সাংস্কৃতিক প্রতি বিপ্লব

বাংলাদেশে একদল এন্টি সংস্কৃতিমনা আছে। তারা মূলতঃ প্রগতিশীল কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দাড়ায়। তবে তাদের এই দাড়ানোর পদ্ধতি দুই ধরনের- ধর্ম দিয়ে প্রভাবিত এবং যুক্তি দিয়ে প্রভাবিত।

কয়েকটার ব্যাখ্যা করি।

২১শে ফেব্রুয়ারী

২১শে ফেব্রুয়ারীতে ছোট বেলা থেকেই আমরা শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতাম। জুতা খুলে কলাগাছ বা অন্য কিছু দিয়ে স্ট্যাচু বানানো হতো অনেক। এটার মধ্যে একটা আবেগ দৌড়াতো।

এই আবেগের ফলাফল অনেকের কাছে শূণ্য। আমার কাছে এটা মূল আবেগকে ধ্বংশ করার নাম।

কোন এক একুশে ফেব্রুয়ারীতে এক সুন্দরী বন্ধু কলিগ কালো কাপড় পরে আমার রুমে এসে দেখা করলো। তার মাথায় ছিল গাদাফুলের মালা। এটা দেখে আমি হেসে তাকে প্রসংশা করলাম। মেয়েটা বেশ আনন্দিত হলো।

  • একুশে ফেব্রুয়ারী উদযাপনটা
  • কারো কাছে ভাষা প্রেম ও দেশপ্রেম।
  • কারো কাছে পৌত্যলিকতা এবং পাপ।
  • কারো কাছে অপচয়।
  • কারো কাছে নিজের ও দলের দায়বদ্ধতা এবং ব্র্যান্ডিং এর সুযোগ।
  • কারো কাছে ব্যবসায়ীক গুরুত্ববহতা।

কারো কাছে বাংলাভাষার প্রতি এবং যারা ত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধাকিনা তা আপনি সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে জেনে নিতে পারেন। সামাজিক নেটওয়ার্কে এই সব প্রকাশিত হয়ে একটা এন্টি সাংস্কৃতিক গ্রুপের জন্ম নিয়েছে যারা এর বিরুদ্ধে উচ্চারণ করে। এই গ্রুপটা দিন দিন বড় হচ্ছে।

ভ্যালেন্টাইন ডে, পহেলা বৈশাখ সহ বেশ কিছু সংস্কৃতির বেপারে ভিন্ন ভিন্ন দর্শন নিজেদের ভিতরে পালন করা না করা নিজের বেপার হয়েছে।

সামাজিক নেটওয়ার্ক তথা ফেসবুকার ও ব্লগগুলো এই দিবস পালনের অযৌক্তিকতা প্রচার করে সফল হচ্ছে।

Leave a Reply