তিরস্কার

স্কুলে আমি অনেকবার বন্ধুদের তিরস্কারের স্বীকার হয়েছি। এটা তারা শিখেছিল স্যারদের কাছ থেকে। কান ধরানো, বকা দেওয়া, বেঞ্চের উপর দাড় করানো ইত্যাদি পদ্ধতিতেই আমাদের পড়া শিখানো হতো। এখনো হয়।
অনেক দরিদ্র ছাত্রদের শার্ট ময়লা থাকতো বা আউটড্রেসে আসতো – তারাও বন্ধু ও স্যারদের কাছ থেকে তিরস্তকার পেতো। তারা তাদের কম আয়ের বাবা-মাকে এ জন্য চাপ দিতো। এভাবে আমি অনেককে স্কুল ছেড়ে দিতেও দেখেছি।
আর ফিজিক্যাল ডিজ্যাবিলিটি বা মানুষিক অপরিপক্কদের তো আরো বেশি হাসি তামসা করা হতো। এজন্য ক্লাসে তিন/চার টা গ্রুপ ছিল।
  • ভাল ছাত্রদের গ্রুপ-যারা পড়ানোর আগেই জেনে ফেলতো এই টপিকে কি আছে। বাবা মায়ের কঠিন নিয়মের মধ্যে তারা বড় হয়েছে।
  • মিডিয়াম ছাত্রদের গ্রুপ-ক্লাসে স্যারের কথায় সবচেয়ে মনোযোগী এরাই ছিল। কারন তারা টপিকটি নতুন শিখছে।
  • খারাপ ছাত্রদের গ্রুপ। তারা নিজেরা গল্পে মজে থাকতো। টপিকটি তাদের মাথার উপর দিয়ে যেতো। তবে তারা খেলাধুলা, ভ্রমন ও আড্ডাবাজীতে সেরা ছিল। আস-পাসের ঘোরার মতো সব জায়গায় তাদের পদচারনা ছিল।
  • কিছু ছাত্র ছিল যারা কারো সাথেই ম্যাচ করতে পারতো না, চুপচাপ স্কুলে যেতো – আসতো। হয়তো একজন বন্ধু ছিল যার সাথে প্রয়োজন হলো কোন বিষয় শেয়ার করতো।

একি রকম লেখাঃ

দরিদ্রের হীনমন্যতা

শিশুর হীনমন্যতা

Leave a Reply