৩০ জুন
বেতনের দ্বিগুন দামে একসময় মোবাইল ফোন কিনেছিলাম।
এখন বেতনের চারভাগের একভাগ দামে কেনাকে অপচয় মনে হয়।
২৯ জুন
বাবা মায়ের কাছে তার সন্তানই আশ্চর্যজনক ক্ষমতার অধিকারী । #শিশু
২৪ জুন
আমাদের গ্রামে যে কয়টা পরিবার বসবাস করে তারা সবাই একটা বিশ তলা ভবনে বসবাস করতে পারবে।
অফিসের জন্য রেডি হচ্ছি- ছেলে আমাকে মনিটর করছে। কিছুক্ষণ পর সে পা কোমর ওঠা নামা করতে থাকলো। এ অর্থ, তাকে নিয়ে বাইরে যাও। তখন ওর বয়স ছিল ৫ মাস-প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় এভাবে আমার কোলে উঠে এগিয়ে দেয়।
এখন ৭ মাস, অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হলে সে উল্টে পাল্টে যায়, এ এ এ .. করে ডাকে। কোলে নেওয়ার সময় শক্তি প্রয়োগ কর উঠে যায়। উঠে গিয়ে হাসে। সে জিতেছে।
এখন এটাই জীবনের সেরা বিনোদন।
বাবা-মা মাঝে মাঝে তার ছেলেকে নিয়ে গর্ব করতো বা এখনো আমাদের কোন ভাল এচিভমেন্ট নিয়ে অন্যের কাছে আলাপ করে। আল্লাহ আমাকে সন্তান দেওয়ার পর এসবের অনেক কিছুই বুঝতেছি। #শিশু
২৩ জুন
প্রতিটা গ্রামের বাড়িতে আগে বেশ কিছু জিনিস ছিল-একটা একটা করে এখন কমছে-
১. ভিটা ও ঘর
২. পুকুর
৩. বাশ ঝাড়
৪. পাকের ঘর
৫. ধান ও লাকরী রাখার ঘর
৬. কাছারী ঘর
৭. কোলা -বাড়ীর চেয়ে নিচু জায়গা যেখানে শব্জি চাষ করা যায়।
৮. হাস মুরগীর বাসা
৯. গোয়াল ঘর
১০. ডীপ কল – কয়েকটা বাড়ী মিলে একটা
আমাদের গ্রাম আগের চেয়ে বেশি সুন্দর হইতেছে। কারন, সেখানে মানুষ তেমন বাড়ে নাই।
১৪ জুন
তখন ঈদ কার্ডের প্রচলন ছিল।
আমরা ছোটরা একবার ঈদ কার্ডের দোকান দিছিলাম। যারা প্রেম করতো তারা মিউজিক ঈদকার্ড বা থ্রিডি কার্ডও গিফট করতো।
তখন খেলোয়ারদের ছোট ছোট ভিউকার্ড ও স্টিকারও পাওয়া যেতো। বিভিন্ন আসবাবপত্রে বা বইয়ে সেগুলো লাগাতাম। চিঠির খাম থেকে স্ট্যাম্প খুলতাম পানিতে ভিজিয়ে। তারপর একটা নোটবুকে লাগিয়ে জমাতাম।
উপদেশ দিতে আমার ভালো লাগে না। কিন্তু তাতিয়ানার জন্য উপদেশমূলক একটা বই লিখতে শুরু করেছি। বইটার কিছু কিছু আমার টাইমলাইনেপাবলিশ করবো ভাবছি। উপদেশ যদের ভালো লাগে না, ইগনোর করে যেতে পারেন। আবার কেউ চাইলে নিজের মতামতও দিতে পারেন।
তাতিয়ানা,
পৃথিবীর প্রতিটা জিনিষ এবং ব্যপারেরই একটা মূল্য আছে। ধরো তোমার সাথে কেউ কিছু করলো (সেটা ভালো বা খারাপ) এর একটা মূল্য অবশ্যই আছে। কেউ যদি তোমাকে এক কাপ চা-ও খাওয়ায়, সেটার মূল্য তোমাকে কোন না কোন ভাবে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। পৃথিবীতে একমাত্র বাবা-মা ছাড়া আর কেউই বিনামূল্যে কিছু করে না। সুতরাং এই মূল্যের ব্যপারে সতর্ক থাকবে। কখনো কারো কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করার আগে এর বিনিময়ে সে কী চায় বোঝার চেষ্টা করবে। যদি ধরতে না পারো, তাহলে এর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবে। যে বস্তুর মূল্য বোঝা যায় না, সেই বস্তু যত ছোটই হোক তার জন্য তোমাকে চরম মূল্য পরিশোধ করতে হতে পারে।তাহলে, তুমি কি কারো কাছ থেকে কিছুই গ্রহণ করবে না? অবশ্যই করবে। শুধুমাত্র তাদের কাছ থেকে তুমি গ্রহণ করবে যাদেরকে এর বিনিময় দিতে পারবে বা দিতে চাও। যাকে তুমি বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি না, তার কাছ থেকে এক কাপ চা-ও তুমি গ্রহণ করবে না বরং নিজে তাকে এক কাপ চা খাওয়ানোর চেষ্টা করবে। একটা ব্যপার মাথায় রেখো। তুমি যত বেশী গ্রহণ করবে, তোমার মূল্য ততই কমতে থাকবে। তুমি যত বেশী দিতে থাকবে, তোমার মূল্য ততই বাড়তে থাকবে। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে এই মূল্যের ব্যপারটা তুমি ধরতে পারবে। তার আগে পর্যন্ত শুধু্ই উপদেশ হিসেবে ব্যপারটা মাথায় রেখো।
…চলবে।
ত্রিভুজ আলম এর স্ট্যাটাস শেয়ার করেছিলাম।
১০ জুন
রোজায় কার কত ওজন কমলো?
