর একা সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করবো পাবলিকলি-কিন্তু তা নিজের জন্য।

২২ আগস্ট

আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

২১ আগস্ট

ঢাকায় গরু বিক্রি করতে আসা লোকদের দিকে আমি তাকিয়ে থাকি।
কেউ কেউ ভাল ব্যবহারে দাম কমে বিক্রি করে দেয়।
আমার অনুরোধ এই মেহমানদের কিছুটা উপকার করা চেস্টা করা, না পারলে বিনয়ী ব্যবহার করার।

এক অঞ্চলের ময়লাগুলো গাড়ী করে অন্য অঞ্চলে নিয়ে ফেলানোটা আমার কাছে আজব পদ্ধতি মনে হয়।
ময়লাটার অবস্থান>ঘর>বাড়ির ডাস্টবিন>সেখান থেকে লোকাল ভ্যান> রাস্তার পাসের বড় সিটিকোরপোরেশনের ডাস্টবিন> ময়লার ট্রাক> অন্য অঞ্চলের ময়লার পাহাড়। প্রতিটি থেকেই দুগন্ধ হয়। সর্বশেষ যেখানে ফেলা হয় সেখানকার পাসের এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যের বড় রকমের ঝুকি রয়েছে।

অথচ বেপারটা কত সহজ হয় যদি পচনশীল ময়লা (তরকারীর খোসা, মাছ মাংশের অবশিষ্টাংশ, রান্না করা ফেলে দেওয়া খাবার) আর অপচনশীল ময়লা (বিভিন্ন পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল, ল্যামিনেটেড কাগজ) আলাদা করার মাধ্যমে। প্রতিটি বাড়ি বানানোর সময় পানির ট্যাংক বানানোর মতো ডাস্টবিন বানানো এবং সেখানে পচনশীলগুলো ফেলা। বা এলাকার সব বাড়ি থেকে চাদা তুলো একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বিশাল গভীর করে ঢাকনা লাগিয়ে দেওয়া এবং সেখানে ময়লা ফেলা। পচনশীল ময়লা ট্যাংকের নিচ থেকে বছর পর পর পঁচে যাওয়া ময়লা (যা এত দিনে কম্পোস্টে পরিনত হয়ে যাবে) বের করা যেতে পারে।
অপচনশীল ময়লাগুলো মূলতঃ বিক্রিযোগ্য। এক জায়গায় রেখে দিলে টোকাইরা নিয়ে যাবে।

১৮ আগস্ট

দাওরায়ে হাদিস সনদকে মাস্টার্স-ই-ইসলামীক স্টাডিজ সমমান না করে এইচএসসি সমমান করলে কি হইতো? সব এইচএসসি-রা তখন ইউনিভার্সিটিতে চান্স নিতো। ভার্সিটিগুলোর ৫০%+ স্টুডেন্ট যখন মাদ্রাসা ছাত্র হতো তখন পরিবেশটাই পাল্টে যেতো। বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শি হয়ে বিভিন্ন সেক্টরে চাকরী করতো।
অনেকে তার ছেলেকে আর স্কুলেই ভর্তি করতো না, মাদ্রাসায় পড়িয়েই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানানোর চেষ্টা করতো।
কিন্তু এটা থেকে টেকনিক্যাল্লি বিরত রাখা হয়েছে। যাই হোক বেশিভাগ কওমী আলেমরা এতেই বেশি খুসি। পরিচিত এক আলেমকে বিষয়টা ক্লিয়ার করলাম। সে বেপারটা বুঝতে পারলো।
আপনি বলতে পারেন তারা তো এইচএসসির যোগ্য না, ইউনিভাসির্টিতে চান্সের চেস্টা চালান কে? শোনেন, তাহলে জেনারেল লাইন থেকে যারা ইসলামিক স্টাডিজে মার্স্টাস পাস করেছে তারা তো এইচএসসি পাস করে তার পরে অনার্স/পাস শেষ করে মার্স্টার্স করেছে-তাদের সমমান করেন কিভাবে?.

