রোগঃ কোস্ট কাঠিন্য

২৫ বছর বয়স পর্যন্ত বেশ ভালই ছিলাম। ওজন একটু কম থাকায় অনেকে যদিও আমাকে রোগা মনে করতো। বস্তবে ৪৫ কেজি ওজন থাকা অবস্থায় খুব কম রোগই আমাকে ধরতে পেরেছিল।

তখন চট্টগ্রামে কনকর্ড গ্রুপের একটি প্রোজেক্টে চাকরী করি। তিন রুমের একটা ফ্লাট ভাড়া নিয়ে ছয়জন স্টাফ ব্যাচেলর জীবন যাপন করি।

মলদ্বারে রক্ত পরা দেখে আমি একদিন ভয় পেয়ে যাই। এবং আমাদের অফিসের প্যারামেডিক ডাক্তার সাহেবের পরামর্শক্রমে একজন বড় ডাক্তারের কাছে যাই।

তিনি মলদ্বার পরীক্ষা করে এবং আমার সাথে কথা বলে বুঝতে পারেন এটা আমার খাওয়া দাওয়ার কারনে হচ্ছে।

বাসায় বুয়া কখনো শাক রান্না করতো না। আফিসে দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল, সেখানেও মাছ-গোস্ত এভাবে চলতো। আর আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়াই হতো না। এ জন্য মল অনেক শক্ত হয়ে যেতো এবং মলদ্বার দিয়ে বের হওয়ার সময় প্রচন্ড চাপে ফেটে রক্ত বের হতো। খাওয়া দাওয়ার বেপারে ডাক্তার আমাকে কয়েকটি পরামর্শ দেন-

  • নিয়মিত শাক-শব্জি খাওয়া। এবং আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া।
  • কিছু দিনের জন্য মাংশ না খাওয়া। মাংশ খেলে মল বেশ শক্ত হয়।
  • প্রতিদিন খাবারের পর দুই চামচ করে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া। ভুসি খেতে হবে পানিতে না গুলিয়ে। সরাসরি মুখে দিয়ে পানি নিয়ে খাওয়া। পানি ছাড়া খেতে সমস্যা হলে পানিতে মিশিয়ে সাথে সাথে খাওয়া। এটা খাবারে মিশলে মলে আঁশ যোগ করবে।
  • প্রচুর পানি খাওয়া।

আরো কিছু ঐষধও দিয়েছেন। এই নিয়ম না মেনে চললে এখনও সমস্যা দেখা দেয়। এখন নিয়মিত ইসবগুলের ভূষি না খেলেও কোন অনুষ্ঠানে অনেক বেশি গোস্ত খাওয়া হলে খাওয়ার পরে ইসবগুলের ভূষি খেয়ে নেই। আল্লাহর রহমতে সমস্যা হয় না। খাবারে শাক শব্জি রাখার চেষ্টা চলছে। আর আমি বাজার নিয়মিত করি না তাই ছোট একটা শাক সব্জির বাগানও করেছি। এটি আরো বড় করবো ইনশাল্লাহ।

নোটঃ মলদ্বারের রক্ত পরা অনেক কারনেই হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ আবশ্যক। পোস্টটি কোন ডাক্তারি পোস্ট না। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের ডায়েরী।

Photo by Polina Tankilevitch from Pexels

Leave a Reply