২ জুন
ল’ পাশ না কইরা তুই পুলিশে চাকরী নে।
সরাসরি জজ হতে পারবি।
১ জুন
গ্রুপ প্রতিষ্ঠানের যতগুলো প্রজেক্ট থাকবে তার অর্ধেক সংখ্যক জেলায় ছড়িয়ে থাকতে হবে। আর ঢাকাতে দু্টির বেশি নয়। – এরূপ আইন থাকা দরকার।
প্রতিষ্ঠানগুলো একসাথে থাকায় কোন কোন এলাকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি বেশি হচ্ছে এবং নাগরিক সুবিধা দেওয়া সম্ভবও হচ্ছে না।
৩১ মে
দেখতে অসুন্দর ও পোকাওয়ালা ফলই ভাল ছিল। ক্যামিক্যাল বিষ ছিল না।
মুহাম্মাদ আশিকুর রহমানMay 28, 2018
গতকাল মুফতি তারিক মাসুদ সাহেবের বয়ান শুনছিলাম, উনি বলছিলাম তাওয়াক্কুল নিয়ে-
আমরা মুসলমানরা অনেকে হয়ত বস্তু নির্ভর, আমরা মনে করি কোন কাজ সফল হওয়ার পিছনে ওই কাজে যত রশদ বেশি হবে ওই কাজের সাফাল্য তত দ্রুত আসবে।
আবার অনেক মুসলমান হয়ত চিন্তা করে, আল্লাহ সব গায়েব থেকে করে দিবেন। বান্দাকে কিছু করতে হবে না।
অথচ তাওয়াক্কুল তো হলো, বান্দা তার সামর্থ মতন সব কিছু করবে, তারপর আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, হে আল্লাহ আমি আমার সাধ্যমতন চেষ্টা করেছি, আপনি তো সবকিছু করনেওয়ালার জাত, আমার কাজটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন করার তৌফিক দিন।
যেমনটা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) অথবা সাহাবা রা. গন তাদের প্রত্যেকটি কাজে করেছেন। বদর যুদ্ধ, বস্তু নির্ভরদের জন্য এটি একটি আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত। কারন কাফেরদের সৈন্য ছিল ১০০০ বা কম বেশি। মুসলমানদের সৈন্য ছিল ৩১৩ জন অথবা কম বেশি। আমাদের নবী অথবা সাহাবা রা. এই সময় প্রথমেই আল্লাহর উপর ছেড়ে দেন নি। তারা নিজেদের সাধ্যমতন সকল কাজ করেছেন যেন যুদ্ধে বিজয়ী হতে পারেন, যদিও তারা জানতেন তাদের সৈন্য সংখ্যা প্রায় ৩ ভাগের এক ভাগ। তাও তারা যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। তারপর আল্লাহর কাছে যুদ্ধে বিজয় দানের জন্য দোয়া করেছেন। এটিই হলো তাওয়াক্কুল।
অথচ আমাদের সমাজে কিছু দ্বীনি ভাই আছেন, যারা এই তাওয়াক্কুলের ভুল অর্থ মানুষকে শিখান। আল্লাহর নিকট এমন ভাইদের থেকে পানাহ চাই, এবং তাদের হেদায়েতের দোয়া করি।
https://www.facebook.com/noor.century/posts/1635473823217533
২৭ মে
পৃথিবী বিভিন্ন অংশে ভাগ করা হলো। যাতায়াত বন্ধ করা হলো। জিনিসপত্র আনা নেওয়া বন্ধ করা হলো। তারপর বললো যেতে হলে ভিসা লাগবে, ভিসা নিতে টাকা লাগবে। জিনিসপত্র নিতে আনতে আরো টাকা লাগবে।
১৭ মে
আমাদের অফিসটা ছিল এশিয়ান টিভির স্টুডিওর অপর পাসের ফ্লাটে। এর সুযোগে আমরা বিভিন্ন নাট্টকারদের দেখতে পাই। সাউন্ডপ্রুফ দরজাটা খুললে গান-বাজনার আওয়াজ আমাদের অফিসে চলে আসে। সারা রোজার মাসই ঈদের নাটক আর নাচ-গানের প্রোগ্রামগুলো এই স্টুডিওতে চলছিল। তখন প্রভার নাটক বেশ চলে, তাকে প্রায়ই দেখতাম।
একদিন বিকেলে সিড়িতে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলছি। জুব্বা পড়া বড় দাড়িওয়ালা এক হুজুর জিজ্ঞেস করলো- এশিয়ান টিভির অফিস কয়তলায়? আমি কিছুতেই মিলাতে পারলাম না, এমন হুজুর এশিয়ান টিভি খুজছে কেন? অনেক পরে মনে হলো-অহ, ইফতারের আগে তো টিভিতে কোরআন তেলাওয়াত এবং মুনাজাত হয়।
রোজা আসলে আজও সেই কথা মনে পড়ে।
১৬ মে
গণতন্ত্রের খারাপ দিক প্রচারের জন্য পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল এবং সেটেলাইট দেখাবে আওয়ামিলীগ।
অনেক এলাকার রাস্তা ঠিক করার কাজ হাউজিং সোসাইটি নিয়ে নিছে।
সারা দেশের ভিতরের রাস্তার কাজও সোসাইটিকে দিয়ে দিতে পারে।
সরকার বা স্থানীয় সরকারের দিকে চেয়ে থেকে শুধুই সময় নষ্ট।
১৫ মে
রিকসা সাইজের কোন এসি গাড়ী কি পাওয়া যায়?
১০ মে
ভূ-উপগ্রহ জায়গামত পৌছানো সুক্ষ বেপার।
বেশ অপেক্ষা ও উত্তেজিত মূহুর্তের অবতারণা হয়।
আর আমাদের টাকার ভূ-উপগ্রহ সেই উত্তেজনা আরো বাড়াবে। এটা টিভিতে সম্প্রচার করা উচিৎ। যদিও সব কিছুই বিদেশিরা করছে।
১০ মে
সয়ংক্রিয় মেশিন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্ট এবং রোবট সম্পর্কে মানুষের ভুল একটা ধারণা- এরা অনেক মানুষকে বেকার করে দিবে তাই মানব সভ্যতার জন্য এরা হুমকি!