নেশার জগতে পিউরিটির মূল্য অনেক। 🙂
অপরাধ বা প্রেম-ভালবাসার জগতে বিশ্বাসের মূল্য।

বেকারদের প্রতি আমার নসিহতঃ
১০০ টাকা খরচ করে যদি ১০০ টাকা আয় করা যায় – তাও করো। কিছু না করলে তো খরচ করার ক্ষমতাটা পাইতা না। এর পর খরচটা কমানোর চেস্টা করলেই লাভ বের হবে।

আজকের ফতোয়াঃ
ডর ভয়ে আপনি যা বলতে পারেন না তা বলার জন্য ফেক আইডি খোলা জায়েজ। তবে সেখানে শত্রুর ছবি ও নাম ব্যবহার করতে হবে।

১৬ আগস্ট

এখন যারা কমদামী ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কিনবেন তাদের জন্য টিপসঃ
১. ৭ম জেনারেশনের প্রসেসর কিনবেন না। বরং Core i5 7th Gen না কিনে Core i3 8th Gen কিনেন। তাদের স্পিড প্রায় সমান। টাকা ও গতি উভয় সেভ হবে। ( যাদের বাজেটে হচ্ছে না তারা প্রসেসরে আরো কম্প্রোমাইজ করতে পারেন কিন্তু নিচের পয়েন্টগুলো অবশ্যই ঠিক রাখার চেষ্ট করবেন। )
২. অবশ্যই অবশ্যই ফুল এইচডি ডিসপ্লেরটা কিনবেন। বেশিভাগ এইচপি ও ডেলে কেন যে এখনো ফুলএইচডি রাখছে না বুঝি না। এটা খুব একটা টাকা খরচের বেপার না। দেখে কিনলেই হবে। এখন পর্যন্ত আসুসকেই কমদামে ফুল এইচডি প্যানেল দিতে দেখছি।
৩. একেবারেই হার্ডডিস্কসহটা কিনবেন না। হার্ডডিস্কের চেয়ে ১০ গুন বেশি গতির SSD কিনুন। ২৫৬ এসএসডি এখন পাচঁ হাজারে পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভাল উভয়টা সাপোর্ট করে এমন ল্যাপটপ কিনলে। প্রসেসরের গতি যতই বাড়ান মাল্টি টাস্কিং এ হার্ডডিস্ক অনেক সময় নষ্ট করে। দোকানদারের সাথে কথা বলে হার্ডডিস্ক ফেরত দিয়ে SSD সহ কেনা যায় কিনা দেখুন।
৪. আরেকটা কথা বলে নেই- গ্রাফিক্স কার্ডের আলাদা র‌্যামসহ পিসি কিনুন। একেবারে পেরে না উঠলে অবশ্যই আরো ৪ জিবি র‌্যাম বাড়িয়ে কিনুন যাতে গ্রাফিক্স কার্ডকে বেশি মেমরী দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে বায়োসে গিয়ে গ্রাফিক্সের ম্যামরী বাড়িয়ে নিন।
৫. ডেক্সটপের ক্ষেত্রে আমি পছন্দ করি ব্র্যান্ড পিসি। কারন বাংলাদেশে ইন্টেলের মাদারবোর্ডসহ কেউ কোন ক্লোন পিসি বেঁচে না। কুলিং সিস্টেম চমৎকার থাকে। আর ব্র্যান্ড পিসিতে তিন বছরের ওয়ারেন্টি থাকে যেখানে ক্লোনে থাকে এক বছরের। ডেলের ব্র্যান্ড পিসিগুলোতে ওয়াইফাই বিল্ডইন আছে। শুধু PCIe SSD এড করে নিতে পারেন।
এই বিষয়গুলা নিয়ে বিস্তারিত একটা ভিডিও বানানোর ইচ্ছা আছে।

মনে যা আসে তাই ফেসবুকে লেখেন।
দরকার হলে আমার মতো Only Me দিবেন।

বোকা মানুষগুলো অধিক শিশুসুলভ।

ঢাকায় আরো দুইকুটি লোক থাকতে পারবে। এটা পৃথিবীর বসবাসযোগ্য অন্যতম শহর।
আসুন ঢাকায়। থাকুন ঢাকায়

