পুজিবাদকে খারাপ বলেছেন বা খারাপ বলে বই লিখেছেন বা রাজনীতি করেছেন- এমন অনেকেই ক্ষমতায় গিয়ে পুজিবাদেরই লোক হয়ে গিয়েছেন।
ডিক্টরশীপ বা বাংলায় স্বৈরতন্ত্রকে খারাপ বলুয়ারাও ক্ষমতায় গিয়ে ডিকটেটরই হয়েছে।
বস্তুতঃ পুজিবাদ এবং স্বৈরতন্ত্রকে যারা খারাপ চোখে দেখেন তারা বই পড়া শিক্ষিতের মতোই রাজনীতি বুঝে।
আমার কিশোরকাল থেকেই দেখে আসছি ইসলামিতন্ত্র এবং সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিকদের পুজিবাদের বিরোধীতা করতে। মূল ইসলামের কোথাও কি পুজিবাদের বিরুদ্ধে কিছু লেখা আছে? সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্রতন্ত্র কি পুজিবাদি ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির বাইরে আছে? -ফ্রিডেল ক্যাস্ট্রোর মৃত্যুতে কথাগুলো মাথায় চলে আসলো।
“পুজিবাদ” শব্দটা জনপ্রিয় কেন জানেন? এই শব্দ দিয়ে শ্রমিক ভিত্তিক রাজনীতি করা সহজ হয়।
ধনীদের প্রতি দরিদ্রের আজীবন আক্রোস থাকবে। লোভের এবং হিংসার মিশ্রণে এটা। আর সেই দরিদ্রকে ধনী বনিয়ে দিয়ে দেখুন না! সে কি দানশীল হয়ে যাবে? হবে না। আরো বেশি শোষক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসলাম কখনো ধনী-দরিদ্র সমান করার জন্য আসে নাই। ধনী-দরিদ্রের সম্পর্ক যাতে লোভ হিংসার বা শাসক-শোষকের পর্যায়ে না যায় সেটাই ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার লক্ষ্য। মুক্ত বাজারে প্রবেশে এবং পূজি সংগ্রহ করে বড়লোক হওয়ায় ইসলামিকতন্ত্রে বাধা নাই।
কেউ বলতে পারে – যাকাত দিয়ে সম্পদ কমানোর টেকনিকটা তাহলে কি? যাকাত দিলে সম্পদ কমবে না, বাড়বে-এটা বলা আছে। সম্পদ আরো নিরাপদ হবে। বস্তু জগতের ব্যাখ্যা এমন হতে পারে- যাকাত দেওয়ার ফলে দ্ররিদ্র শ্রেণীর সাথে ধনী শ্রেণীর সুসম্পর্কের কারনে, ধনী শ্রেণীর সম্পদের ক্ষতি হতে দেখলে আস-পাসের দরিদ্ররা তা রক্ষা করার জন্য সচেষ্ট হবে। আল্লাহ সোবহানা-তায়ালাই বরকতের মালিক।
বর্তমান সমাজতন্ত্রের মডেল এমন কোন দেশ নেই যারা মুক্ত বাজারের বাইরে। সমাজতন্ত্রের লোকজন এ বেপারে ভাল বলতে পারবে।
এতগুলো কথার উদ্দেশ্য ইসলামী রাজনীতির প্রচারকরা এবং সমাজতন্ত্র প্রচারকরা যাতে পূজিবাদের খারাপটা না বলে বেড়ায়। তারা নিজেরা আসলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুজিবাদকে ধ্বংশ করতে পারবে না।
Photo by Artem Beliaikin from Pexels