পৃথিবীর খুব কম মানুষই কাজ করে আর সবাই খায়। অন্যন্য প্রানীও খায় আর খায়। সয়ংক্রিয় মেশিন বেকারের সংখ্যা বাড়ানোর সাথে সাথে উৎপাদন এত এত বেড়ে যাবে যে দারিদ্রতা কমে আসবে। আর তাই মানুষ বেকার হলেও সমস্যা নাই, রিজিক পেয়ে যাবে।
আরেকটা বিষয় হলো-মানুষ আসলে কাজ করার জন্যই পৃথিবীতে আসে নাই। তারা এত বুদ্ধমান যে না কাজ করে কিভাবে সব চাহিদা মিটানো যায় তা শিখে যাচ্ছে।
তাই-ভয়ের কিছু নাই-নতুনকে গ্রহণ করুন।
৮ মে
রোজা আসা পর্যন্ত দাম বাড়তে থাকে। ১০ রোজার পর আবার কমতে থাকে।
সাধারনতঃ রোজার মাসের বাজার একসাথে করার প্রবণতা থেকে এটা হয়।
৫ মে
ভাঙ্গা-চুড়া রাস্তায় অধিক সংখ্যক স্পিড ব্রেকার থাকে।
৫ মে আওয়ামিলীগকে পাল্টে দিছে। বাংলাদেশের রাজনীতিও পাল্টে দিছে।
এই দিবসটা তাদের পালনকরা দিবসগুলোতে যোগ করা উচিৎ।
এই দিনটা আওয়ামিলীগ ডে। এই দিনটাই আওয়ামিলীগকে শক্তিশালী প্রমান করছে। এবং
তারা ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করতে পারতেছে। এই দিনটা ছিল
আওয়ামিলীগের একটা বিজয় দিবস।
:p একইভাবে বিএনপিও এই দিনের পরে বড় ধরনের কোন মিটিং মিছিল আয়োজন করতে পারে নাই। বিএনপির নেতারা ৫ মে কে স্মরণ করে ভয়ে কাঁপে। 🤐 জামাতও এরপর থেকে খুব একটা সরকারের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় না।
৪ মে
শ্রমিকদের আলাদা কাতারে আমি দেখি না। ইঞ্জিনিয়ারও শ্রমিক।
আপনি ভাবতে পারেন ইঞ্জিনিয়ার মাথা খাটায়, আর শ্রমিক শরীর খাটায়।
না। শ্রমিকও ইঞ্জিনিয়ার এর চেয়ে কম মাথা খাটায় না।
আপনি একটা শ্রমিক রোবটের প্রোগ্রাম তৈরী করলে বুঝতে পারবেন।
ইট ভাঙার সময় হাতুরীর বাড়িটা কোথায় মারা হবে, বা কোদাল দিয়ে কত এঙ্গেলে কোপ দিলে মাটি সহজে উঠে আসবে, বড় একটি হাড় সহ গোস্তের টুকরাটা কাটতে হলে কিভাবে সেটা ছড়াতে হবে তার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য বিজ্ঞান। সেই বিজ্ঞান প্রতি মুহুর্তে ব্যবহার করতে হয়-যা একজন ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে বেশি সংখ্যকবার।
অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ারই একই কাজ বারবার করে-শ্রমিকের মতোই তার মাথা খেলে।
৩০ এপ্রিল
যে কোন দেশের সরকার বিরোধী হ্যাকারই জনপ্রিয়। কারন- জনগন সরকার দ্বারা শোষিত, আর এটার প্রতিকার করতে অক্ষম। এই অক্ষমতা দূরের জন্য একটু আশার আলো হ্যাকাররাই দেখায়।
ঢাকার মানুষ আগেই জানতো ঢাকা পানিতে ডুববে। তাই তারা উচু উচু বাড়ি বানিয়েছিল।
কুটি কুটি লিটার বৃষ্টি হচ্ছে।
২৯ এপ্রিল
বৃষ্টি ছোটবেলা থেকেই ভাল লাগে।
ভাল বৃষ্টির জন্য একটু কষ্ট করো না !
২৮ এপ্রিল
বৃটিশরা এমন কিছু কাজ বাঙালীদের করে দেখাইছিল যা তারা আগে ভাবে নি।
তাই ১৯০ বছর এই উপমহাদেশ শাসন করতে পারছে।
যোগাযোগের রেলওয়ে ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইন- অন্যতম। যদিওবা তাদের শোষণের চাইতে খুব কম কিছু। কিন্তু ঐ সময় বৃটিশ এই উপমহাদেশ শাসন না করে নবাবরা করলে কি এইসব দেখতাম কিনা সন্দেহ।
তো পরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পর্বে যারা আসছে তারা যদি এর চেয়ে বেশি কিছু করেই থাকতো তাহলে বৃটিশ আমলের রেল, বিশ্ববিদ্যালয় বা আইন এমন হতো যে তাদের অবদানগুলো চোখেই পরতো না। কিন্তু তা হয় নি।
পীরে এমন কি শিক্ষা দেয় যা মসজিদের ইমাম দিতে পারেনা ?
https://www.facebook.com/Rubel24/posts/2264265433584385
যে কারনে আমরা পাশের ক্ষুধার্ত মানুষের খোঁজ না নিয়ে ট্র্যাক ভর্তি চাল ডাল, গরু, ছাগল, হাস, মুরগী ও ডিম নিয়ে বাস বোঝাই করে মাইক বাজিয়ে আমরা পীরের বাড়ি যাই ?