১৪ আগস্ট

বাংলাদেশের এভারেজ পিপল দুই-তিনটা সিম ব্যবহার করে। একই অপারেটরে কথা বলার চেস্টা করে যাতে করে কম টাকা কাটে। এই হিসেবে বেশিভাগ মানুষ সর্বনিন্ম ২৫ পয়সায় কথা বলতো। আবার করপোরেট নম্বরেও টাকা বেশ কম কাটতো।
কিন্তু এখন যেহেতু সর্বনিন্ম ৪৫ পয়সা তাই খরচ বেড়েই গেল। সব মিলিয়ে খরচ প্রায় দেরগুন বেশি হবে।
আশা করি আগের মতো একটানা কথা বলে কানের ক্ষতি করবেন না।

Digital Zoom আর AI Camera দুইটাই বাজে জিনিস। যদিও প্রথম শব্দগুলো সুন্দর।

একটা বিদ্রোহ একবার বন্ধ হলে মানুষ আবার সেই ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হতে চায় না- এটা মানুষের বৈশিষ্ট্য। এটা সম্ভবতঃ মনোবল ভাঙার কারনে হয়।

বিভিন্ন একনায়ক তন্ত্রের বিদ্রোহ দমনের পদ্ধতি ইতিহাস ঘাটলে জানতে পারবেন। কমন বেপার অনেকটা এমন ছিল-
প্রথমে দমন করার চেষ্টা করা হতো। টেকনিক্যাল দিক থেকে সেটা সম্ভব না হলে,
বিদ্রোহের মিডল ক্লাসদের টারগেট করে তাদের সাথে সমোঝতার চেষ্টা চালানো হতো।
সুযোগ সুবিধা ও দাবি মেনে নেওয়া হতো।
বিবাদ মিটে গেলে মূল নেতাদের সনাক্ত করে শিরোচ্ছেদ বা কঠোর শাস্তি দেওয়া হতো।

১৩ আগস্ট

দুনিয়ার সবচেয়ে দামী কম্পিউটার আর মোবাইলগুলো বানানো হয় গেমারদের জন্য। কি অদ্ভুৎ!

১২ আগস্ট

রাস্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন যে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না-সেটা গত তিনটা আন্দোলন থেকেই বুঝা যায়। ভ্যাট, কোটা ও স্মরক আন্দোলন রাজনৈতিক আন্দোলনে মুভ করে নাই তেমন। মানুষের এই পরিবর্তনটাও একটা বিপ্লব।
মানুষ আগে থেকেই জেনে গেছে যে বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও বেনিয়াদের মতোই আমাদের শোষণই করা হবে। সাধারণ মানুষ কেনই বা নিজের জীবন বাজি রেখে সরকার পতনের আন্দোলন করবে? কি লাভ?
বরং এখন যেমন, ওরা বিদেশে আছে-তখন তারা বিদেশে থাকবে। এ জন্য অর্থকড়ি সংগ্রহের ব্যবস্থা আমাদের টাকা দিয়েই হবে। তাদের ভবিষ্যত ও সন্তান বিদেশে নিরাপদেই বসবাস করবে-আমার সন্তানকে কেন ঠেলে দিবো তাদের তাবেদারীর রাজনীতিতে? -এটা মানুষ বুঝে গেছে। এটাই বিপ্লব।

আপনি আপনার প্রফেশনের বিপরীত প্রফেশনটা বেশ পছন্দ করেন, তাই না?

২ আগস্ট

৭১ এ যুবকরা ছিল আবেগপ্রবণ।
-এখন কিশোর কিশোরীরা।
এই সময়ের যুবকেরা বৃদ্ধ।

৩১ জুলাই

হার্ডওয়্যারের সমস্যা সফওয়্যার দিয়ে সলভ হয় না।
আমরা শুধু সফটওয়্যার ঠিক করার দাবি জানাই।

৩০ জুলাই

একটা সময় ছিল যখন এমপি-মন্ত্রীরা দোষ করলে দলের বদনাম হতো। এখন সেই সমস্যা নাই।

রাস্তা বন্ধ করলে ওদের কান খোলে।
কী অদ্ভুৎ প্রানী ওরা !

