বাংলাদেশের কৃষিতে বেসিক পরিবর্তনগুলো আমাদের স্টাডি করা প্রয়োজন বলে মনে করি। বড় ধরনের রিসার্চ সেন্টার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলে কৃষির পরিবর্তনগুলো নিয়ে দারুন রিসার্চ করতে পারে।
বড় ধনীদের সংখ্যা বেড়েছে-তাই কৃষিতে যে পরিবর্তন আসছে এবং ভবিষ্যতে যে পরিবর্তন আসবে বলে মনে হচ্ছে তার কিছু বলছি।
১. গরু, ছাগল পালনের ক্ষেত্রে বড় ইনভেষ্ট হচ্ছে। ছোট বাড়ি কেন্দ্রিক গরুপালনকারীরাও উন্নত জাতের গরু পালন শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে দেশিগরু নাই হয়ে যেতে পারে।
২. দুম্বা, উট, ভেড়া, হরিণ ইত্যাদির খামার ছোট আকারে শুরু হলেও সামনের দিনগুলোতে এই সেক্টরে শত কুটি টাকা ইনভেস্ট হতে পারে। এইসব প্রানী পালনের ক্ষেত্রে এখন বেশ ভাল সময় বলে মনে হয়।
৩. মহিষ পালন বেশ বেড়েছে মনে হচ্ছে। আমার মনে হয় মহিষ জনপ্রিয় হচ্ছে। মহিষের দুধ দারুন ঘন ও মজার।
৪. বড় মাছের চাহিদা এমন বেড়েছে যে ঢাকার ধনী এলাকার বাজারে গেলে দারুন সব বড় মাছ বিক্রি দেখবেন। বাংলাদেশ যদি বড় মাছ উৎপাদন করতে না পারে মিয়ানমার ও ভারত থেকে আমদানী আরো বাড়তে পারে।
৫. প্রতি বছর অনেক অনেক ধানের জমি ভরাট হয়ে বাড়ি হচ্ছে, পুকুরে পরিনত হচ্ছে এবং ফল বাগানে পরিনত হচ্ছে। প্রায় প্রতি বছরই আগের বছরের চেয়ে বেশি চাল ও গম আমদানী করতে হচ্ছে।
বিদেশি ফলের মধ্যে ছোট চিনা কমলা, ড্রাগণফ্রুট ও ডালিমের কিছু বাগান বেশ লাভজনক হয়েছে। ধনীরা বেশি ফল খায়। তাই যারা কৃষির সাথে জরিত এবংউপযুক্ত জমি আছে তারা জ্ঞান অর্জন করে ফল চাষের চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
৬. দেশি ফলের ক্ষেত্রে আম ও পেয়ারার যথেষ্ঠ উৎপাদন হয়। আতা ও আরো কিছু দেশি ফল চাষ লাভজনকভাবে শুরু হতে পারে। বৃক্ষ মেলার ভিডিওতে কাউ ফলের চারা দেখে বেশ ভাল লাগলো। এভাবে দেশি ফলগুলো আবার ফিরে আসুক।
৭. যাদের অনেক টাকা আছে তারা চাইলে গ্রামে রিসোর্ট টাইপের বাড়ি বানাতে পারেন। নিজ এলাকায়ই এটা করা সুবিধাজনক। অনেকেই ধানের জমিকে পুকুর বানিয়ে কিছু জায়গা মাটি দিয়ে ভড়াট করে বড় বাগান বাড়ি বানাচ্ছে। যেসব অঞ্চলে জমির দাম কম সেই এলাকাই এমন বাড়ি হওয়ার জন্য বেশি উপযোগি। দশ থেকে একশ বিঘার মতো এক একটা বাড়ি হতে পারে। এমন বাড়িতে হাস, মুরগী. মাছ, গরু, ছাগল, ফল ও কাঠ গাছ মিলে দারুন একটা পরিবেশ হতে পারে।
যাদের ঢাকায় চার পাঁচটা ফ্লাট আছে তারা কয়েক কুটি খরচ করে গ্রামে এমন বাড়ি বানাক।
বিঃদ্রঃ ছবি দুটি আইডিওগ্রাম দিয়ে আমি বানিয়েছি।