২৬ এপ্রিল
অনলাইল কমিউনিটিও একটা প্রভাবশালী মহল। সাংবাদিক, এমপি, মন্ত্রীর মতন। অনলাইনের চাপে পরে প্রশাসন অনেক সময় তাদের সিদ্ধান্ত বদলায়। বিচারক বিচার বদলায়। এটা খারাপ একটা পদ্ধতি, যদিওবা সাময়িক ভাল ফল পাচ্ছি।
২৫ এপ্রিল
৫৭ ধারার ভয়ে অনেক আগেই অনেকে একাধিক আইডি বানাইয়া পোস্ট দেওয়া শুরু করছে। পরের আইডিটা বেশিভাগই মেয়ে আইডি, যাতে দ্রুত ফ্রেন্ড বাড়ানো যায়। আর যে কোন বিষয়ে ট্রল করলে সহজেই লাইক কমেন্টে ভরে যায়-তাই সহজে বুস্ট হয়।
যারা বেশি পাকনা তারা আবার ডুয়াল অ্যাপ দিয়া পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট কইরা ফেসবুক চালায়। এই যুগে গলা টিপ্পা ধরা খুব সহজ এবং কারো ক্ষেত্রে এত সহজ না।
একবার ফেসবুক ভোটের মাধ্যমে কিছু কনটেস্ট হইতো। তখন ফেসবুক আইডি বানানো ছেলেদের সাথে পরিচয় হইছিল। লাইক করার স্ক্রিপ্টও বানানো যায়। এমন কি ফেসবুকে লগইন কইরা আবার লগআউট করে পরের আইডিতে লগইন করার এবং লাইক বা পোস্ট দিয়ে বের হওয়ার স্ক্রিপ্টও দেখছিলাম।
বৈশাখের মতো ভয়ংকর একটা মাসরে তুরা কেন ডাইকা আনস?
ফ্রিডম অব স্পিস
ইডিট করা যায়।
২৪ এপ্রিল
কমিউনিটির চাপে বিচারের ভাঁণ।
আর কত?
মাঝে মাঝে তুমি বড়লোকদের পার্টিতে যাবা। মাঝে মাঝে যাবা হত দরিদ্রতের পার্টিতে। তাদের সাথে মিশলে অনেক কিছু জানতে পারবা।
কিন্তু বড়লোক বলতে এলিট যারা তারা তোমাকে সহজে মেনে নিবে হয়তো। তুমিও হয়তো তাদের পদ্ধতি কয়েকদিনে শিখে ফেলতে পারবা। কিন্তু হত দরিদ্রেদের সাথে মিশা ও তাদের নিজেদের লোক হয়ে চলাফেরা বেশ কঠিন। এটা শিখতে পারলে তুমি উন্নত দেশের নাগরিক হতে পারবা।
২৩ এপ্রিল
শহরের মানুষেরা একটা চক্রের মধ্যে পড়ে যায়। সে নিজেও বুঝে উঠতে পারে না- কি এক অর্থনৈতিক চক্রান্তে সে আছে। বিশেষ করে যারা ভাড়া থাকেন।
সব খরচ শেষে দশ-বিশ বছর পর সে গ্রামের মানুষের চেয়েও পিছিয়ে থাকে।
কলা, তরমুজ আর বেল দিয়েই রাতের খাবার শেষ করলাম।
এই এলাকার অবৈধ গ্যাস লাইন কেটে দিছে। যখন অবৈধ লাইন চালু হয় তখন ঘর ভাড়া বাড়লো ৩০% এর মতো। এখন কেটে দিছে, ভাড়া কমে নাই।
বাড়িওয়ালাকে বললাম, ভাই কি খবর? বলল, কিছু দিনের মধ্যে আবার চালু হবে। কথা চলতেছে। এখানে মুটামুটি ৫০০ বাড়িতে অবৈধ গ্যাস লাইন কাটা পরছে। এরকম কমপক্ষে ৫০০ টা গ্রাম পাবেন যেখানে অবৈধ গ্যাস লাইন।
আমাদের বাড়িতে বৈধ গ্যাসলাইন, চুলা বড়ানোর আবেদন এখনো মঞ্জুর হইতেছে না। শোনলাম গ্যাসে চাকরী নিতে ৫০ লাখ টাকা লাগে এখন, আগে দশলাখ হলেই চলতো। দারুন সিস্টেম এ আমরা বাস করছি।
২২ এপ্রিল
নতুন সম্পর্কের জড়ানোর পর পরিবারকে গুরুত্ব দিন। আপনার গুরুত্ব দির্ঘস্থায়ী হবে।
বাংলাদেশ উন্নত রাস্ট্রে পরিনত হওয়ার পর গবেষকরা বলবে, জনসংখ্যাই ছিল উন্নত হওয়ার কারন।
উপদেশ টাইপের পোস্টগুলো Only Me দিয়ে পোস্ট করছি। নিজেকে নিজে উপদেশ দেই।
জনস্বার্থে এটা Public এর
অর্থনৈতিক বিপর্যয়টা কৃষক-শ্রমিক পর্যায়ে পৌছাতে একটু সময় লেগে যায়। মানুষ বুঝে উঠতে পারে না আর তাই ধারাবাহিকভাবে জিনিসের দাম বাড়ে। গাড়ীভাড়াটা বাড়ে সাথে সাথে। ইদানিং কৃষি পন্যও বিদেশ থেকে আমদানি হচ্ছে আর তাই কৃষি পন্যের মূল্যবৃদ্ধিও সাথে সাথেই হচ্ছে ।
টাকার অবমূল্যায়নে দরিদ্র যেভাবে আরো দরিদ্র হচ্ছে এ বিষয়ে তেমন কোন যৌক্তিক আলোচনা নেই।
সাম্যবাদিদের প্রগতি শুধুই ইসলামোফোবিয়াতে সীমাবদ্ধ।
২১ এপ্রিল
যাত্রী বলল, আমি কে তুই চিনস?
কন্টাক্টর প্যান্ট আলগাইয়া বলল, দেখ পায়ে গুলির চিহ্ন, এখন ভালা হইয়া গেছি। আমারে চিনস?