২৬ জুলাই

নিজেকে ভুলে যেতে ফেসবুকে আসো !

প্রশ্নঃ ঢাকাকে যাদের এত অপছন্দ তারা ঢাকায় থাকে কেন?
উত্তরঃ পেটের দায়ে।
প্রশ্নঃ তারা সবাই যদি ঢাকা ছেড়ে চলে যায় তাহলে কি হবে?
উত্তরঃ ঢাকা গ্রামের মতোই সুন্দর হবে। এত প্রশস্ত রাস্তা ও ফ্লাই ওভারসমৃদ্ধ একটা যাদুঘর পাবে বিশ্ব।

২৫ জুলাই

শহরের অতিব্যস্ত রাজপথ আর গ্রামের জনহীন মেঠোপথ একই রকম।
এরকম রাস্তার পাসে আপনি বসতে পারেন। একা একা। কেউ আপনাকে বিরক্ত করার সুযোগ পাবে না।

২৩ জুলাই

১. প্রেম, ভালবাসা বা বিয়ে সম্পর্কে বাইরের জগৎ তোমাকে যেমনটা শিখায়, বাস্তবতা তেমন নাও হতে পারে। এতে হতাশ হবে না। তুমি প্রস্তুত থাকো যে তোমার ক্ষেত্রে এর ভিন্ন কিছুই অপেক্ষা করছে-ভাল বা মন্দ যা তোমার সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
তুমি কখনো আশা করবে না তোমার স্বামী/স্ত্রী/প্রেমিক/প্রেমিকা তোমার জন্য সম্পূর্ণরূপে পাগলপরা হবে বা মরতে রাজি হবে-যেমনটা সিনেমায় দেখায়। তবে আশা করতে পার নিজের কাছ থেকে-তুমি সর্বোচ্চ ভাল ব্যবহার করে যাবে।
২. বন্ধুদের কাউকে উপকার করেছ বলে তুমি যে এমনটাই ফেরত পাবে তা আশা করতে যাবেই না। এটা করলে তুমি যে কষ্টটা পাবে তার কোন মটিভেশন পৃথিবীতে নাই।
কাউকে বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে বা কারো সাথে সুসম্পর্ক রেখে নিয়মিত ত্যাগ স্বীকার করতে দেখা যায় কাউকে। অনেকে প্রয়োজনের বেশি খোজখবর রাখে বা উপকার করে বা চেস্টা করে। এমনটা করলে তুমি কষ্ট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাক।
তুমি উপকারের উপকার ফেরত না পেয়ে কষ্ট পেলে – স্বার্থপর তোমার চেয়ে ভাল। তার দুঃখ করার কিছু থাকলো না।
৩. তুমি যেমন জীবন যাপন করেছো। তোমার বন্ধুরা তেমনটা করে নাই। তোমার বাবা মা ও পরিবেশ তাদের মতো না। তাদের সাথে ভাল বা খারাপের প্রতিযোগিতায় যাওয়া তোমার জন্য ঠিক না। নিজের একটা স্ট্যানডার্ড অনুযায়ী তুমি চলবে। পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে যদি তোমার সামর্থের বাইরে চলে যায়- তুমি বন্ধুদের সরাসরি জানাতে পার। কোন ভান করবে না।
দারিদ্রতা প্রকাশ করা খারাপ কিছু না, বরং নিজের অভিজাত্য জাহির করার কারনে পরবর্তিতে অপমানিত হওয়ার সম্ভবনা তৈরী হয়।
#টিউটোউপদেশ

