নাম পরিবর্তন ব্যাপরে আমার অবস্থান

Shourav Choudhury:

“ভিকারুন্নেসা নুন ” স্কুল সম্পর্কে একটা নিউজ ফেইসবুকে লক্ষ্য করছি, নিউজ টি সত্য হলে আমিও সহমত প্রকাশ করছি..!!
#নিউজ::
ভিকারুন্নেসা নুন ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ফিরোজ খান নুনের স্ত্রী। স্বাধীনতার ৪৮ তম দিবসে এসেও এদেশের মাটিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বউয়ের নামের প্রতিষ্ঠান বজায় রাখার আদৌ কোন যৌক্তিকতা আছে কি?

“এবারের বিজয় দিবসে এ স্কুলের নাম বদলে

“বীরপ্রতীক তারামন বিবি মেমোরিয়াল স্কুল এণ্ড কলেজ ” রাখলে কেমন হয়?

ভিকারুন নেসা নুন যে স্কুলের প্রতাষ্ঠিত করেছেন তার নাম বদলাতে যাবে শুধু মাত্র সে পাকিস্তানী হওয়ার কারনে? কি অদ্ভুত যুক্তি? আপনার আমার অনেকের বাপও তো পাকিস্তানী, কারন তারা বাংলাদেশ জন্মের আগে জন্মাইছে। বৃটিশ ও পাকিস্তানীদের মধ্যে যারা এই অঞ্চলের ভাল চেয়ে ভাল কিছু করেছিল তাদের কেন আমরা শ্রদ্ধা করতে পারি না? যতদূর জানি ফিরোজখান নুন বাংলাদেশ রাস্ট্র জন্মের আগেই মারা যান। পাকিস্তানের সামরিক সরকার আসার আগ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন পদে ছিল। অনেক বাঙালীরা বিদেশে থাকছে-এবং বিদেশে টাকা গুছিয়ে পালাচ্ছে ও পালাবে তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা কেন-তারাই তো আসল পাকিস্তানী।
ভিন্নমতের ক্ষেত্রে আপনি যে যুক্তি দিয়েছেন সেইটার বিপরীতেও অনেক যুক্তি থেকেই যায়..!!
১। বাংলাদেশ তৈরীর আগে ভিকারুন্নিসা স্কুলটি তৈরী হয়ে থাকলে, এরপরের যুদ্ধ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে একটি জাতি/দেশ থেকে দুইটি জাতি/দেশ তৈরী হয়ে গিয়েছে। এই দুই জাতির/দেশের মধ্যে সম্পর্ক + বর্তমান পরিস্থিতি পুরোটাই অন্যরকম।
২। যেখানে এখনও পাকিস্তানিরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কেই স্বীকার করছে না। তাদের পাঠ্যবই এ সম্পূর্ণ বিপরীত ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মকে জানিয়েছে এবং জানাচ্ছে। সেখানে আপনার কি মনে হয়, স্কুলটি তৈরী করার সময় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশী দের জন্যে নূন্যতম চিন্তা ছিলো?
**আরোও অনেক যুক্তি দেখানো সম্ভব, কিন্তু মনের কথাগুলো লিখে প্রকাশ করা সত্যিই অনেকটা সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর। তবে আমি আপনার ভিন্নমতামতকেও সম্মান জানাই।
Shourav Choudhury পাকিস্তানীদের শোষণ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন নির্যাতন সব যুক্তিকেই হার মানিয়ে দেয়। বুঝি এটা। ওদের প্রতি ঘৃণা সবসময়ই চলমান থাকবে। কিন্তু পাকিস্তান আমল হোক, বৃটিশ আমল হোক অনেকেই যে বাংলা ভূখন্ডের উপকারের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করেছে – আমি তাদের শ্রদ্ধা করি। অনেক অবকাঠামো আছে যেমন রেললাইন, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, আধুনিক আইন প্রনয়ণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাঙালীরা বেশ অপরিপক্ক ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিল। সেই অবস্থার উন্নয়নের জন্য যে সব বৃটিশ কাজ করেছে – তাদের আমি শ্রদ্ধা করি। তাদের শোষণ (আমার কাছে) বর্তমান শাসকদের শোষনের সম পর্যায়ের বলে মনে করি।
https://www.facebook.com/shourav.choudhury3/posts/2167518789945274

Leave a Reply