যাত্রী এবার ঠান্ডা হইলো। সুর নরম হইলো।
আমি বললাম, আপনারা হেন তেন হইলে কেনই বা আমাদের সাধারন মাইন্সের মতো এই পাবলিক বাসে হাউকাউ করেন?
২০ এপ্রিল
শহরকে আল্লাহ জনপ্রিয় করছে, গ্রাম যাতে ভাল থাকে। সুউচ্চ অট্টালিকা না হলে কত কত গাছ কাটা যেত! শহরে থাকুন, গ্রামকে ভাল রাখুন।
১৯ এপ্রিল
সবচেয়ে বেশি অপচয় হয় রোদ আর বৃষ্টির পানি।
১৮ এপ্রিল
বাঙালী সংস্কৃতির বিরোধীতা করে প্রচার করাও ফ্রিডম অব স্পিস। আপনি এ দেশের নাগরিক হয়েও যে কোন দেশের সংস্কৃতিকে ভালবাসতে পারেন, পালন করতে পারেন, এটা আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতা। আপনি শুধুমাত্র ইংরেজী, উর্দো, হিন্দি বা অন্য যে কোন ভাষায় কথা বলবেন, বলেন। আপনি স্বাধীন।
আপনাকে যারা কোন কিছুতে বাধ্য করবে-তারা প্রতিক্রিয়াশীল।
এই প্রতিক্রিয়াশীলতার ক্ষমতা এখন ছোট পরিসরে আছে বলে বুঝতে পারছেন না- এখন খাবারের সাথে ওষুধ মিলিয়ে খাওয়াচ্ছে, একসময় টুটি চেপে ধরে খাওয়ানো হবে। আপনার স্বাধীনতা গিলে খাবে রাস্ট্র নামক শোষক শ্রেনী ও তাদের তাবেদাররা।
১৭ এপ্রিল
জিন্স, টিশার্ট, পোলাও, বিরানী আর ফাস্ট ফুড বিশেষ করে ফ্রাইড চেকন আর বার্গার বাংলা সংস্কৃতিতে ঢুকে গেছে। বৈশাখে এদের কেন অবহেলা?
১৬ এপ্রিল
ফেসবুক আমেরিকায় জন্ম না নিলে এত দিনে এটি বন্ধ হতো বা সেই দেশের সরকারের হাতে চলে যেত।
১৫ এপ্রিল
সংস্কৃতি ইতিহাস দিয়ে হালাল করার বিষয় না। ধর্ম, রাজনীতি ও ব্যবসার প্রভাবে আপনি যেভাবে চলছেন তাই বাংলাদেশের সংস্কৃতি।
ঢাকার সমাজে বিনোদনের বড় অভাব। আপনি ভাবতে পারেন- বিনোদনের জন্য অনেক কিছুই তো ঢাকায় আছে। আসলে না! আসল জিনিসটাই নেই-সময়।
আপনি হয়তো অনেক বেশি লোক দেখছেন পহেলা বৈশাখ বা অন্য কোন দিবসে। কিন্তু দুই কোটি লোকের হিসেবে পার্সেন্টেজটা অনেক কম।
এই বিনোদনের অভাবগুলো মিটানোর প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন দিবসে লোকজন ঘর থেকে বের হয়। পহেলা বৈশাখ এমন আরেকটা দিন।
এর ভিতরে অনেকে নিজেদের রাজনীতি ও ব্যবসার প্রয়োজনে অনেক কিছু এড করে
দিচ্ছে। আপনিও কিছু যোগ করতে পারেন। আপনার ডোপিং করা জিনিসটা হাজার বছরের
বাঙালী সংস্কৃতির অংশ হতে পারে।
🙂 যেমন অনেকে পহেলা বৈশাখে ঈলিশ খাইতেছে, আপনি টাকিমাছ ভর্তা যোগ করে দিতে পারেন।
৯ এপ্রিল
আমরা ঢিল ছুড়ে আম পাড়তাম।
কোটা দিয়ে আম পেড়ে নিয়ে যেতো বড়রা।
ঘুষ দে চাকরী নে…
কোটা থাকুক বা না থাকুক।
এবার তোরা ঘুষ খা, বাড়ি গাড়ি কর।
আন্দোলন যে বিরোধী আন্দোলন না, তা বুঝাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি ব্যবহার করতে হয় এখন। কিছু ব্র্যান্ড স্লোগানকে ব্যবহার করতে হয়। আন্দোলনগুলোর ভাল উন্নতি হইছে।
ঐদিকে যে কোন আন্দোলনকেই সরকার ভয় পায়, গুলি ছোড়ে – পাছে এই আন্দোলন তাদের চেয়ার কেড়ে নেওয়ার আন্দোলনে পরিনত হয়।
৮ এপ্রিল
Go and catch a falling star
কবিতাটা পাঠ্য ছিল। নারীবিদ্বেসী কবিতা। দারুন কবিতা।
৩ এপ্রিল
বিদ্বেস আন্দোলনের হাতিয়ার।
৩১ মার্চ
কিভাবে খারাপ মানুষ সার্ভাইভ করে ?