জ্ঞানীকে কিনে ফেলার মাধ্যমে অধিকাংশ জ্ঞানই বিক্রি উপযুক্ত। শিক্ষা এজন্যই পণ্যতে পরিনত হয়েছে। সব ধরনের জ্ঞান আসলে অমূল্য সম্পদ না।
শক্তি অর্জন না করলে তুমি অনেক জ্ঞানী হয়েও বিক্রি হয়ে যেতে পারো, তোমার জ্ঞান তোমার বিরুদ্ধে কাজে লাগতে পারে। তোমার জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগ নাও হতে পারে। ধুলায় পরিনত হতে পারে।
তোমাকে যে আঘাত করবে তুমি তাকে ক্ষমা করতে পারো, কিন্তু নিজেকে পাল্টা আঘাত করার মতো ক্ষমতা সম্পন্ন কিনা সেটা যাচাই করে দেখবে। সেই ক্ষমতা সম্পন্ন না হলে সেই ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করবে। #টিউটোউপদেশ

২১ জুলাই

বাংলাদেশের ই-কমার্স থেকে পন্য কেনার সময় ভিন্ন কোন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা উচিৎ। একাবার পন্য কিনে সারাজীবন এসএমএস পড়তে যাবো কেন?.

জ্ঞানই শক্তি। এখানে জ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, নাকি শক্তিকে?

জ্ঞানই শক্তি। জ্ঞান অর্জনের জন্য এভাবে ছোট বেলায় ইন্সপায়ার করা হতো। শক্তিটা যে দরকারী – তা বলা হতো না, লুকানো হতো।
এক ডাক্তারের সাথে কথা বললে উনি বললো, তার সন্তানকে ডাক্তার বানাবেন না। যেকোন ভাবে প্রশাসনের কর্মকর্তা বানানোর চেষ্টা করবেন। পৃথিবীর শক্তিশালীরা জ্ঞানীদের ভাড়া করে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যে পৌছায়।
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমার নিজের শিক্ষা হলো তোমাকে শক্তি অর্জন করতে হবে। ইথিক্যাল আন-ইথিক্যাল যে কোন কাজই শক্তি ছাড়া করা সম্ভব হবে না। এমন কি যে জ্ঞান তুমি অর্জন করেছ তা কাজে লাগাতেও শক্তি প্রয়োজন।

২০ জুলাই

কয়েকজন হুজুরকে ফলো করার পর দেখলাম তারা অন্য হুজুরদের বিরোধীতার স্ট্যাটাস দিয়েই যাচ্ছে, দিয়েই যাচ্ছে।

সবাই ট্রেডিশনাল পড়ালেখায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না। এটা বেপার না। অনেক চেষ্টা করেও অনেকের মাথায় অনেক পড়া ঢোকে না। অনেক ফেল করা স্টুডেন্ট নাম করা ব্যবসায়ী হয়েছে-তাদের প্রতিষ্ঠানে অনেক পড়ালেখা করা লোক আছে। সবাই সব পারে না-পারবে না। ফেল করবে-আরো বেশি ফেল করুক। হয়তো ফেল না করলে আমরা অনেক সৃজনশীল লোককে আমাদের কাছে পেতামই না।
এক বছর আগের গর্ধব স্টুডেন্টকে হঠাৎ মেধাবী হয়ে ওঠতে দেখেছি। টাস্কি খেয়েছি। সে পড়ালেখাটার সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছে। ইংরেজীতে ফেল করা স্টুডেন্ট দেশ বিদেশে ঘুরে ঘুরে ইংরেজীতে কথা বলছে তার নিজের ব্যবসার জন্য-এমনও দেখা যায়।
মানুষ প্রতিটা স্তরেই একজন শিশু, কখন তার বিকাশ হবে আপনি-আমি জানি-ই না।

১৫ জুলাই

চার পাঁচ মাস পর পর এমনি এমনি-ই গুগল কিছু টাকা পাঠায়। বৃদ্ধ (যদি হতে পারি) পর্যন্ত এভাবে দিয়ে গেলে ভালোই হবে।

১৪ জুলাই

RAS পদ্ধতিতে মাছ চাষ শিখতেছি।

১০ জুলাই

একটা সময় এই দেশের ওয়েবের মানুষ একে অপরের উপকার করতে চাইতো। প্রসংশা করতো-একে অপরের। তখন মানুষ বাংলায় ব্লগও লিখতো।

৫ জুলাই

বন্ধুদের আড্ডায় বললাম, বেচে থাকলে আর বুড়া হলে ও বৃদ্ধাশ্রমেই থাকতে হবে। যে ব্যস্ত জীবন-যাত্রা শুরু হইছে আমাদের ছেলে মেয়ে তো সময় দিতো পারবো না। তো কি করা যায়?💤
এক বন্ধু প্রস্তাব দিলো, তাহলে নিজেরা একটা বৃদ্ধাশ্রম বানিয়ে রাখি। সব বুড়া-বন্ধু একসাথে থাকলে এতটা বোরিং লাগবো না। তাছাড়া নিজেরা যেহেতু দায়িত্বে থাকবো-অনেকটা স্বাধীনতাও পাবো।

৪ জুলাই

অধিকাংশ ফুল গাছের ডাল লাগালেই গাছ হয়ে যায়।
ফলগাছের ক্ষেত্রে কলম/বীজ থেকে করতে হয়।
চিন্তার বেপার না?

সাপোর্ট করার জন্য নির্দিষ্ট ফুটবল দলও মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে পায়। অদ্ভুত না?

৩ জুলাই

ই-কমার্সের কারনে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেশন ভাঙবে – এমনটা ভাবছিলাম। কিন্তু না, তারা আরো বেশি দাম বাড়াচ্ছে।

অনেক দিন বড় কোন অনুষ্ঠানের দাওয়াত না পেলে হাপিয়ে উঠি। বাড়িতে না থাকায় ঠিক মতো এটেন্ড করতে না পারলেও চট্টগ্রামে অনেক অনেক বিয়ে খাইছি। গাজীপুরের চাকরীতে এসে তেমনটা জোটে নাই।

২ জুলাই

বিভিন্ন-লীগ ও লীগ-নেতা কি সরকারের কোন দরকার আছে?

১. এভারেজ (PDB এর) বিদ্যুৎ ব্যবহারের সমানুপাতিক হারে সোলার সিস্টেম বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। বাতি জ্বালানো বা মোবাইল চার্জ এর মতো লো ভোল্টেজ ডিভাইজ নিজস্ব সোলার সোর্স থেকেই ব্যবহার করতে হবে। উচ্চ ভোল্টেজ যেমন- ইন্ডাস্ট্রি মেশিন, ফ্রিজ, এসি ইত্যাদির জন্য পিডিবি।
এমন কি গাড়ীতেও সোলার বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। গাড়ীর লাইট ও ফ্যান সোলার চার্জ-এর মাধ্যমে চলবে।
২. যেহেতু সবাইকে গ্যাস লাইন কখনো দেওয়া সম্ভবই হবে না। তাই বর্তমান যে গ্যাস লাইন আছে তা তো বন্ধ করেই দেওয়া উচিৎ। কেউ বোতলের গ্যাসে রান্না করবে আবার কেউ লাইনের গ্যাসে- এটা এক ধরনের ডিসক্রিমিনেশন।
৩. বাকি থাকে পানি। একটু বৃষ্টি হলেও নর্দমার পানি রাস্তা ও বাড়ি ঘর প্লাবিত করে, এখানে ওয়াসা যে ধরনের পাইপে পানি দেয় তাতে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া দুস্কর। যখন পানির চাপ না/কম থাকে তখন ড্রেনের ময়লা পানি পাইপে ঢোকে, পরে যখন চাপ বাড়ে তখন ওয়াসার পানির সাথে ময়লা পানি মিশে। এবং ময়লা পানি আমরা পান করি।
প্রতিটি এলাকায় ছোট ছোট পানির প্লান্ট না করলে বিশুদ্ধ পানি কখনোই পাবেন না। একসময় ঢাকায় ডীপ টিউবওয়েল বসানো যেতো এখন যেমন গ্রামে বসানো যাচ্ছে। ওয়াসা আসায় বরং বিশুদ্ধ পানি দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

১ জুলাই

প্রথম দিকে শিশুরা বাইনারী ভাষায় কথা বলে- হাসি ও কান্না।

৩০ জুন

বেতনের দ্বিগুন দামে একসময় মোবাইল ফোন কিনেছিলাম।
এখন বেতনের চারভাগের একভাগ দামে কেনাকে অপচয় মনে হয়।