-এ বেপারে গবেষণা জরূরী।
২৮ মার্চ
যেদিন মাইক নিষিদ্ধ হবে, সেদিন বুঝবেন এই দেশ সভ্য হইছে।
২৮ মার্চ
২০১৮ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে শহরের অনেক দালানে বিয়ের মতো বাতি জ্বালানো শুরু করে।
২৫ মার্চ
বই পড়ে বিনয় শিখা যায় না।
এমন অনেক কিছুই আছে যা বই পড়ে হয় না।
আবার অনেক অনেক বই পড়ে যতটা ম্যানার শিখতে পারবেন তার চেয়ে কম সময়ে শিখতে পারবেন কিছু লোকদের সহচর্যে। ভাল লোকদের সহচর্যে থাকার প্রয়োজনিয়তা কম লোকই জানে।
৮ মার্চ
ঢাকার (জলাব্ধতা-জানজট ইত্যাদি) সমস্যায় জর্জরিত কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, ঢাকায় থাকেন কেন-
-চাকরীর জন্য ।
-বাচ্চার পড়ালেখা গ্রামে ভাল হবে না ।
-গ্রামে ভাল হাসপাতাল মেডিকেল নাই ।
-গ্রামে কাচা বাড়িতে বউ থাকতে চায় না, এখানে তো ফ্লাটে ভাড়া থাকি ।
-ঢাকায় প্রায় সব জিনিস পাওয়া যায়, যেটা গ্রামে পাই না।
ইত্যাদি।
ঢাকায় জন্ম নেওয়া যুবকদের কমই ঢাকার নাগরিক সমস্যা নিয়ে মাথা খাটায়। তারা
জানে, এটা সমস্যা না, এটা নিয়ম। অনেক লোক গ্রাম থেকে ঢাকায় পড়ালেখা বা
বিভিন্ন অফিসে চাকরী করতে আসায় এই নিয়মগুলো তৈরী হয়েছে। তাদের চাহিদা পূরণ
করার জন্য আরো কিছু কর্মক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। এভাবে গত তিন দশকে অনেক লোক
বেড়েছে ঢাকায়।
সরকার বা সিটি করপোরেশন যতটুকু পারছে আপনাদের বকাঝকা হজম করছে- আর হাসছে মিটিমিটি।
এখান আসেন ঢাকার সমস্যা সমাধান করি-
-সরকারী অফিস মন্ত্রণালয়, শিক্ষাবোর্ড, বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রিয় অফিস ঢাকার বাইরে নিতে হবে।
-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সরিয়ে ঢাকার বাইরে নিতে হবে। আরো কিছু সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ঢাকার বাইরে স্থাপন করতে হবে।
-আরেকটা করে ঢাকা মেডিকেল, পঙ্গু হাসপাতাল, পিজি হাসপাতাল, সরোয়ারদি হাসপাতাল ঢাকার বাইরে করতে হবে।
-প্রতিটা জেলায় রাজুকের বসুন্ধরা প্রকল্পের মতো করে প্লট বিক্রি করবে, ফ্লাট ব্যবসা বিভিন্ন জেলায় নির্দিষ্ট এলাকায় শুরু করবে।
২২ ফেব্রুয়ারী
প্রতিটি চেতনায় থাকে আরেকটা প্রতিক্রিয়াশীলতা।
বাংলাভাষার গর্ব ও অর্জন আমাদের প্রতিক্রিয়াশীল না করুক।
ভিন্ন ভাষাকেও শ্রদ্ধা করতে শিখাক।
১৭ ফেব্রুয়ারী
বিদেশী পত্রিকায় বাংলাদেশের যে খবরটি আসবে তা দেশিপত্রিকায় পাবেন না।
প্রবাসী বা ফেইক আইডি যে কথা ফেসবুকে লিখবে তা ভদ্রলোক লিখতে সাহস করবে না।
ঘোষখোর অফিসার সরকারী কাজটি আন্তরিকতার মাধ্যমে করলেও সৎ অফিসার আপনাকে ঘুরাবে আর ঘুরাবে।
যে এমপি সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজি করে সেই নিজ এলাকায় সবেচেয়ে বেশি উন্নয়নে ভুমিকা রাখে।
মানুষ কেন ভাল মানুষদের সম্মান করেন না?- এ বিষয়ে ভাবনার ফল।
১৩ ফেব্রুয়ারী
অনেকেই ডিজিটাল দেশে সারভার স্থাপন করে বিক্রি করার চিন্তা করছিল ! কেউ কেউ হোস্ট করছেও। এসএসসি পরীক্ষার জন্য সারভার সাময়ীক ডিসকানেক্ট থাকবে এটা কি জানতো !
এই দেশে নাকি আবার বিগ বিগ ডাটা সেন্টারও হবে !
বড়লোক এমপি-মন্ত্রী-নেতাদের মতো দেশের বাইরে জমি কিনেন। সেখানে সারভার রেখে আসুন। একটা ভিপিএন সারভারও বসাবেন কিন্তু !
৬ ফেব্রুয়ারী
VIP দের জন্য আলাদা লেন প্রস্তাব মন্দ কিছু না। আম জনতার রাস্তা বন্ধের চাইতে ভাল। উল্টা গাড়ী চলার চাইতে ভাল।
আপনি নিজে VIP হয়ে যান, দেখবেন-এই প্রস্তাব আসলেই ভাল মনে হবে।
সমস্যা হচ্ছে আপনি VIP না। সেটা আপনার সমস্যা।
৩ ফেব্রুয়ারী
পরীক্ষার মাসখানেক আগে ৪০ সেট প্রশ্ন বানিয়ে সব প্রশ্নই শিক্ষাবোর্ড বাজারে ছেড়ে দেক। পরীক্ষার দিন স্কুলে বলে দিবে এত নং প্রশ্ন ফটোকপি করে পরীক্ষাটা নিয়ে নেও। প্রশ্ন ফাাঁসের সমস্যা আর থাকলো না।
কারন ৪০ সেট প্রশ্ন সলফ করতে করতে বই এর সবই শিখা হয়ে যাবে।
প্রশ্নফাঁস দুর আইডিয়া-২
২৯ জানুয়ারী
রাস্তার পাসে ছোট্ট চা স্টলের চেয়ে বড় বিনোদন কেন্দ্র আর কি আছে ?
২৮ জানুয়ারী
বাংলাদেশে ফেসবুক একটা অভিযোগকেন্দ্র ।
২৩ জানুয়ারী
বড় কোন প্রজেক্টে যখন বিদেশীদের দিয়ে কাজ করানো হয়। তখন বাংলাদেশীদের সেই কাজ শিখিয়ে যাবে-সাথে সেই কন্ট্রাক্টও থাকা দরকার।
এটা করলে সরকারী বা বেসরকারী উভয় পর্যায়েই পরবর্তিতে একই ধরনের প্রজেক্টে বিদেশীদের আনতে হবে না। টাকা অনেক কম খরচ হবে।
বিদেশীরা বিভিন্ন কাজ করে এই দেশ থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে দুঃখ না করে এই উদ্যোগটা নিতে হবে।
২০ জানুয়ারী
উইনডোজ হয়তো তার নিজের প্রয়োজনেই এড্রয়েড এপস (আলাদা ইমুলেটর ছাড়া) চালানোর ব্যবস্থা করবে। ইদানিং অনেকেই সারাদিন উইনডোজ পিসিতে বসে ইনড্রয়েড ইমুলেটর ব্যবহার করে।
পৃথিবীর সবচেয়ে দামী জিনিসগুলো যুদ্ধের জন্য।
দ্বিতীয় দামী জিনিসগুলো বিনোদনের জন্য।
১৬ জানুয়ারী
ক্রিপ্টোকারেন্সি, কার্ড, অনলাইন ডলার, কাগুজে টাকা সবগুলোর মানই অন্যের হাতে। নিজ হাতে সোনা রাখুন বা অন্য স্ট্যাবল সম্পদ ।
যারা ট্যাক্স দেয় সরকারের উচিৎ তাদের কিছু গিফট যেমন-ডায়েরী, ক্যালেন্ডার দেওয়া। সরকারের ক্লাইন্ট তো আমরা।
১৫ জানুয়ারী
ঝোলাগুর+মুড়ি
ছিল আজ
ব্রেকফাস্ট।
ফেসবুক রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে ভালই এড পাচ্ছে।
বিডিতে ফেসবুকের ভবিষ্যত ভাল!
—
প্রশ্নফাঁস রোধ খুব কঠিন একটা বেপার না।
১. একটি এফটিপি সারভারে প্রশ্নগুলো পরিক্ষানিয়ন্ত্রক পরিক্ষা শুরুর দুই ঘন্টা আগে আপলোড করবে। সারভারটির এফটিপি সার্ভিস ডাউন রাখা হবে। ১ ঘন্টা আগে আপ করা হবে। সাধারনতঃ চার-পাঁচ টি প্রশ্ন থেকে একটি বাছাই করা হয়। এই বাছাইটি তিনি ১ ঘন্টা আগেই করবেন।
২. স্কুলের কেন্দ্র পরিচালকের/কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের মোবাইলে এফটিপি ও প্রশ্নফাইল পাসওয়ার্ড মেসেজ আকারে যাবে দের ঘন্টা আগে।
৩. পরিক্ষা শুরুর ১ ঘন্টা আগে একটা এফটিপি সারভার থেকে প্রশ্নগুলো নামাবে কেন্দ্রের শিক্ষকরা। প্রতিটি প্রশ্ন আবার পাসওয়ার্ড প্রটেকটেড পিডিএফ হবে। কোন কারনে সারভারের ঝামেলা এড়াতে ৩০ মিনিট আগে মেইল করা হবে প্রশ্নগুলো।
৪. স্কুলে প্রিন্টার এবং প্রশ্ন ছাপানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমান স্পেশাল কাগজ প্রদান করা থাকবে। যে কাগজ সাধারনতঃ অন্য কারো কাছে থাকে না। সেই কাগজে প্রশ্নগুলো প্রিন্ট শুরু করবে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘন্টা আগে।
৫. ছাত্রদের ৩০ মিনিট আগে পরিক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে।
( সারভার এবং নেটওয়ার্কের সার্ভিস যাতে ডাউন না হয় তার জন্য বিদেশি ক্লাউড সার্ভিস নিতে হতে পারে। দেশেই ব্যবস্থা করতে হলে বিভিন্ন লোকেশনে রিডানডেন্ট সারর্ভার ব্যবহার করতে হবে। কারন একই সময় এত ব্যান্ডউইথ এক লোকেশনের আইএসপির পক্ষে ম্যানেজ সম্ভব হবে না।
১৪ জানুয়ারী
আমি বললাম,
ঢাকা মাঝে মাঝে অচল না হইলে ঢাকা তার মর্যাদা হারাবে।
ইজতেমা, সংসদ, সচিবালয়, গ্রুপ কোম্পানীর/ব্যাংক হেডঅফিস, শিক্ষাবোর্ড, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, গার্মেন্টস, ছোট কারখানা, ইস্টেডিয়াম- এগুলা সরিয়ে দিলে ঢাকা যাদুঘরে পরিনত হইতো !
দোস্ত-১ বলল,
ঢাকা-কে জাদুঘর বানানোর বুদ্ধি দিস না। এই যে, বিভিন্ন ডিস্ট্রিকের ফ্রেন্ডসার্কেল মিল্লা আড্ডা দিতাছি, এইটা কি পাইতাম?
দরকার হইলে ঢাকার আরো লোক আসুক। কেরানীগঞ্জ, নাঃগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর এগুলাও ঢাকার আন্ডারে নিয়া নিমুনে। অনেক জায়গা খালি আছে।
কোন এক শীতকালে গাড়ী পোড়াইয়া কে বা কারা শীত পোহাতো। মনে পড়ে।
লালসালু উপন্যাস পড়তে গিয়ে দেখলাম আমার পড়ার অবস্থা বেশ খারাপ হইয়া গেছে। ব্লগের মতো পৃষ্ঠা বাদ দিয়ে দিয়ে পড়তেছি।
লেখক কেন যে প্রতিটি ঘটনার আগে হেডিং দেয় নাই! বিরক্ত লাগছে। আধুনিক
লেখকরা এই ভুল কইরেন না। যারা ব্লগ পড়ি তাদের আদলে উপন্যাস বানাইয়েন।
যাইহোক, আপনি যদি আবার লালসালু উপন্যাস পড়েন তাহলে আপনার চোখে মজিদকে প্রগতিশীল ব্যক্তি মনে হইতে পারে।
৯ জানুয়ারী
জ্ঞান কুক্ষিগত করার আরেক নাম প্যাটেন্ট।
আপনি দেখতে পাবেন, ৯৯+ ভাগ প্যাটেন্টই অন্যের আইডিয়ার উপর নির্মিত।
প্যাটেন্টকারী মইরা পইচা যাইবো কিন্তু যার কাছ থেকে আইডিয়া নিছে তার নাম মুখে নিবো না। ভয়।
কাল আয়রনকে সাথে নিয়ে ঘুমাইছি।
বেশ ইফেক্টিভ !
—
ঢাকার ভ্রমনপ্রিয়রা চারপাসের রিহ্যাব প্রজেক্টগুলো ভ্রমন করতে পারেন। একসময়ের খাল, ফসলি জমি, পুকুর বা পতিত ভূমিগুলোতে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে আবাসনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেখানে গেলে আপনি অমুক-সিটি, অমুক-টাউন, অমুক-আবাসন নামে হাজার হাজার শহর পেয়ে যাবেন।
১. ৩০০ ফিট রোড বেয়ে গাউসিয়া পর্যন্ত ড্রাইভ করে যে কোন একটি সিটিতে বা কাঞ্চন ব্রিজের নীচে বা নদীর তীরে দুপুরের খাবার খেতে পারেন।
২. বুড়িগঙ্গার উভয় ব্রীজের ঐপাড়ে চলে যান। ইকুরিয়া থেকে অনেক দূর পর্যন্ত দেখবেন বালু আর বালু। আপনার মনে হতে পারে কোন মরু অঞ্চলে এসেছেন। মাঝে মাঝে কাশবাগানও পাবেন।
৩. আর গাজীপুরের দিক যদি আসেন তাহলে কোন একটা বড় আয়তনের ফ্যাক্টরী থেকে অনুমোতি নিয়ে ঘুরে যেতে পারেন। কিছু কিছু ফ্যাক্টরী অনেকেটা পার্কের মতোই।
৪. ঢাকা থেকে একটু দূরে যদি যেতে চান তাহলে পদ্মার মাওয়া যেতে পারেন। যেখানে ব্রীজ হচ্ছে। কয়েকটা পিলার চরের উপর বসবে, সেই চরে চলে যেতে পারেন। কিছু কিছু চর পাবেন গ্রামের মতো-স্থায়ীবসতও আছে। আর হা, ইলিশ ভাজা খাবেন কিন্তু।
এইসব জায়গায় অন্ততঃ ভ্রমনকারীদের হাউকাউ দেখতে হবে না। বেশি দামে কিনতে হবে না কিছু।
৭ জানুয়ারী
ছোটবেলা বড়রা প্রশংসা করতো।
তা সত্য ছিল না, মটিভেশনাল ছিল
-এখন বুঝতেছি।
৬ জানুয়ারী
রাস্তাকে ৪ লেন না করে বরং প্যারালাল আরেকটা রাস্তা বানানো উচিৎ।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ বা ঢাকা থেকে দক্ষিনে বিকল্প আরেকটা মহাস্মরক নাই।
একটি স্মরকে প্যাচ লেগে গেলে বিশাল এলাকা জুরে জ্যাম দেখা যায়। আট-দল জেলার মানুষ আটকে পরে। নতুনভাবে রাস্তা হলে শুধু এই সমস্যা সমাধানই হবে না বরং আরো কিছু এলাকার মানুষ ভাল একটা যোগাযোগ ব্যবস্থা পাবে।
উদাহরণস্বরুপ- ৩০০ফিট রোড এবং ভোগরা বাইপাস দিয়ে যে মহাসরক করা হয়েছে তা অনেক অঞ্চলের উন্নয়নে ব্যবস্থা তৈরী হয়েছে।
আবার এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে হলে ঢাকা হয়ে যেতে না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন-কেউ চট্টগ্রাম খেকে শরীয়তপুর যেতে চাইলে ঢাকা হয়ে যায়। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এটা আরো বেশি হবে। এতে ঢাকার উপর বাড়তি চাপ পরছে।
এই সব বিষয় দেশ পরিচালক ছাড়া সমাধান করতে পারবে না। তবুও লেখা।
৩ জানুয়ারী
যখন যে ক্ষমতায় থাকে তাকেই আসলে দরকার ছিল। #মটিভেশন -১
২ জানুয়ারী
ছোটবেলা নতুন বছরের সবচেয়ে বড় উপহার ছিল নতুন বই।
নতুন বই পেয়ে অনেক
দুর পর্যন্ত পড়তাম। বিশেষ করে বাংলা বইয়ের সবটা রিডিং পড়া হয়ে যেতো মাসের
মধ্যেই। যে কবিতা ভাল লাগতো তা মুখস্তও করে ফেলতাম।
হাইস্কুলে ভর্তি
হওয়ার পর টাকার অভাবে সব বই একসাথে কিনে দিতে পারতেন না বাবা। নতুন বইয়ের
জন্য বাবাকে অনেক জ্বালাতাম। পছন্দের কয়েকটা করে কিনে দিতেন। তিন ভাইবোন
একই সিরিয়ালে উপরের ক্লাসে উঠতাম। তাই একজনের বই আরেকজন পড়ার সুবিধা হয়।
কিন্তু বই পরিবর্তন শুরু হওয়ায় সেই সুবিধা টিকে নি। বড় বোনদের উপরের
ক্লাসের বইয়ের অনেক কিছু পড়ে ফেলতাম। আগের সিলেবাসে কি কি ছিল এবং বই
পরিবর্তনে কি কি যোগ হলো তার অনেক কিছু জানতাম।
নতুন বছরে মন চায় একসেট নতুন বই কিনে পড়ি।
১ জানুয়ারী
আসসালামু ওয়ালাইকুম।
খেজুরের রস খেয়ে শুরু হলো ২০১৮
চমৎকার একটা বছর ছিল ২০১৭
ভাল থাকুন।